ফেসবুক পেজ বুস্ট করতে কত টাকা লাগে

ফেসবুক পেজ বুস্টিং করতে কত টাকা লাগে আমরা আজকের এই আর্টিকেলে দেখবো। বর্তমানে পেজ বুস্টিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বুস্টিংয়ের মাধ্যমে  স্বল্প বাজেটে অনেক দর্শকের কাছে আমরা পৌঁছাতে পারি।

ফেসবুক-পেজ-বুস্ট-করতে-কত-টাকা-লাগে

ফেসবুক বুস্ট করার জন্য খরচ নির্ভর করে আপনার নির্ধারিত লক্ষ্য দর্শক সংখ্যা এবং সময়সীমার উপর। অল্প বাজেটে বৃহত্তর শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ দেয় যা ব্যবসা ব্রান্ডের বিকাশ অত্যন্ত সহায়ক। চলুন বিস্তারিত দেখে নেয়া যাক

পোস্ট সূচীপত্রঃ ফেসবুক পেজ বুস্ট করতে কত টাকা লাগে

ফেসবুক পেজ বুষ্ট করতে কত টাকা লাগে

ফেসবুক বুষ্ট করতে কত টাকা লাগে তা আজকে আমরা জানবো। বর্তমান সময়ে আমরা অনেকে ফেসবুক ব্যবহার করি। এই ফেসবুক আইডির মাধ্যমে যে ইনকাম করা যায় তা আমরা অনেকেই জানি। ফেসবুকে সাথে জড়িত একটি পেজ খুলে আমরা আমাদের বিজনেস বাড়াতে পারি। ফেসবুক পেজে বিজনেস করতে গেলে পেজ প্রমোট করতে হয়।

ফেসবুক পেজ বুষ্ট করতে কত টাকা লাগবে তা নির্ভর করবে আপনার বিভিন্ন বিষয়ের উপর যেমন- আপনার লক্ষ্য দর্শকের ধরন, কনটেন্টের ধরন, প্রচারণার সময়কাল এবং বাজেট। ফেসবুক পেজ বুস্ট করতে আপনি নিজের বাজেট অনুযায়ী টাকা নির্ধারণ করতে পারবেন, যা প্রতিদিনের ভিত্তিতে মোট বাজেট হিসাব সেট করা যায়।

ফেসবুক বুস্ট করার জন্য আপনার প্রতিদিনের বাজেট হতে পারে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা। এর মাধ্যমে আপনার পেজের পোস্ট বা বিজ্ঞাপন কিছু নির্দিষ্ট দর্শকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। আপনি যদি চান আপনার পেজের পোস্ট বা বিজ্ঞাপন অনেকের কাছে পৌঁছাবেন তবে অবশ্যই টাকার পরিমাণ বাড়াতে হবে।

ফেসবুকের অ্যালগরিদম অনুযায়ী, আপনার বুস্ট পোস্টটি কতজন মানুষ দেখবে তা আপনার বাজেট এবং নির্ধারিত টার্গেট অডিয়েন্স এর উপর নির্ভর করে। ফেসবুক বুষ্ট এর জন্য কয়েকটি প্রধান পদ্ধতি রয়েছে যেমন ট্রাফিক বুস্ট, এনগেজমেন্ট বুস্ট এবং ভিডিও ভিউ বুস্ট। 

এই প্রত্যেকটি পদ্ধতির জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিন্ন ভিন্ন খরচ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় এনগেজমেন্ট বুঝতে খরচ তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে, কারণ এতে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট বাড়ানো হয়। অন্যদিকে ট্রাফিক বুঝতে খরচ বেশি হতে পারে, কারণ এটি দর্শকদের সাইট বা অ্যাপ্লিকেশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।

আসলে কম বাজেট থেকেও ফেসবুক পেজে বুস্ট শুরু করা সম্ভব হয় আমাদের। কিন্তু ভালো ফলাফলের জন্য কিছুটা বেশি খরচের প্রয়োজন হতে পারে। ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের নিয়ম ব্যবহার করে আপনি নিজের টাকা প্রয়োগে ও কার্যকারিতা বুঝতে পারবেন এবং বিভিন্ন ধরনের খরচ করে ফলাফল উন্নত করতে।

