মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো
মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো তা আমাদের মনে প্রায় সবারই প্রশ্ন জাগে। তবে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে জীবনের মানদন্ডেরও পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান সময়ে প্রায় সবার হাতে স্মার্ট ফোন আছে। ব্যয়বহুল বর্তমান সমাজে ঘরে বসে থাকার যেন আর সময় আমাদের নাই।
এটি সৃজনশীল প্রক্রিয়া যেখানে আপনি ঘরে বসে নিজের দক্ষতা উন্নত করতে এবং আয় করে নিজের ভাগ্যের উন্নতি করতে পারেন। চলুন আর দেরি না করে আমরা এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিত জানবো কিভাবে মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়।
পোস্ট সুচীপত্র: মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো
- মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো :
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিনা
- ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব
- সঠিক স্মার্ট ফোন বাছাই
- মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ
- মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজের নাম নির্বাচন করুন
- মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম:
- মোবাইল দিয়ে কী কী ধরনের ফ্রিল্যান্সিং করা যায়:
- লেখকের মন্তব্য:
মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো
ফ্রিল্যান্সিং হলো এক ধরনের মাধ্যম যা অনলাইন থেকে আয় করা যায়। এই জন্য এটাকে আবার আপনি মুক্ত পেশাও বলতে পারেন। এটি আর দশটা চাকরির মতই এক ধরনের পেশা। এক কথায় বলতে হলে এটি নিজের ইচ্ছামত স্বাধীন একটি পেশা। যেখানে কোন ব্যক্তি নিদির্ষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্থায়ীভাবে যুক্ত না থেকে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট বা প্রতিষ্ঠানের জন্য চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন। ফ্রিল্যান্সররা সাধারনত একাধিক প্রকল্পে কাজ করেন এবং নিদির্ষ্ট সময় ও কাজের পরিমান অনুযায়ী পারিশ্রমিক গ্রহণ করেন। এই পেশায় কাজের সময়, স্থান এমনকি প্রজেক্ট বাছাইয়ের স্বাধীনতাও থাকে। তাই আমাদের দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের মেয়েরাও ঘরে বসে একটি স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে ইনকাম করে পরিবারকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগীতা করতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, ট্রান্সলেশন এবং প্রোগ্রামিং। ইন্টারনেটের প্রসারের ফলে, বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে মোবাইলের মাধ্যমে কাজ করে আয় করা এখন অনেক সহজ থেকে সহজতর হয়েছে। ফ্রিল্যান্সররা অনলাইন প্লাটফর্ম যেমন, Upwork, Freelancer, Fiverr ইত্যাদির মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের সাথে সংযোগ স্থাপন করেন এবং চুক্তি অনুযায়ী কাজ করেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এত সময়ের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং আপনি নিজের কাজের ধরন ও কাজ বেছে নিতে পারেন এবং যে কোন সময় আপনি আপনার কাজ সম্পুর্ণ করতে পারেন। এখানে কেউ কিছু বলার থাকবেনা আপনি আপনার মত করে কাজ করতে পারবেন। তবে দক্ষতার সাথে যত কাজ করবেন আপনার রাঙ্ক ও কাজ পাওয়ার পরিধি ততই বাড়বে। যার ফলে আপনার ঘরে বসে আসবে ডলার।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিনা
হ্যাঁ, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। যদিও মোবাইল ফোনে কাজের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে তবুও এটি ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রবেশ এর জন্য একটি অসাধরন মাধ্যম হতে পারে। আমাদের সমাজে ছেলে বা মেয়ে হোক কাজের পরিধি খুব কম। আমাদের হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়েও যে আমরা ইনকাম করতে পারি এই কথাটি অনেকেই মানতে চায়না।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা এখন অনেক সহজ ও কার্যকরী হয়ে উঠেছে, বিশেষভাবে যারা কম্পিউটারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত তাদের জন্য। বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে মোবইল ফোনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শিখে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ ইনকাম করতে পারি। নিজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতাকে সবসময় উন্নত করার মাধ্যমে আপনি আন্তর্জাতিক মানের ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠতে পারবেন।
