বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম আমাদের বাংলা ভাষায় একটি নিবন্ধ লেখার শিল্প। এটি শুধুমাত্র তথ্যের বিনিময় নয়, বরং শব্দের গভিরতা এবং পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগিয়ে তোলার ক্ষমতার প্রকাশ।বর্তমান সময়ে বাংলা আর্টিকেল মানুষের মন জয় করছে।
এই শিল্পের প্রতিটি বাক্যে থাকে একটি স্বতন্ত্র ধ্বনি, প্রতিটি শব্দে থাকে এক অমিল ছন্দ। আর এই আর্টিকেল লিখার জন্য কয়েকটি ধাপ রয়েছে। আর্টিকেলের সকল ধাপ এবং এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার নিয়ম আজকের এই পুরো পোস্ট জুড়ে থাকছে বিশ্লেষণ যার জন্য সাথেই থাকুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম।
- বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- আকর্ষনীয় পোস্ট টাইটেল বা শিরোনাম নির্বাচন
- ফোকাস কীওয়ার্ড নির্বাচন | কন্টেন্ট রাইটিং
- সেকেন্ডারী কীওয়ার্ড নির্বাচন | বাংলা আর্টিকেল নিয়ম
- ভূমিকা বাটন তৈরী | বাংলা আর্টিকেল রাইটিং
- পোস্টের ভূমিকা বা মেটাডেসক্রিপশন | রাইটিং কনটেন্ট
- পোস্ট সূচীপত্র | বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম
- হেডলাইন লেখার নিয়ম | বাংলা আর্টিকেল রাইটিং
- বিভিন্ন ইমেজ সাইজ | কনটেন্ট রাইটিং
- ফিচার ইমেজ | বাংলা আর্টিকেল রাইটিং
- কপি রাইটিং| আর্টিকেল রাইটিং
- স্ক্রিনশট এর নিয়ম| আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- আরও পড়ুন নিয়ম | কনটেন্ট রাইটিং
- লেখকের মন্তব্য | শেষকথা | উপসংহার
- ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখা | বাংলা আর্টিকেল লেখা
- নাম্বার ও বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার
- মন্তব্য | বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম?
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম আর্টিকেল হলো একটি তথ্য ভিত্তিক রচনাশৈলী, যা কোন নিদির্ষ্ট বিষয়ের উপর বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রদান করে অনলাইন পাঠকদের জন্য আকর্ষণীয় ও উপযোগী করে তোলে। ব্লগ আর্টিকেল সাধারনত সংক্ষিপ্ত, সরল এবং পাঠকদের সাথে সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্য এ লেখা হয়। এটি প্রযুক্তি, জীবনধারা, ভ্রমন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয় হতে পারে ।
বাংলা আর্টিকেলের মুল লক্ষ্য হলো পাঠকদের জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং কোন নিদির্ষ্ট বিষয়ের গভীর ধারনা প্রদান করে। বাংলা আর্টিকেল লেখার সময় বিষয়ের গভীরতা, সঠিক তথ্য এবং পরিষ্কার ভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করা গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলা ব্লগের জন্য আর্টিকেল লিখতে হলে আপনাকে বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে যেন পাঠকরা সহজে বিষয়টি বুঝতে পারে এবং তা থেকে উপকৃত হতে পারে। এক কথায় ব্লগ ওয়েবসাইটে বাংলা ভাষায় সহজতর ভাবে পোস্ট প্রকাশ করাই হচ্ছে বাংলা আর্টিকেল। বাংলা আর্টিকেল লেখার জগতে অনেক নিয়ম রয়েছে যেমন-
আকর্ষনীয় পোস্ট টাইটেল বা শিরোনাম নির্বাচন