ফেসবুক পেজ বুস্ট

বুস্টিং করার আগে ফেসবুক পেজ বুস্ট কি তা জানতে হবে। ফেসবুক পেজ বুস্ট হলো একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনার পেজের পোস্ট বা কনটেন্ট নির্দিষ্ট দর্শকের কাছে সহজেই পৌঁছানো যায়। এটি মূলত ফেসবুকের একটি পেইড সেবা, যা বিজ্ঞাপনের মত কাজ করে। পেজ বুস্ট করার মধ্য দিয়ে আপনি আপনার কনটেন্টকে সবার কাছে তুলে ধরতে পারেন।

এই পদ্ধতিতে আপনি বিভিন্ন ধরনের দর্শক নির্বাচন করতে পারেন। যেকোনো ধরনের বয়স, যেকোন স্থান, যে কোন মানুষের আগ্রহ বা আচরণের উপর ভিত্তি করে। আপনি বুস্ট করার জন্য প্রতিদিন একটা বাজেট নির্ধারণ করতে পারেন যা নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের কাছে পোস্ট টি পৌঁছাতে সাহায্য করে। বুস্ট এর মাধ্যমে পেজের লাইক, শেয়ার, কমেন্ট এবং এনগেজমেন্ট বাড়ানো সম্ভব।

উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ধরুন আপনি একটি নতুন অনলাইন পোশাকের ব্যবসা শুরু করেছেন এবং একটি ফেসবুক পেজ খুলেছেন, যেখানে আপনার পণ্যগুলোর ছবি ও বিবরণ পোস্ট করেন। কিছু পরিচিত মানুষ এই পেজটি লাইক করেছে কিন্তু এটা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। ফেসবুক পেজ বুষ্ট করে আপনার ব্যবসাকে প্রসারিত করতে পারেন।

আপনি একটি বিশেষ অফার বা নতুন পোশাকের কালেকশন নিয়ে পোস্ট করলেন, যেখানে আপনি “বুস্ট পোস্ট” অপশনটি ব্যবহার করলেন। এতে আপনি লক্ষ্য করলেন ফেসবুকের বুস্টিং ফিচার ব্যবহার করে নির্দিষ্ট দর্শক নির্বাচন করা যায়। যেমন 18 থেকে 35 বছর বয়সী নারী যারা ফ্যাশান বা অনলাইন শপিংয়ে আগ্রহী।

একটি নির্দিষ্ট বাজেট নির্ধারণ করে পোস্ট বুস্ট করলে কয়েকদিনের মধ্যেই পোস্টটি লক্ষাধিক মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। ফলে প্রচুর মানুষ আপনার কষ্টের লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করে। অনেকেই নতুন গ্রাফ হয়ে আপনার পেট লাইক দিবে এবং কিছু মানুষ সরাসরি পণ্য কেনার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এই ভাবেই পেজ বুষ্টের মাধ্যমে ব্যবসা করা যায়।

ফেসবুক পোস্ট বুস্ট করলে কি হয়

বিশ্বের সবচেয়ে বড় একটি প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম। আপনারা অনেকেই চান এই ফেসবুকের মাধ্যমে যেন আপনারা বিভিন্নভাবে আয় করতে পারেন। এই ফেসবুক পেজ বুস্ট করলে আপনার পেজের পোস্ট বা কনটেন্ট দর্শকের কাছে দ্রুত এবং কার্যকর ভাবে পৌঁছানো যাবে। ফলে আপনার পেজের লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং অন্যান্য এনগেজমেন্ট বাড়বে।

ফেসবুক পোস্ট বুস্ট করলে আপনার পরিচিতি বাড়বে এবং আপনার পেজ আপনার পরিচিত ছাড়াও
আরো অনেক মানুষ দেখতে পাবে। যার ফলে আপনার ব্যবসা এই অনলাইন প্লাটফর্মে বিস্তার করবে। এই প্রক্রিয়ায় আপনার পোষ্ট শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছবে যাদের জন্য এটি সঠিক এবং যারা আপনার পেজের জন্য সম্ভাব্যগ্রাহক হতে পারে।