বর্তমানে স্মার্টফোনে উন্নত প্রযুক্তি, উত্তরো গতি সম্পূর্ণ ইন্টারনেট সংযোগ এবং বিভিন্ন এপ্লিকেশনের মাধ্যমে মোবাইল ফোন দিয়েই অনেক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। বিশেষ করে কন্টেন্ট রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন ( যদিও সীমিত), ডাটা এন্ট্রি, অনুবাদ এবং ভার্চুয়াল সহকারী হিসেবে কাজ করার মত সহজ কাজগুলো মোবাইল দিয়ে করা যায়।
অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমন আপওয়ার্ক, ফাইবার এবং ফ্রিল্যান্সার অ্যাপ আকারে মোবাইলে ব্যবহার করা যায়, যা মোবাইল থেকে কাজের অফার ও ক্লাইডদের সাথে যোগাযোগ করা সহজ করে তোলে। এছাড়াও গুগল ডক্স বা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড মোবাইল অ্যাপে লেখালেখি ও এডিটিং করা যায় এবং কেন ভাই এর মত এপ্লিকেশন দিয়ে সহজ গ্রাফিক্স তৈরি করা সম্ভব।
মোটের ওপর ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে মোবাইল ব্যবহার করা সম্ভব, তবে জটিল বা বড় প্রকল্পের জন্য কম্পিউটারে কাজ করাই বেশি সুবিধা জনক যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার এবং মোবাইল ছাড়া আপাতত অন্য ডিভাইস নেই, কাজ দিয়ে শুরু করতে পারেন এবং পরবর্তীতে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কিনে আরও বড় সুযোগের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব
ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমে অনেক উৎস রয়েছে। প্রথমত অনলাইন প্লাটফর্ম যেমন উদাহরণস্বরূপ- ইউটিউব, উডেমি, কোরসেরা, এবং স্কিল শেয়ার ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং কার্যকর।
ইউটিউবে অনেক ফ্রিল্যান্সার তাদের অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন স্কিল শেখানোর ভিডিও আপলোড করেন বিনামূল্যে দেখা যায়। এছাড়া উদে মি বা কোরসেরার মত মত প্ল্যাটফর্মে সামান্য ফি দিয়ে প্রফেশনাল কোর্সগুলো করে দক্ষ হয়ে ওঠা সম্ভব।
বাংলাদেশ অনলাইন ভিত্তিক অনেক ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে যেমন- ইশিখন, ১০ মিনিট স্কুল এবংLEDP (Learning and Earning Development Project)। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্রিল্যান্সিং এবং বিভিন্ন ডিজিটাল স্কিল শেখানোর জন্য সহজবোধ্য কোর্স ও প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে থাকে।
এছাড়াও ফেসবুক গ্রুপ - যেমন Freelancer in Bangladesh, এই ধরনের কমিউনিটি প্লাটফর্মে প্রয়োজনীয় গাইডেন্স পাওয়া যায়, যেখানে অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের পরামর্শ পাওয়া যায়। তৃতীয়তঃ যারা অফলাইনে শেখার অভিজ্ঞতা পেতে চান তারা BSIS (Bangladesh Association of Software and Information Services) এবং বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টার থেকে সরাসরি প্রশিক্ষণ নিতে পারেন ।
সঠিক গাইডলাইন এবং নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে আপনি নিজেই ফ্রিল্যান্সিং এর সফলতা অর্জন করতে পারবেন । তাই ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য প্রথমে ছোট এবং সহজ স্কিল দিয়ে শুরু করুন এবং পরে অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে আরও জটিল কাজে এগিয়ে যান ।
সঠিক স্মার্ট ফোন বাছাই
আপনি যদি মনে করেন যে মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন তাহলে সর্বপ্রথম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সঠিক স্মার্ট ফোন নির্বাচন করা। কারন মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং মানে ভালো মানের একটি স্মার্ট ফোন যার একটি বড় স্ক্রীন থাকবে, স্টোরেজ থাকতে হবে ভালো এবং একটি শক্তিশালী প্রসেসর।
ভালোভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে শুধুমাত্র মোবাইল ফোন হলেই হবে না আপনাকে হতে হবে মোবাইলে দক্ষ এবং কাজে পারদর্শী। এই জন্য ফোনের প্রসেসর ও RAM খুব গুরুত্বপূর্ন। ভালো পারফরম্যান্সের জন্য কমপক্ষে 8GB RAM এবং মিড রেঞ্জ বা উচ্চ রেঞ্জের প্রসেসর (যেমন Snapdragon বা Media Tek) থাকা উচিত। গেমিং, মাল্টিটাস্কিং বা ভারী অ্যাপ ব্যবহারের জন্য উন্নত প্রসেসর প্রয়োজন।