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ব্লগ আর্টিকেলের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। পোস্টের আকর্ষণীয় টাইটেল নির্বাচন করা প্রধান কাজ । কারন একটি সুন্দর লোভনীয় টাইটেল পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষন করে এবং সে পোস্টটি পড়বে কি না তা অনেকাংশে নির্ভর করে। তাই পোস্টের টাইটেল হবে হবে সংক্ষিপ্ত ও সরল যাতে পাঠক দ্রুত বুঝতে পারে ব্লগটি কী সম্পর্কে।
বাংলা আর্টিকেলে আবশ্যই আপনাকে প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। যা সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংকিং উন্নত করবে এবং সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে। শিরোনাম সবসময় ৫ থেকে ৮ শব্দের হতে হবে। অনেক আকর্ষনীয় ভাষা দিয়ে শব্দ বা বাক্য গঠন ব্যবহার করুন যেন পাঠককে কৌতুহল করে তোলে। যেমন-”সহজ উপায়ে আপনার লেখনি দক্ষতা বাড়ান”।
বাংলা আর্টিকেল লিখার সময় অবশ্যই প্রশ্নবোধক শিরোনাম ব্যবহার করবেন যাতে পাঠকের মধ্যে সেই মহুর্তে উত্তর জানার আগ্রহ তৈরী হয়। যেমন-কীভাবে দ্রুত ওজন কমাবেন? যদি আপনি কোন সমাধান বা উপকারিতা তুলে ধরেন তা শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত করবেন। যেমন- ”মাত্র সাত দিনে প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর ৫টি কার্যকর কৌশল”।
একটি ব্লগ পোস্টে টাইটেল তাহলে অনেক গুরুত্বপুর্ন বিষয় তা আপনি সহজেই বুঝতে পারলেন। একটি আর্টিকেলে সঠিক টাইটেল পাঠকের কাছে ব্লগটি পড়ার জন্য অনেক গুরুত্ব বাড়ায় এবং ওয়েবসাইটে ক্লিক বাড়াতে সাহায্য করে। বিধায় সঠিক টাইটেল আর্টিকেলের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
ফোকাস কীওয়ার্ড নির্বাচন | কন্টেন্ট রাইটিং
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এ ফোকাস কীওয়ার্ড নির্বাচন, ব্লগ আর্টিকেলের SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) সফল করার একটি অন্যতম মুল উপাদান। আপনি যদি সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচন করেন তবে আপনার ব্লগ পোস্টটি সার্চ ইঞ্জিনে খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে এবং আপনি আরও বেশি পাঠকের দৌড় গোড়ায় পৌছাতে পারবেন।
আপনার ব্লগ পোস্ট আর্টিকেলটি যে বিষয়ে লেখা, তার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত কীওয়ার্ড নির্বাচন করবেন। সেই কীওয়ার্ডটি যেন আপনার মুল বিষয়ের সারাংশ প্রকাশ করে। আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনার টার্গেট পাঠক কী ধরনের তথ্য খুঁজছে। আপনার পাঠকের সাধারন প্রশ্ন বা সমস্যার উত্তর দিতে পারে এমন কীওয়ার্ডই বাছাই করবেন।
বিভিন্ন কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল (যেমন- Google Keyword Planner, Keyword Generator, Ubersuggest) ব্যবহার করে কীওয়ার্ড এর সার্চ ভলিউম ও প্রতিযোগীতার মাত্রা দেখুন। আর্টিকেলের জন্য এমন কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন যেন সেগুলোর সার্চ ভলিউম ভালো এবং প্রতিযোগীতা কম বা মাঝারী পর্যায়ে।
বাংলা আর্টিকেল লেখার জন্য লং-টেইল কীওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে যা নিদির্ষ্ট পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে। এগুলোর সাধারনত কম প্রতিযোগীতা হয় এবং নিদির্ষ্ট বিষয়ে ফোকাস করতে সাহায্য করে। যেমন- বাংলা ব্লগে কীভাবে SEO করবেন।