এভাবে আপনার কনটেন্ট নির্দিষ্ট শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দিলে, তারা আগ্রহ প্রকাশ করে, ফলে নতুন ফলোয়ার ও গ্রাহক যোগ হয়। ব্যবসার ক্ষেত্রে এটি বিক্রি বাড়াতে, ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়াতে এবং নতুন সম্ভাবনাময় ক্রেতা দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সাহায্য করে অতি সংক্ষেপে বলা যায় ফেসবুক পেজ বুস্ট করা একটি কার্যকরী উপায় যা আপনার ব্র্যান্ড বা ব্যবসা প্রসার হয়।

ফেসবুক পেজ বুস্ট করার নিয়ম

ফেসবুক পেজ বুস্ট করার কিছু নিয়ম ও কৌশল আছে। আপনি আপনার ফেসবুক পেজে যত বুস্ট করবেন আপনার ফলোয়ার বা ইনকাম ততই বাড়বে। ফেসবুক পেজ বুষ্ট করার এই নিয়ম ও কৌশলগুলো অবলম্বন করলে আপনি আপনার কাঙ্খিত ফলাফল পাবেন। নিচে বুস্ট করার গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম দেয়া হলো-

ফেসবুক-পেজ-বুস্ট-করতে-কত-টাকা-লাগে

  1. সঠিক কনটেন্ট নির্বাচন করুন যা আপনার পেজ বা ব্র্যান্ডের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং দর্শকদের আকর্ষণীয় করবে
  2. ভিজুয়াল কনটেন্ট বেশি প্রভাব ফেলে আকর্ষণীয় ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করুন যা দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে
  3. আপনার পোস্টটি কোন বয়স, লিঙ্গ, অবস্থান এবং আগ্রহের মানুষের কাছে পৌঁছানো উচিত তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করুন
  4. লিখুন যাতে দর্শকরা আপনার পেজে আসতে উৎসাহী হয় এবং তাদের সমস্যার সমাধান খুঁজে পায়
  5. আপনার টার্গেট ও বাজেটের মধ্যে সমন্বয় রেখে দৈনিক বা মোট বাজেট ঠিক করুন
  6. আপনার পোস্টটি কত দিন চলবে তা ঠিক করে নিন। সাধারণত ৩-৭ দিন বুস্ট ভালো কাজ করে
  7. আপনার কনটেন্টে কল একটু অ্যাকশন যোগ করুন। যেমন- “আরও জানুন”, “কিনুন”  যোগাযোগ করুন” ইত্যাদি, যার দর্শকদের সক্রিয় হতে উদ্বুদ্ধ করে
  8. একই ধরনের দুই বা ততোধিক কনটেন্ট বুঝ করে কোনটি বেশি কার্যকর তা বিশ্লেষণ করুন
  9. পোস্টে ওয়েবসাইট বা যোগাযোগের লিংক যোগ করলে দর্শকরা সহজে আপনার সাথে পেতে পারে
  10. আপনার কনটেন্ট সহজ ও সংক্ষিপ্ত রাখুন যাতে দর্শকরা মনোযোগ ধরে রাখতে পারে
  11. কোন সময়ে পোস্ট বুস্ট করবেন তা নির্ধারণ করুন, যেমন সপ্তাহের শুরুতে বা ছুটির আগে
  12. এমন পোস্ট বুস্ট করুন যার দর্শকদের লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে উৎসাহী হয়
  13. অবশ্যই কনটেন্ট হ্যাশট্যাগ (#) ব্যবহার করতে হবে 
  14. দর্শকরা প্রশ্ন করতে চাইলে দ্রুত উত্তর দেওয়ার ব্যবস্থা রাখুন
  15. চলমান ট্রেনদের সাথে সম্পর্কিত পোস্ট তৈরি করুন যার দর্শকের কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়
আপনারা যদি এই নিয়মগুলো অনুসরণ করেন তবে ফেসবুক পেজ বুস্টারের মাধ্যমে আপনি আরো কার্যকর ফলাফল পেতে পারেন এবং আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ডের প্রচার বৃদ্ধি করতে পারবে।