মোবাইল ফোনে পর্যাপ্ত স্টোরেজ থাকা খুবই জরুরী যাতে ছবি, ভিডিও, বিভিন্ন অ্যাপ ইত্যাদি সংরক্ষ করতে কোন সমস্যা না হয়। 64 GB বা 128GB স্টোরেজ ভালো অপশন, আর এক্সটার্নাল মেমরি সাপোর্ট থাকলে আরও ভালো। দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ আপনার ফোনের ব্যবহারিক অভিজ্ঞতাকে অনেক উন্নত করে। 4000mAh বা তার চেয়ে বেশি ব্যাটারির ফোন বেছে নেওয়া উচিত।
ভালো মোবাইল ফোনের ক্যামেরার কোয়ালিটি হতে হবে মেগাপিক্সেল, অ্যাপারচার ও লেন্স সম্পর্কে খেয়াল রাখুন। মোবাইল ফটোগ্রাফির জন্য ডুয়েল বা ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ সহ ফোন গুলো ভালো হয়। ভালো ডিসপ্লে রেজুলেশন (Full HD বা AMOLED) থাকলে ছবি ও ভিডিও দেখা আরামদায়ক হয়। স্মার্টফোনটি নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট পায় কিনা সেটাও দেখা উচিত কারন এটি ফোনের সুরক্ষা এবং নতুন ফিচারগুলোর জন্য গুরুত্বপুর্ন। আপনার কাজের ধারা অনুযায়ী বোঝাতে পারলাম যে আমাদের মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং শিখে মোবাইলে মাধ্যমে ইনকাম করতে হলে কী ধরনের স্মার্ট ফোন নির্বাচন করতে হবে।
মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন
মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন এখন অনেক সহজ এবং সাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে। উন্নত প্রযুক্তির কারণে মোবাইলে এখন বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করা সম্ভব। বিশেষ করে, যদিও মোবাইল ফোনে কাজের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে তবুও এটি ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রবেশ এর জন্য একটি অসাধরন মাধ্যম হতে পারে।
Canva, Adobe Spark, Pixaellab এবং Picsart এর মত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে সহজেই পোস্টার, লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া, কনটেন্ট, ব্যানার এবং আরো অনেক কিছু ডিজাইন করা যায়। প্রথমে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য একজনের নির্দিষ্ট কিছু স্কিল ধৈর্য থাকতে হবে।
Canva- এর মত এপ্লিকেশনগুলো সহ আর যোগ্য এবং এখানে প্রচুর প্রিমেড টেমপ্লেট পাওয়া যায় যা দ্রুত ডিজাইন করতে সহায়ক। এছাড়া Picsart এবংPixellab অ্যাপগুলো ছবি এডিটিং এবং কাস্টমস ডিজাইনের সাহায্য করে যা নতুন ডিজাইনারদের জন্য খুবই উপকারী। মোবাইল অ্যাপে গ্রাফিক্স ডিজাইনের সুবিধা হল যে কোন জায়গা থেকে দ্রুত কাজ করা সম্ভব।
তবে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন, বড় প্রজেক্ট বা অত্যন্ত জটিল ডিজাইন তৈরি করার জন্য মোবাইলের স্ক্রিন ছোট হতে পারে এবং নির্দিষ্ট টুলস বা অপশন গুলোর অভাব হতে পারে। এছাড়া উচ্চমানের প্রফেশনাল কাজের জন্য কম্পিউটারে থাকা বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মত ফিতার মোবাইলে পাওয়া যায় না।
মোটের উপর যারা নতুন এবং মোবাইল দিয়ে ডিজাইন শুরু করতে চান, তাদের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলো চমৎকার একটি উপায় হতে পারে। তবে যখন কাজ আরো বড় এবং জটিল হয়ে উঠবে তখন কম্পিউটার ব্যবহার করাই বেশি সুবিধা জন।
ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ
মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব তার যথাযথ উত্তর এই ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য Upwork হল একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, যেখানে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কাজের প্রজেক্ট পোস্ট করা হয় এবং ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী প্রজেক্টে বিট করতে পারেG
Upwork- এর মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা মোবাইল থেকেই সহজে একাউন্ট তৈরি, প্রোফাইল আপডেট, ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ এবং কাজের জন্য বিট করতে পারে। এই একটি দিয়ে ফ্রিল্যান্সাররা যেকোনো সময় যে কোন স্থান থেকে প্রজেক্ট খুঁজে নিতে পারেন এবং কাজ করার সুযোগ তৈরি করতে পারেন।
বিশেষ করে যারা কনটেন্ট রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স এবং গ্রাফিক ডিজাইনের মত কাজ করেন, তারা মোবাইল দিয়ে সহজে এ কাজগুলো পরিচালনা করতে পারবেন। তবে Upwork অ্যাপের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে মোবাইলের ছোট স্ক্রিনে দীর্ঘ সময় কাজ করতে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।