আপনার বাংলা ব্লগ পোস্টের আর্টিকেলে কোন নিদির্ষ্ট সময়ের জনপ্রিয় বা ট্রেন্ডিং বিষয়বস্তু নিয়ে ফোকাস কীওয়ার্ড নির্বাচন করলে আপনার ব্লগটি আরও বেশি ভিউ পেতে পারে। সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচন করলে আপনার ব্লগ পোস্ট সার্চ ইঞ্জিনে আরও ভালো র্যাংক করবে এবং প্রাসঙ্গিক পাঠকেরা তা সহজে খুঁজে পাবে।
সেকেন্ডারী কীওয়ার্ড নির্বাচন | বাংলা আর্টিকেল নিয়ম
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এ সেকেন্ডারী কীওয়ার্ড এমন একটি গুরুত্বপূর্ন শব্দ বা বাক্যাংশ যা মুল ফোকাস কীওয়ার্ড এর পাশাপশি আটিকেলের বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত থাকে এবং সার্চ ইঞ্জিনে আপনার পোস্টের র্যাংক বাড়াতে সাহায্য করে। সেকেন্ডারী কীওয়ার্ড আপনার মুল বিষয়কে আরও গভির ভাবে আলোচনা করে এবং পাঠক তা ভালো ভাবে বুঝে।
আর্টিকেল লেখার সময় বিভিন্ন সেকেন্ডারী কীওয়ার্ড ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার পোস্ট একাধিক প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ডের মাধ্যমে খুঁজে পাবেন এবং আপনাার পোস্টে র্যাংক বৃদ্ধি পাবে। যেমন- যদি আপনার ফোকাস কীওয়ার্ড হয় “ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম” তবে সেকেন্ডারী কীওয়ার্ড হবে “বাংলা আর্টিকেল লেখার টিপস”।
ভূমিকা বাটন তৈরী | বাংলা আর্টিকেল রাইটিং
আপনি যদি আপনার ব্লগে আপনার পাঠককে দীর্ঘসময় ধরে রাখতে চান তবে অবশ্যই আপনি আপনার ব্লগে একটি ভূমিকা বাটন তৈরী করবেন। যে ভৃুুমিকা বাটনটি হবে উক্ত পোস্ট রিলেটেড অন্য একটি পোস্টের ফোকাস কীওয়ার্ড এবং তার লিংক যুক্ত করে দিবেন। পাঠক যেন আকৃ্ষ্ট হয়ে আপনার এই পোস্টটি পড়ার পর সেই ভুমিকা বাটনের পোস্টটি পড়ে।
আপনি যখন ভুমিকা বাটন তৈরী করবেন তখন সেই পোস্ট তো উক্ত পোস্ট রিলেটেড হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে, যেন ভূমিকা বাটনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬টি শব্দ থাকে। আর্টিকেলের ভূমিকা বাটন ৬টি শব্দের হতে হবে। বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মে ভুমিকা বাটনের গুরুত্বপুর্ন তথ্য।
পোস্টের ভূমিকা বা মেটাডেসক্রিপশন | রাইটিং কনটেন্ট
একটি আর্টিকেলে ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যার মাধ্যমে পাঠকেরা দ্রুততার সাথে বুঝতে পারে এই আর্টিকেল তাদের প্রয়োজীয় তথ্য বহন করে কি না। বিশেষ করে মোবাইল বা ছোট স্ক্রিনে পড়ার সময় এটি অত্যন্ত উপকারী, কারন এতে ব্যবহারকারীরা এক ক্লিকে তথ্যটি দেখতে পারে পরবর্তীতে সম্পুর্ণ পড়বে কি না।
একটি ব্লগের আর্টিকেলে ভূমিকা বা মেটা ডেসক্রিপশন লিখার নিয়ম রয়েছে। ভূমিকা বা মেটাডেসক্রিপশন অবশ্যই ৪ লাইন হতে হবে তার বেশি লেখা যাবে না। আর্টিকেলের এই ভুমিকা, ভূমিকা বাটনের নিচে ও Feture Image-1 এর উপরে ২লাইন এবং Feture Image-1 এর নিচে এবং পেজ সূচীপত্রের উপরে ২ লাইন লিখতে হবে।
এটি শুধুমাত্র আর্টিকেলকে ইন্টারেক্টিভ ও আকর্ষনীয় করে তোলে না বরং ইউজার এক্সপেরিয়েন্সও বাড়ায়। বিশেষ করে লম্বা ব্লগ পোস্টের ক্ষেত্রে ভূমিকা, পাঠকের সময় বাঁচায় এবং তাদের নিদির্ষ্ট বিষয়ের প্রতি মনোযোগ আকর্ষন করতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি ডিজাইন এবং উপস্থপনার ক্ষেত্রে ব্লগকে আরও আধুনিক ও পেশাদার বানায়।