বিকাশ দিয়ে পেজ প্রমোট

বিকাশ দিয়ে ফেসবুক প্রমোট করতে হলে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়। নিচে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হল-
বিকাশ একাউন্ট তৈরি এবং ফান্ড এড করুনঃ প্রথমে আপনার একটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট থাকা অবশ্যক, যেটাতে পর্যাপ্ত ব্যালান্স থাকবে। বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি মোবাইল ব্যাংকিং থেকে ব্যালেন্স এড করতে পারবেন।

ফেসবুক একাউন্টে পেমেন্ট মেথড যোগ করুনঃ ফেসবুক পেজ প্রমোট করার জন্য আপনার ফেসবুক একাউন্টে একটি পেমেন্ট মেথড যোগ করতে হবে। তবে সরাসরি বিকাশ এখনো ফেসবুকের পেমেন্ট মেথডে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, এজন্য আপনি বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চাইলে কিছু বিকল্প উপায় আছে তা ব্যবহার করতে হবে।

মাস্টার কার্ড বা ভিসা ডেবিট কার্ড তৈরি করুনঃ বিকাশ একাউন্ট থেকে আপনি একটি ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড বা ভিসা ডেবিট কার্ড তৈরি করতে পারেন, facebook পেমেন্টে ব্যবহার করা যাবে। বিকাশ অ্যাপ এর “কার্ড সার্ভিস “ অপশনে গিয়ে এই ভার্চুয়াল কার্ড তৈরি করা যায়।

ভার্চুয়াল কার্ডটি ফেসবুকে পেমেন্ট মেথড হিসাবে যোগ করুনঃ 
  1. ফেসবুকে আপনার পেজে যান
  2. ”Settings” বা ”সেটিংস” এ ক্লিক করুন
  3. "Billing" বা ”বিলিং” সেকশনে যান
  4. এখানে “Add Payment Method" option পাবেন, সেখানে ক্লিক করে বিকাশে ভার্চুয়াল কার্ডের তথ্য দিন  (কার্ড নাম্বার, এক্সপায়ারি ডেট, সিভিসি) এবং ফেসবুকে সেটি সংযুক্ত করুন
পোস্ট বা পেজ প্রমোট করুনঃ
  • যে পোস্টটি প্রমোট করতে চান সেটি নির্বাচন করে “Boost Post" অপসনে ক্লিক করুন
  • লক্ষ্য দর্শক নির্ধারণ করুন যেমন বয়স, লিঙ্গ, আগ্রহ এবং অবস্থান অনুযায়ী
  • বাজেট নির্ধারণ করুন এবং কতদিন ধরে প্রমোট করতে চান সিটি নির্বাচন করুন
  • এরপর পেমেন্ট মেথড হিসেবে বিকাশের ভার্চুয়াল কার্ডটি নির্বাচন করুন এবং কনফার্ম করুন
প্রমোট মনিটরিং ও বিশ্লেষণ করুনঃ আপনার পেজ প্রমোট শুরু হলে ফেসবুকে "Insights" বা ”ইনসাইটস” সেকশনে গিয়ে এর ফলাফল পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। এখানে আপনি জানতে পারবেন কতজন মানুষ পোস্টটি দেখেছে কতজন লাইক কমেন্ট বা শেয়ার করেছে।

বিকাশ দিয়ে সরাসরি ফেসবুক পেজ প্রমোশন বা পোস্ট করা সম্ভব নয় কারণ ফেসবুকের এড ম্যানেজার বিকাশ কে সরাসরি পেমেন্ট মাধ্যমিক হিসেবে সমর্থন করে না। তবে বিকল্প উপায়ে আপনি এটি করতে পারেন। সাধারণত কিছু নির্ভরযোগ্য ত্রিপক্ষ বা এর মাধ্যমে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

এই মাধ্যমগুলো বিকাশের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে এবং তারপর তাদের ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের মাধ্যমে ফেসবুক বুস্টের পেমেন্ট করে থাকে। আপনার পেজ বা পোস্ট বুস্ট এর জন্য ফেসবুকে নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সেটআপ করবেন যার নির্ধারিত লক্ষ্য বস্তু বা টার্গেট অডিয়েন্সকে পৌঁছাতে সহায়ক হবে । 