বিভিন্ন ধরনের জটিল বা বড় প্রজেক্ট এর কাজ যেমন প্রোগ্রামিং বা বড় ডিজাইন প্রজেক্ট মোবাইলে করা তুলনামূলকভাবে কঠিন। মোটের ওপর যারা কম্পিউটারের পরিবর্তে মোবাইল ব্যবহার করছেন এবং ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাদের জন্য Upwork- এর মোবাইল অ্যাপ খুবই সহায়ক।
কাজের গুণগতমান এবং আরো বেশি সুযোগের জন্য প্রয়োজন হলে কম্পিউটার ব্যবহারে অগ্রাধিকার দেয় ভালো। মোবাইলে সহজ কাজ শুরু করে ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে ভবিষ্যতে বৃহৎ প্রজেক্ট এর দিকে এগানো যাবে।
মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজের নাম নির্বাচন করুন
মোবাইল দিয়ে সহজে কাজ করার জন্য ডেটা এন্ট্রি একটি চমৎকার কাজ, যা Upwork- এ খুব জনপ্রিয়। ডেটা এন্ট্রি কাজ মূলত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ, এন্ট্রি করা এবং সেগুলো সঠিকভাবে ফাইল বা ডেটাবেসে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া। Upwork- এর মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এ ধরনের কাজ খুঁজে পাওয়া সহজ এবং মোবাইল থেকেই সম্পন্ন করা যায়।
ডেটা এন্ট্রি কাজের জন্য খুব বেশি জটিল সফটওয়্যার বা কম্পিউটিং পাওয়ার প্রয়োজন হয় না। Google Microsoft Excel বা অন্যান্য ফরম এপ্লিকেশন ব্যবহার করে সহজে তথ্য এন্ট্রি করা যায়। যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার এবং মোবাইল দিয়ে কাজ করতে চান তাদের জন্য ডেটা এন্ট্রি একটি ভালো শুরু হতে পারে।
তবে ডাটা এন্ট্রি কাজের ক্ষেত্রে নির্ভলতা এবং দ্রুতগতির প্রয়োজন হয়, যা সফলতার মূল চাবিকাঠি। তাই প্রথমদিকে ছোট কাজের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করা জরুরী।
মোটের ওপর যারা, Upwork- এ মোবাইল দিয়ে সহজ এবং তুলনামূলক কম সময়ের কাজ খোঁজেন তাদের জন্য ডেটা এন্ট্রি একটি কার্যকরী বিকল্প। এটি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে ধীরে ধীরে অন্যান্য দক্ষতায় পারদর্শী হওয়া সম্ভব।
মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম:
ইউটিউব (You Tube):
মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য ইউটিউব অত্যন্ত কার্যকরী এবং সহজ একটি উপায়। বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল এবং বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ভিডিও এর মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর A to Z সম্পর্কে জানতে পারবেন।
"How To Start Freelancing For Beginners" ভিডিওটি নতুনদের জন্য একটি স্টেপ-বাই-স্টেপ গাইড যা আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা শেখাবে। এই ভিডিও টিতে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ বাছাই করবেন এবং কীভাবে আয় করতে পারবেন তার বিস্তারিত আলোচনা করা েহয়েছে। যা দেখে আপনি অনায়াসে আপনার ফ্রিল্যান্সিং জগতে পা রাখতে পারবেন।
”The Ultimate Guide to Freelancing" এই ভিডিওটি আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর মৌলিক বিষয়গুলো শেখাবে এবং সফল হতে হয় কীভাবে তার প্রস্তুতি নেয়া সহ সব কিছু দেখাবে। যারা সম্পুর্ণ নতুন তারা
"How to Start Freelancing: A Beginner's Guide to Success" এই ভিডিও টি ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য আপনার দক্ষতা উন্নত করতে এবং কোন প্লাটফর্মে কাজ শুরু করতে হবে তা শিখতে সাহায্য করবে।
অনলাইন কোর্স:
মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখার অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ মাধ্যম হচ্ছে অনলাইন কোর্স প্লাটফরম। যার মাধ্যমে আপনার দক্ষতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করবে। নতুনদের সুবিধার্থে নিচে কিছু জনপ্রিয় প্লটফরম লিংক সহ দেয়া হলো:
Udemy: Udemy একটি বহুল জনপ্রিয় অনলাইন লার্নিং প্লাটফরম যেখানে ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজাইনিং, মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়ে প্রচুর কোর্স পাওয়া যায়। এই সব মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আপনি সহজেই কোর্স সম্পন্ন করতে পারেন। Udemy-তে অনেক ফ্রিল্যান্সিং কোর্স যেমন "Freelancing on Fiverr: Complete Beginner's Guide" সহ নানা কোর্স রয়েছে।