আরও পড়ুনঃ
পোস্ট সূচীপত্র | বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম
একটি আর্টিকেলে পোস্ট সূচীপত্র অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে, বিশেষ করে আর্টিকেলটি যদি দীর্ঘ বা বিস্তারিত হয়। দীর্ঘ বা বিস্তারিত আর্টিকেলের ক্ষেত্রে পাঠকরা যে অংশটি পড়তে আগ্রহী, সেখানে সরাসরি যেতে পারে। এই পোস্ট সূচীপত্র পাঠকদের সময় বাচায় এবং প্রয়োজনী তথ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
একটি পোস্ট সূচীপত্র একটি আর্টিকেলকে সুন্দর ও সুশুঙ্খল করে তোলে। এটি আর্টিকেলের বিভিন্ন শিরোনাম ও উপ-শিরোনামের মাধ্যমে লেখার গঠন বোঝাতে সাহায্য করে। সূচীপত্র লেখার মান উন্নত করে এবং পাঠকের অভিজ্ঞতা মসৃন করে। পাঠক সহজেই বুঝতে পারে যে আর্টিকেলটি তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারবে কি না।
একটি আর্টিকেলে সর্বনিম্ন ১০ টি হেডলাইন রাখতে হবে। একটি সুন্দর পূর্ণাঙ্গ সূচীপত্র সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে (SEO) গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। একটি ভালোভাবে সাজানো গুছানো সুচীপত্র গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনকে বোঝায় যে আর্টিকেলটি কিভাবে সাজানো হয়েছে, যার ফলে র্যাংকিং উন্নত হয়। বিশেষ করে শিরোনমে কীওয়ার্ড ব্যবহার করলে।
একটি সুন্দর সুসংগঠিত সূচীপত্র একটি আর্টিকেলকে পেশাদার ও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। সূচীপত্রযুক্ত আর্টিকেলগুলো পাঠকদের মনে আরো বেশি প্রভাব ফেলে, কারন এটি দেখায় যে লেখক বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখা করেছেন। অতএব পোস্ট সুচিপত্র শুধু পাঠকদের অভিজ্ঞতা প্রদান করে না একটি আর্টিকেলের সার্বিক গুনগত মান বাড়ায়।
হেডলাইন লেখার নিয়ম | বাংলা আর্টিকেল রাইটিং
- একটি আর্টিকেলে প্রতিটি হেডলাইন ৫ থেকে ৮ টি শব্দের হতে হবে। এর বেশি হেডলাইন লেখা যাবে না
- প্রতিটি হেডলাইনের নিচে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ টি প্যারা ব্যবহার করবেন।
- প্রতিটি হেডলাইনের নিচ সর্বনিম্ন ২ টি প্যারা রাখতেই হবে।
- একটি আর্টিকেলের প্রতি ২টা হেডলাইন পর পর ১টি করে আরও পড়ুন রাখতে হবে।
- হেডলাইনের প্রতিটি প্যারায় ৩ থেকে ৩.৫ লাইন লেখা যাবে
- একটি আর্টিকেলের মধ্যে ৪ টি আরও পড়ুন সেকশন রাখতে হবে
- হেডলাইনে কোন ( ঃ,-,?,। ) চিহ্ন ব্যবহার করা যাবে না
- লেখকের মন্তব্য/উপসংহার/শেষকথা মোট ২ টি প্যারায় লিখতে হবে
বিভিন্ন ইমেজ সাইজ | কনটেন্ট রাইটিং
Feture Size: W-1100px & H-619 px
Favicon Size: W-200 Px & H- 200Px
Brand Logo Size: W-500Px & H-500 Px
Social Share Image Size: W-1000 Px & H-1000 Px
Header Logo Size" W-53 Px & H-283 Px
Banar Ad Size; W- 1000Px & H-90 Px
Screen Shot Size ; W-1000Px & H- যা আসবে তাই
ছবি দেওয়ার সময় Orginal করতে হবে এবং ৩টা ফিচার ইমেজ তৈরী করতে হবে এআই এর মাধ্যমে
ফিচার ইমেজ | বাংলা আর্টিকেল রাইটিং
একটি আর্টিকেলে ফিচার ইমেজ অনেক প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সেই বিষয়ে একটি সুন্দর ইমেজ যুক্ত করবেন। কারন একটি সু্ন্দর দৃশ্যমান ছবি পোস্টের মুল বিষয়বস্তু বা ভাবনাকে তুলে ধরে। আকর্ষনীয় ছবি দ্রুত পাঠকের মনে জায়গা নেয় এবং পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে।