বিশ্বস্ত দ্বিতীয় পক্ষের সাথে কাজ করলে এই পদ্ধতিটি বেশ কার্যকরী তবে সাবধান থাকতে হবে প্রতারণার ব্যাপারে। কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি এই সার্ভিস সরবরাহ করে থাকে যেমন VISER X যাদের বিশেষভাবে সহযোগিতায় এবং নির্দিষ্ট লক্ষ নির্ধারণের সাহায্য করে এই পদ্ধতিতে বাজেট টার্গেট, অডিয়েন্স এবং কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা করা হয়।

লিংক-১   https://lutforpro.com/boost-facebook-with-bikash/
লিংক-২  https://viserx.com/blog/digital-marketing/facebook-boost-bd

ফ্রিতে ফেসবুক পেজ বুস্ট

ফেসবুক পেজ বুষ্ট করতে কত টাকা লাগে তা যেন আমাদের মাথায় সব সময় ঘোরাফেরা করে। কিন্তু ফেসবুক পেজে ফ্রিতে বুস্ট করা যায় তা আমরা অনেকেই জানিনা। ফ্রিতে ফেসবুক পেজ বুস্ট করার জন্য কিছু কার্যকরী পদ্ধতি রয়েছে যা ব্যবহার করে আপনি আপনার পেইজের অর্গানিক গ্রোথ বাড়াতে পারেন।

প্রথমত, পেজে আকর্ষণীয় ও গুণগতমান সম্পন্নের কনটেন্ট পোস্ট করুন যা আপনার টার্গেট দর্শকদের কাছে প্রাসঙ্গিক। পোষ্টের মধ্যে ভিডিও ছবি ব্যবহার করলে আরো সহজেই ব্যবহারকারীরা মনোযোগ আকর্ষণ করে। পোষ্টের মাঝে মাঝে কনটেস্ট বা গিভঅ্যাওয়ে আয়োজন করেও আকর্ষণ বাড়ানো সম্ভব, কারণ এতে দর্শকরা তাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে এবং নতুন ফলোয়ার আসার সম্ভাবনা বাড়ে।

অন্যদিকে ফেসবুক স্টোরিজ ও লাইভ সেশনগুলোর মাধ্যমেও সরাসরি দর্শকদের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট তৈরি করতে পারেন, যা আপনার পেজকে আরো পরিচিত করতে সাহায্য করবে। ফেসবুক গ্রুপে অংশগ্রহণ করা বা নিজের পেজ সম্পর্কিত গ্রুপ তৈরি করেও পেজের পরিসর বানানো যায়।

পোষ্টের সাথে আকর্ষণীয় ক্যাপশন ব্যবহার করে দর্শকদের লাইক বা কমেন্ট করার আহ্বান জানানো কার্যকর হতে পারে। ফেসবুক ইনসাইটস নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে কি ধরনের কন্টেন্ট দর্শকদের পছন্দ হচ্ছে তা জানার চেষ্টা করুন সঠিক সময়ে পোস্ট করার জন্য ব্যবহারকারীদের ব্যস্ততার সময় সম্পর্কে তথ্য নিয়ে পরিকল্পনা করুন।

ফেসবুকের এলগরিদম প্রাসঙ্গিক কনটেন্টকে অগ্রাধিকার দেয়, তাই নিয়মিত এবং মানসম্মত পোস্ট করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ফেসবুক লাইভ করা এবং লাইভে সরাসরি ফলোয়ারদের সাথে সংযোগ স্থাপন করাও রিচ বাড়াতে সাহায্য করে। ফলোয়ারদের সাথে নিয়মিত ইন্টারেক্টিভ যোগাযোগ বা লাইভ স্ট্রিমিং ফলোয়ারদের পেজের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়ায়।

তৃতীয়ত বিভিন্ন কমিউনিটি গ্রুপে পেজের পোস্ট শেয়ার করাও সহায়ক হতে পারে তবে এতে অবশ্যই স্প্যামিং এড়াতে হবে। পেজের ফলোয়ারদের মন্তব্যের উত্তর দেয়া এবং তাদের পোস্টে ত্যাগ করা কুইজ বা পোলের আয়োজন করা এবং কনটেন্ট শেয়ার করার মতো স্ট্রাটেজি নিয়মিত প্রয়োগ করলে ফেসবুক পেজের অর্গানিক রিড বাড়ানো সম্ভব।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে প্রবেশ করুন