Coursera: Coursera বিশ্ববিখ্যাত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানের কোর্স প্রদান করে। ফ্রিল্যান্সিং শুরুর জন্য এখানে কিছু বিশেষ কোর্স পাওয়া যায়, যেমন "Building Your freelanceing Career" যা নতুন ফ্রিল্যান্সরদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এই কোর্সগুলো মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই এক্সেস করা যায়।
Skillshare: Skillshare সৃজনশীল পেশাজীবীদের জন্য আদর্শ প্লাটফর্ম। এখানে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বিভিন্ন টিউটোরিয়াল এবং ক্লাস পাওয়া যায় । যেমন-"Freelancing for Creatives: How to Build a Successful Freelance Carrer" এই কোর্সটি নতুনদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক।
ভিন্ন প্রফেশনাল কোর্স অফার করে, যেখানে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত কোর্সও পাওয়া যায়। এটি মোবাইলেই সহজে ব্যবহার করা যায়। "Freelancing Foundations" কোর্সটি ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে সহায়ক।
ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম অ্যাপ:
মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম অ্যাপগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো আপনাকে কাজ খুঁজতে, ক্লায়েন্টদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে এবং কাজের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিখতে সহায়তা করে। ফ্রিল্যান্সিং শেখার বিভিন্ন প্লাটফর্ম অ্যাপ সম্পর্কে তথ্য নিচে দেয়া হলো।
Fiverr: Fiverr ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম যেখানে ছোট ছোট কাজ (গিগ) বেইজড কাজ করে আয় করা যায়। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন গিগ তৈরী করতে পারেন এবং ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে অর্ডার পেতে পারেন। Fiverr সহজ ইন্টারফেসের কারনে মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ উপযোগী।
Upwork; Upwork ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে ফ্রিল্যান্সররা বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য বিড করতে পারেন। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রোফাইল তৈরী করা, কাজের জন্য আবেদন করা এবং ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করা খুবই সহজ। Upwork এর মোবাইল অ্যাপটি বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কার্যকরী।
Freelancer.com: Freelancer.com ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য আরেকটি বড় প্লাটফর্ম, যেখানে বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সররা বিড করতে পারেন, কাজের আপডেট পেতে পারেন এবং ক্লায়েন্টদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।
Toptal: Toptal একটি প্রিমিয়াম ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম, যেখানে বিশেষজ্ঞ এবং পেশাদার ফ্রিল্যান্সররা কাজ পান। মোবাইলের মাধ্যমে Toptal অ্যাপ ব্যবহার করে প্রজেক্টের জন্য আবেদন করা এবং ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করা সহজ।
ফ্রিল্যান্সার ইউনিয়ন ব্লগ: ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় ব্লগ। এই ব্লগে ফ্রিল্যান্সিংদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ছোট খাট টিপস, আইনগত সহায়তা এবং ফ্রিল্যান্সিং জগতের সকল দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং জগতে পা দেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন তাদের জন্য এই মাধ্যমটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
আপওয়ার্ক ব্লগ: Upwork ব্লগটি নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং শেখার বিভিন্ন ধরনে টিপস। কিভাবে কাজ পাওয়া যাবে, কীভাবে সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যাবে সব ধরনের আর্টিকেল । মোবাইলের মাধ্যমে এই অ্যাপস থেকে খুব সহজে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে এবং শিখতে পারবেন। এর লিংকে গিয়ে আপনি জানবেন ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন তথ্য।ফ্রিল্যান্সার ফোল্ডার: এই ব্লগটি সম্পুর্ণ নতুন এবং অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য উপযোগী। এখানে ফ্রিল্যান্সিং জীবনযাপন, আয়, বৃদ্ধি এবং ক্লায়েন্ট ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশদ আর্টিকেল রয়েছে। এর মাঝে নতুনত্ব থাকায় ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য খুবই ভালো। কারনে মোবাইলের মাধ্যমে যে ফ্রিল্যান্সিং শিখবে তার খুটিনাটি প্রয়োজনীয়তা এই খানে তুলে ধরা হয়েছে। নতুন ফ্রিল্যান্সর যেমন বিভন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ে ঠিক সেই আলোাকে এই ব্লগার সাইট তৈরী করা হয়েছে। এই লিংকে মোবাইল থেকে প্রবেশ করলে ফ্রিল্যান্সিং এর যাবতীয় তথ্য পাবে।