একটি আর্টিকেলের যুক্তি বহনকারী ফিচার ইমেজ ব্লগের ব্রান্ডিং বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যদি প্রতিটি পোস্টোার জন্য একই ধরনের স্টাইল, রং, এবং লোগো ব্যবহার করা হয়, তাহলে ব্লগের পরিচিতি বাড়ে। ফিচার ইমেজে আর্ট টেক্সট ও কীওয়ার্ড যুক্ত করলে সার্চ ইঞ্জিনে পোস্টটির র্যাংক বৃদ্ধি পায় যা SEO এ জন্য কার্যকর।
কপি রাইটিং| আর্টিকেল রাইটিং
ব্লগে প্রকাশ করার জন্য আর্টিকেল যেন সুন্দর, সাবলীল, সহজ ও ছান্দসিক ভাষায় হয়। একটি আর্টিকেল যেন পাঠক পড়ে তৃপ্তি পায় সেইভাবে প্রকাশ করতে হবে। অন্য কারো ব্লগ থেকে আর্টিকেল কপি করা যাবে না। কপি করা আর্টিকেল গুগল সহজেই বুঝতে পারে এবং সেই আর্টিকেল ব্লক করে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ বা মানিটাইজেশন দেয় না।
পোস্টে বিভিন্ন ধরনের ছবি অ্যাড করতে হয়, সেই সব ছবি অনেকেই গুগল থেকে আপলোড করে বা লিংক দেয়। কিন্তু গুগল কর্তৃপক্ষ সব ছবি দেবার জন্য অনুমতি দেয় না। যে সব ছবি গুগল থেকে “ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স” এর ছবি থেকে দেয় সেগুলো দেয়া ভালো। কিন্তু এগুলোতে মাঝে মধ্যে ঝামেলা করে। তাই নিজের তোলা ছবি ব্যবহার করা ভালো।
একটি পারফেক্ট আর্টিকেল লেখার নিয়ম হচ্ছে আর্টিকেলটি আপনার লেখা হতে হবে কোন কপি রাইট না তেমনি ছবি টাও আপনার তোলা হতে হবে। বর্তমান সময়ে এআই এর মাধ্যমে ছবি তৈরী করার সুযোগ আছে। তাই এআই এর মাধ্যমে ছবি ক্রিয়েট করে পোস্টে ব্যবহার করতে হবে।
স্ক্রিনশট এর নিয়ম| আর্টিকেল লেখার নিয়ম
যদি আপনি বাংলা আর্টিকেল লেখার জব বা ফ্রিল্যান্সিং জব করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই স্ক্রীন শট নেয়ার নিয়ম বা ধরন জানতে হবে। কারন অনেক ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় স্ক্রীনশট যোগ করতে হয়। সেহুতু আপনি যদি সঠিক স্ক্রীনশট নিতে না জানেন তাহলে সঠিক ভাবে এড করতে পারবেন না।
কোন আর্টিকেলে কোন ছবির স্ক্রীনশট যোগ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে অতিরিক্ত কোন অংশ যেন না থাকে। অতিরিক্ত অংশ থাকলে পোস্ট দেখতে ভালো লাগবে না। তাই যেটুকু দরকার সেটুকু নিয়ে বাকি অংশ কেটে ফেলে সংযুক্ত করতে হবে। আপনি স্ক্রীনশট এর যে অংশ দেখাতে চাইছেন তা লাল কালি দিয়ে মার্ক করবেন।
আরও পড়ুন নিয়ম | কনটেন্ট রাইটিং
”আরও পড়ুন” একটি সাধারণ কৌশল যা ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল বা ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা হয়। আপনার ওয়েবসাইটে পাঠককে যদি দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই ”আরও পড়ুন” এই সাধারন কৌশল অবলম্বন করতে হবে। এটি সাধারনত কোনো নিদির্ষ্ট বিষয় বা এর সাথে সম্পর্কিত অতিরিক্ত কন্টেন্ট এর দিকে পাঠককে পড়ার সুযোগ করে দেয়।
একটি পোস্টে ঢুকে পাঠক যদি একটি পেজ থেকে অন্য পেজে চলে যায় এবং সেখানে গিয়ে বেশি সময় কাটায় তাহলে সাইটের বাউন্স রেট কমে যায় এবং সার্চ ইঞ্জিনের কাছে সাইটটির গুরত্ব বেড়ে যায়। ”আরও পড়ুন” লেখাগুলোর মাধ্যমে পাঠক একটি নিদির্ষ্ট বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য পেতে পারে. যা তার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করে।