১ম লিংকঃ https://www.shortstack.com/blog/free-ways-to-drive-traffic-to-your-facebook-page

২য় লিংকঃ https://www.reliablesoft.net/increase-facebook-organic-reach

বুস্টিং সার্ভিস

ফেসবুক পেজ বুস্ট করতে কত টাকা লাগে সেটাই সব সময় আমাদের মাথায় ঘুরপাক করে। কিন্তু বুস্টিং সার্ভিস এর মাধ্যমে আমাদের পেজ একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। বুস্টিং সার্ভিস হোলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি পদ্ধতি, যার সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা টুইটারে একটি নির্দিষ্ট পোস্ট বা পেজকে আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।

বুস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করে নির্দিষ্ট লক্ষ্য বস্তু দর্শকদের (বয়স, লিঙ্গ, অনুভূতি, স্থান, অনুযায়ী) কাছে সহজেই পৌঁছানো সম্ভব। কন্টেন্টের অর্গানিক রিচ এবং এনগেজমেন্টের হার বৃদ্ধি পায়।

বুস্টিং সার্ভিস এর সুবিধাঃ
  • ট্রাফিক বৃদ্ধিঃ বুস্টিং এর মাধ্যমে পোস্ট কে নির্দিষ্ট দর্শকদের কাছে পৌঁছানো হয়, যা পেজে ট্রাফিক বাড়ায়
  • কাস্টমার এনগেজমেন্ট বৃদ্ধিঃ পোস্টে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার বেড়ে গিয়ে কাস্টমার এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পায়
  • ব্র্যান্ড ভিজিবিলিটিঃ ব্র্যান্ডের সাথে পরিচিত বাড়াতে এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক তৈরিতে সহায়তা করে
  • পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণঃ বুস্টিং করার পর বিভিন্ন পরিসংখ্যা দেখে পোষ্টের কার্যকারিতা বোঝা যায়, যা ভবিষ্যতের মার্কেটিং কৌশল ঠিক করতে সাহায্য করে
সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে একটি পোস্ট বা পেজকে নির্দিষ্ট বাজেট দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বুস্ট করা হয়। কনটেন্টি আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়। ব্যবসায়িক পেজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটির মাধ্যমে নতুন কাঠমারদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ বাড়ে।

বুস্টিংয়ের খরচ নির্ভর করে টার্গেট অডিয়েন্স এবং সময়সীমার উপর। শুরুতে কম বাজেট দিয়ে পরীক্ষামূলক বুস্টিং করে পোস্টের ফলাফল যাচাই করা যেতে পারে, এরপর আরো বড় বাজেটে এটি সম্প্রসারিত করা যেতে পারে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনি নিচের লিংকে ক্লিক করতে পারেন-

১ম লিংকঃ https://blog.hubspot.com/marketing/facebook-post-boosting

২য় লিংকঃ  https://sproutsocial.com/insights/facebook-boosting-guide

ফেসবুক বুস্ট করতে বিভিন্ন ধরনের কার্ড

আমরা জানি ফেসবুক পেজ বুস্ট করতে সাধারণভাবে আন্তর্জাতিক ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন হয়। কারণ ফেসবুকের এড ম্যানেজার পারফর্মে আপনি সরাসরি ভিসা, মাস্টার কার্ড বা আমেরিকান এক্সপ্রেস এর মত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন কার্ডগুলো ব্যবহার করতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে ফেসবুক বুস্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ধাপ গুলো নিচে দেয়া হলো-

ডুয়েল কারেন্সি কার্ডঃ বাংলাদেশ থেকে ফেসবুক অ্যাড বুস্ট করার জন্য আন্তর্জাতিক বা ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট/ ক্রেডিট কার্ড থাকা প্রয়োজন। ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দিয়ে আপনি ফেসবুকের বিজ্ঞাপন পেমেন্ট করতে পারবেন। এই কার্ডগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত এবং ব্যাংক থেকে বা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ( যেমন বিকাশ, নগদ) এর মাধ্যমে পাওয়া যায়।