ফেসবুক মাধ্যম: ফেসবুকে অনেক ধরনের টেক পেজ রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য এই ধরনের টেক পেজ এ বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং ভিডিও আপলোড করেন। যখনই কোন নতুন কিছু আপডেট হয় তখনই তারা পেজ এ আপলোড দেয়। এই আপলোডকৃত ভিডিও দেখে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর সকল ধরনের নিয়ম কানুন জানতে ও শিখতে পারবেন। এই মাধ্যম দিয়েও মোবাইলের সাহায্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং কোর্স কিনে: অনেক অভিজ্ঞ ব্যাক্তি বা যারা ফ্রিল্যান্সিং শেখায় তারা তাদের বিভিন্ন ক্লাশগুলো একসাথে করে বিক্রি করে। যারা সময়ের অভাবে কোর্স করতে পারেনা বা যারা সঠিক জায়গা পায় না তাদের জন্য এই ভিডিও গুলো বিক্রি করে। ফ্রিল্যান্সিং কোর্স এই ভিডিও গুলো কিনে আপনারা বাসায় বসে মোবাইলের মাধ্যমে শিখতে পারবেন এবং অনলাইন ইনকাম শুরু করতে পারবেন। অনেকে আছেন যারা গ্রামে থাকে বা শিখার জন্য কোন সঠিক মাধ্যম পায়না তারা এই কোর্স ভিডিও কিনে মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে কী কী ধরনের ফ্রিল্যান্সিং করা যায়:
বর্তমান যুগ অনেক উন্নত । এই সময়ে ঘরে বসে আমরা আমাদের মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারি । ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে মোবাইল দিয়ে আমরা বৈদেশিক ডলার ঘরে আনতে পারি। মোবাইলের মাধ্যমে আমরা কোন কোন খাতে ইনকাম করতে পারি তার তালিকা দেয়া হলো:
* ফেসবুক মাধ্যম দিয়ে ভিডিও মার্কেটিং করে।
* ফেসবুক পেজের মাধ্যমে
* ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে
* ইউটিউব ও ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের ব্লগ তৈরি করে
* ইউটিউব চ্যানেলে মোবাইলের মা্ধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট করে
* মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট লিখে
* ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বিভিন্ন ধরনের প্লাটফরমে মোবাইলের মাধ্যমে মার্কেটিং করে
* মোবাইল দিয়ে অ্যাফিয়লেটার এর মাধ্যমে
* মোবাইলের মাধ্যমে এডসেন্স থেকে এবং বিভিন্ন ধরনের ইনভেস্ট করে
* মোবাইলের মাধ্যমে সোস্যাল মিডিয়া থেকে
* ভিডিও দেখে, গেম খেলে, অ্যাড দেখে
* মোবাইলের মাধ্যমে ফটো এডিটিং করে।
* মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে
* মোবাইল দিয়ে পন্য কেনা বেচা করে
* অন্যদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কনটেন্ট লিখে
* ইমেইলের মাধ্যমে মার্কেটিং করে
* অনলাইনে বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি করে
মন্তব্য | মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব
মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব এই বিষয়ে সর্বশেষে আমার মন্তব্যে আসা যাক। আমরা ডিজিটাল যুগে কেন পিছিয়ে থাকবো। কথায় আছে কোন বিপদে পড়লে আপনার হাতের কাছে যা আছে তাই দিয়ে যুদ্ধ করার চেষ্ট করেন। ঠিক তেমনি আমার হাতের কাছে ল্যাপটন নাই তো কি হয়েছে মোবাইল তো আছে।
মনে যদি কিছু করার ইচ্ছে থাকে তাহলে মোবাইলের মাধ্যমেই ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে। শুধু নিয়ত রাখতে হবে যে আমি শিখবো বা কোন কিছু করবো। বর্তমান ইন্টারনেটের সময়ে আমরা পিছিয়ে থাকবো না। মোবাইলের মাধ্যমে যা যা করা যায় তার মাধ্যম দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিজেকে এক যোগ্য পর্যায়ে নিয়ে যাবো।
আমার এই সম্পুর্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা রাখি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শিখে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায় এবং ইনকাম করে ঘরে বসে ডলার পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ২৪ ব্লক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url