আপনি যদি ”আরও পড়ুন” লিংকের মাধ্যমে ব্লগ বা সাইটের ভেতরের পেজগুলোতে ইন্টারনাল লিংকিং করা হয, যা SEO উন্নত করতে সহায়তা করে। এতে সার্চ ইঞ্জিনের বটগুলো অন্যান্য পেজ খুঁজে পায় এবং সাইটের গঠন বুঝতে পারে।
লেখকের মন্তব্য/উপসংহার/শেষকথা
প্রতিটি জিনিসের যেমন একটি শেষ আছে তেমনি আর্টিকেল লিখার জন্য অবশ্যই তার একট সুন্দর শেষ আছে। সব শেষে অবশ্য আপনার মন্তব্য দিতে হবে। পুরো পোস্ট আপনাকে ২ টি প্যারায় কমপক্ষে ৩ থেকে ৩.৫ লাইনের মন্তব্য লিখতে হবে।
আপনাকে এমন ভাবে লিখতে হবে যেন পাঠক আপনার কথায় খুশি হয় এবং সে জেন আপনার ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষন করেন। মনে রাখতে হবে যে উপসংহার বা লেখকের মন্তব্য বা শেষ কথা সর্বোচ্চ ২০০ শব্দের হতে হবে।
ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখা | বাংলা আর্টিকেল লেখা
আমরা অনেকেই মুল ওয়েবসাইটে পোস্ট না লিখে বিভিন্ন জায়গায় কনটেন্ট লিখে রাখি। তারপর সেইখান থেকে কপি করে নিয়ে এসে ওয়েবসাইটে পেশ করি। কেউ মোবাইলের নোট প্যাডে, কেউবা কম্পিউটারের মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখে রাখে এবং পরবর্তীতে কপি করে নিয়ে এসে পেস্ট করে পাবলিশ করে দেয়।
এভাবে মোবাইলের নোট প্যাড বা মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মত প্রোগ্রাম থেকে কপি করলে সেইখানকার প্রিফরমেটও কপি হয়ে যায়। যার ফলে ওয়েবসাইটে পেস্ট করলে দুই ফরমেট এক হয়ে গিয়ে ফ্রন্ট চেঞ্জ হয়, লেখা ছোটবড় হয় আবার অনেক সময় জাস্টিফাইও করা যায় না। তাই আপনারা কখনও অন্য কোথাও না লিখে সরাসরি ওয়েবসাইটে লিখে ড্রাফট করবেন।
নাম্বার ও বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার
আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার সময় আপনাকে পোস্ট সৌন্দর্যের কথা মনে রাখতে হবে। বিভিন্ন ধরনের তথ্য, টিপস বা পয়েন্টগুলো উপস্থাপনের জন্য নাম্বার বা বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করেন। এত করে পোস্ট টি দেখতে অনেক সুন্দর এবং গোছানো মনে হবে।
তাহলে একটি আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই মনে রাখবেন যে, নাম্বার ও বুলেট পয়েন্ট দিতে হবে। আর্টিকেলের শর্তই হচ্ছে দেখতে সুন্দর গোছানো হবে।
মন্তব্য | বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম আমাদেরকে ব্লগে অবশ্যই প্রয়োগ করতে হবে। এই যাত্রার শেষে, আবার দেখা হবে, নতুন কিছু লেখার দেশে। তোমাদের সঙ্গ পেয়ে আমি হলাম ধন্য, আবার আসবো শীঘ্রই, গল্প নতুন অজানা নিয়ে। প্রিয় পাঠক আজকের এই লেখায় আপনাদের সঙ্গ পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত। প্রতিটি শব্দের মধ্যে আমি চেষ্টা করেছি আমার মনের ভাব এবং আপনাদের প্রয়োজনের কথা তুলে ধরতে।
এখানেই শেষ নয় আমরা আবারও মিলিত হবো নতুন কিছু বিষয় নিয়ে। ততদিন পর্যন্ত আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আপনাদের ভালোবাসা এবং সমর্থন আমার লেখার পথকে আরও প্রসারিত করতে স্বার্থক হোক। পুরো ব্লগে আমার সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে অশেষ কি ধন্যবাদ।
প্রশ্ন ২৪ ব্লক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url