ফেসবুক-পেজ-বুস্ট-করতে-কত-টাকা-লাগে


ভার্চুয়াল কার্ডঃ  বর্তমানে অনেক ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড অথবা ভিসা কার্ডের সুবিধা দেয়, যা আপনি অনলাইনে ব্যবহার করতে পারবেন। বিকাশ রকেটের মাধ্যমে ভার্চুয়াল কার্ড তৈরি করে, তা facebook অ্যাড পেমেন্টে সংযুক্ত করতে পারেন। এই ধরনের ভার্চুয়াল কার্ডে সীমিত পরিমাণ অর্থ লোড করে ফেসবুক বুস্টের জন্য ব্যবহার করা যায়।

কার্ড সংযুক্তি প্রক্রিয়াঃ আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লগইন করে
  1. ফেসবুকে আপনার পেজে যান
  2. ”Settings” বা ”সেটিংস” এ ক্লিক করুন
  3. "Billing" বা ”বিলিং” সেকশনে যান
  4. এখানে “Add Payment Method" option পাবেন, সেখানে ক্লিক করে বিকাশে ভার্চুয়াল কার্ডের তথ্য দিন  (কার্ড নাম্বার, এক্সপায়ারি ডেট, সিভিসি) এবং ফেসবুকে সেটি সংযুক্ত করুন।
বিকল্প ব্যবস্থাঃ যদি আপনার আন্তর্জাতিক ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড না থাকে, তবে কিছু এজেন্সি বা মিডিয়েটরের মাধ্যমে আপনি বুস্টিং বানাতে পারেন। তবে এর জন্য ফেসবুকের সাপোর্ট থেকে পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এইসব ব্যবস্থার মাধ্যমে আপনি সহজেই ফেসবুক বুস্ট করাতে পারেন এবং আপনার ব্যবসার প্রচারণা কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে পারেন।

ফেস বুক পেজ সর্বনিম্ন কত টাকায় বুস্ট করা যায়

বর্তমান সময়ে ডলারের মূল্য অনেক বেশি এবং ফেসবুক পেজ বুস্ট করার জন্য ডলার ব্যবহার করা হয়। যার জন্য যখন ডলারের দাম কম থাকে তখন ফেসবুক পেজ বুস্ট করলে ভালো হয়। ফেসবুক পেজ বুস্ট করার জন্য প্রতিদিন সর্বনিম্ন এম মার্কিন ডলার বা এর সমমানের অর্থ খরচ করতে হয়।

ফেসবুক পেজটি আপনি কতজন দর্শককে টার্গেট করতে চান তাদের অবস্থান, বয়স এবং অন্যান্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়। যদিও বেশি বাজেটে বেশি দর্শক এবং ভালো ফল পাওয়া সম্ভব, তেমনি কম বাজেটেও সীমিত পরিচয় কার্যকর প্রচারণা সম্ভব।

বুস্টিংয়ের মোট খরচ নির্ধারিত হয় কয়েকটি বিষয়ের উপর যেমন- টার্গেট দর্শকের সংখ্যা, স্থান এবং পোস্ট এর ধরন। আপনি পোস্ট বুট করার সময় একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের জন্য যেমন ( ৩ দিন, ৭ দিন) বাজেট নির্ধারণ করতে পারেন, যা দৈনিক ভিত্তিতে সমাধাবে বিতরণ করা হয়। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-

১ম লিংকঃ https://megadigital.ai/en/blog/boost-post-on-facebook

২য় লিংকঃ https://zeru.com/blog/how-much-does-it-cost-to-boost-a-post-on-facebook

ফেসবুকের বিভিন্ন বুষ্ট অপশন ও তার খরচ

ফেসবুকে পোস্ট বা পেজ বুস্ট করার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অপশন রয়েছে, যা মূলত আপনার প্রচারণার লক্ষ্য ও বাজেট অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। পোস্ট বুস্ট করতে চাইলে আপনি প্রথমে সেই পোস্টটি নির্বাচন করবেন, এরপর লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন।

লক্ষ্য হতে পারে আরো রিঅ্যাকশন, শেয়ার, কমেন্ট অথবা আপনার ব্যবসা বা পণ্য সম্পর্কে আরো বেশি মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা। ফেসবুক আপনার নিদৃষ্ট পোষ্ট টিকে অধিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে, যা মূলত নির্দিষ্ট কিছু অর্থ দিয়ে করা সম্ভব।

ফেসবুকে পেজ বা পোস্ট বুস্ট করতে সর্বনিম্ন খরচ হতে পারে প্রতিদিন $১ বা আনুমানিক ১০০ টাকা। তবে আপনার পছন্দের দর্শকগোষ্ঠী এবং বুস্টের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী খরচ পরিবর্তনশীল হতে পারে আপনি চাইলে নিজে থেকে একটি নির্দিষ্ট দর্শক গোষ্ঠী নির্ধারণ করতে পারেন, যেখানে বয়স অবস্থান লিঙ্গ এবং আগ্রহের ভিত্তিতে লক্ষ্য নির্ধারণ সম্ভব।

এছাড়া"Boost Post"  অপশন থেকে পেজের লাইকিং দর্শক এবং তাদের বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছানোরও সুযোগ থাকে। যখন ফেসবুকে বু্স্ট করবেন, আপনি চাইলে এক নির্দিষ্ট সময় বা নির্ধারিত বাজেট অনুযায়ী সেট করতে পারবেন, দিন অনুযায়ী খরচ ভাগ করে দিবে।

যেসব ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডকে সামগ্রিকভাবে প্রচার করতে চান, সেখানে বুস্ট কার্যকর হতে পারে। তবে খুব নির্দিষ্ট লক্ষ্য ( যেমন-- বিক্রয় বাড়ানো) হলে ফেসবুকের বিজ্ঞাপনী ক্যাম্পের এর মাধ্যমে বুস্ট এর চেয়ে আরো ভালো ফলাফল পেতে পারেন। বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করেন-

১ম লিংকঃ https://squarep.com/us/en/the-bottom-line/reaching-customers/how-to-boost-facebook-posts

২য় লিংকঃhttps://mavsocial.com/boost-facebook-post-complete-guide/

৩য় লিংকঃ https://www.socialmediaxaminer.com/facebook-boost-post-promoted-posts/ কি করছো রাব্বু

মন্তব্য | ফেসবুক পেজ বুস্ট করতে কত টাকা লাগে

ফেসবুক পেজ বুস্ট করতে কত টাকা লাগে, এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে বিভিন্ন ফ্যাক্টর এর ওপর। আপনার লক্ষ্য, টার্গেট অডিয়েন্সের ধরন এবং প্রচারণার দৈর্ঘ্য অনুযায়ী এটা ভিন্ন হতে পারে। ফেসবুক বুস্টিংয়ের সর্বনিম খরচ প্রতিদিন মাত্র ১ ডলার বা আনুমানিক ১০০ টাকার মধ্যে হতে পারে, পরিমাণ বাড়ালে আরো বেশি মানুষকে পৌঁছানো সম্ভব।

উদাহরণস্বরূপ, একটি সাধারন পোস্টের জন্য সীমিত বাজেটেও কয়েক হাজার মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়, যেখানে বড় প্রচারণার জন্য হাজার টাকা খরচ হলেও বিস্তৃত দর্শকদের কাছে ব্র্যান্ড টি পৌঁছানো সহজ হয়। 

পোস্ট বা পেজ বুস্টিং কৌশল ব্যবসা বা ব্যক্তিগত প্রোফাইলের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হতে পারে কারণ এটি অল্প খরচের নির্দিষ্ট লক্ষ পূরণে সাহায্য করে। সঠিক পরিকল্পনা এবং বাজেট বরাদ্দের বুস্টিং ফলপ্রসু হয় আমার এই ব্লগ থেকে আপনাদেরকে ফেসবুক পেজ বুস্ট করতে কত টাকা লাগে তার সম্পর্কে যে ধারণা দিয়েছি তা বুঝতে পেরেছেন ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন ২৪ ব্লক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url