কিভাবে ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ করবেন
কিভাবে ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ করবেন সেই সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ চালু করলে আপনার একাউন্টের নিরাপত্তা আরো জোরদার হয়। ফেসবুক একাউন্ট নিরাপত্তার জন্য টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ অবশ্যই প্রয়োজন।
ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর প্রমাণ করুন অ্যাকাউন্টের সুরক্ষায় একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা। এটি চালু রাখলে কেবলমাত্র পাসওয়ার্ড জানলেই আপনার একাউন্টে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। ফেসবুক সুরক্ষায় আজকে আমরা এই টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
পোস্টসুচীপত্রঃ কিভাবে ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ
- কিভাবে ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর প্রমাণিকরণ বন্ধ করবেন
- ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর ও অথেন্টিকেশন কি?
- কেন ফেসবুক আমাকে দুই ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ ব্যবহার করতে বাধ্য করছে?
- কিভাবে ফেসবুক থেকে প্রমাণীকরণ অ্যাপ অপসারণ করব
- টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ করলে সম্ভাব্য ঝুঁকি
- টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ অক্ষম করার পর বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা
- কিভাবে ফেসবুক টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ চালু করবেন
- প্রমাণীকরণ অপসারণের পর নিরাপত্তার উপর প্রভাব
- নিশ্চিতকরণ আপনার সিদ্ধান্তের সত্যতা যাচাই করা
- মন্তব্যঃ কিভাবে ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ করবেন
কিভাবে ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর প্রমাণিকরণ বন্ধ করবেন
কিভাবে ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর প্রমাণিকরণ বন্ধ করবেন এটা জানার আগে আমাদেরকে অবশ্যই টু-ফ্যাক্টর প্রমাণিকরণ কি সেই সম্পর্কে জানতে হবে। টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা যা চালু করলে, ফেসবুকে লগইন করার সময় একটি অতিরিক্ত কোডের প্রয়োজন হয়।
এটি চালু রাখার ফলে কেবলমাত্র পাসওয়ার্ড দিয়েই একাউন্টে প্রবেশ করা সম্ভব হয় না, বরং ফেসবুক প্রতি লগইন সেশনের জন্য একটি কোড পাঠায়, যা এসএমএস, প্রমাণীকরণ অ্যাপ বা হোয়াটসঅ্যাপ- এর মাধ্যমে পাওয়া যায়। তাই সহজে কেউ লগইন করতে পারে না।
এটি চালু করার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে যদি কারো কাছে আপনার পাসওয়ার্ড থাকে তবুও তারা কোড ছাড়া আপনার একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের একটি অক্ষম করার প্রয়োজন হতে পারে।
ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর কিভাবে বন্ধ করা যায় আজকে আমরা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। ফেসবুক টু ফ্যাক্টর প্রমাণিকরণ বন্ধ করার জন্য কতগুলো পদক্ষেপ রয়েছে, সেই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন-
ফেসবুকে লগইন করুনঃ আপনার ফেসবুক একাউন্টে প্রবেশ করুন।
Settings & Privacyঃ উপরের ডান দিকে থাকা প্রোফাইল ছবি বা মেনু আইকনে ক্লিক করে Settings & Privacy তে যান এবং Settings নির্বাচন করুন।
Security and Login নির্বাচন করুনঃ বাম পাশের মেনু থেকে সিকিউরিটি এন্ড লগইন অপশনে ক্লিক করুন।
Two-Factor Authentication সেকশনটি খুঁজুনঃ এই পৃষ্ঠায় একটু নিচে স্ক্রল করলে Two-Factor Authentication নামক একটি বিভাগ পাবেন। যেখানে Edit বাটনে ক্লিক করুন।
Turn Off অপশন নির্বাচন করুনঃ টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণের সেটিংস পৃষ্ঠায় Turn Off অপশনটি দেখতে পাবেন। এটি ক্লিক করলে ফেসবুক আপনার কাছে নিশ্চিত হতে চাইবে, যে আপনি সত্যিই এটি বন্ধ করতে চান কিনা।
নিশ্চিতকরণঃ যদি আপনি নিশ্চিত থাকেন, তবে Confirm বাটনে ক্লিক করে প্রমাণিকরণ বন্ধ করতে পারেন। এর ফলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইনের সময় আর কোন অতিরিক্ত কোডের প্রয়োজন হবে না।
এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার মাধ্যমে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ হবে। মনে রাখবেন, টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ করলে আপনার একাউন্টে শুধুমাত্র পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করা যাবে, যা কিছুটা নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এজন্য মজবুত পাসওয়ার্ড ব্যবহার এবং সন্দেহজনক লিংক বা ইমেইল এড়িয়ে চলা জরুরী।
ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর ও অথেন্টিকেশন কি?
ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর ও অথেন্টিকেশন কি বলতে ফেসবুকের একটি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যকে বোঝায়, যা আপনার অ্যাকাউন্ট কে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেয়। এটি চালু রাখলে, আপনার অ্যাকাউন্টে কেবলমাত্র পাসওয়ার্ড দিয়েই প্রবেশ করা যায় না। পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি আপনাকে একটি ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে প্রবেশ করতে হয়।
ফেসবুক প্রতি লগইন সেশনের জন্য আপনার নির্দিষ্ট ডিভাইস বা মোবাইলে একটি কোড পাঠায়। ফলে কেউ যদি আপনার পাসওয়ার্ড জানে বা চুরি করেও ফেলে, তবুও সে কোড ছাড়া আপনার একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না।
টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করার পর, ফেসবুক আপনাকে কোড পাওয়ার কয়েকটি অপশন দেয় যেমন- মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে কোড প্রাপ্তি বা google অথেন্টিকেটর বা অন্য প্রমাণীকরণ অ্যাপের মাধ্যমে কোড তৈরি করা। কিছু ক্ষেত্রে আপনি পরিচিত ডিভাইস গুলোকে Trusted Device হিসেবে সেট করতে পারেন যাতে লগইনে কোড প্রয়োজন হয়।
টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু থাকলে, আপনি ফাঁসিনা আক্রমণ ও অন্যান্য সাইবার হুমকি থেকে নিরাপদ থাকতে পারেন। কারণ এটি নিশ্চিত করে যে পাসওয়ার্ড ফাঁস হলেও আপনার অ্যাকাউন্ট অতিরিক্ত কোড ছাড়াই নিরাপদ থাকে।
এই নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যটি ফেসবুক একাউন্টের সুরক্ষা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করেন এবং আপনার একাউন্টে ব্যক্তিগত তথ্য থাকে, তবে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু রাখা সর্বদা ভালো।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো
কেন ফেসবুক আমাকে দুই ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ ব্যবহার করতে বাধ্য করছে?
কেন ফেসবুক আমাকে দুই ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ ব্যবহার করতে বাধ্য করছে এই কথাটির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য আছে। ফেসবুক মাঝে মাঝে কিছু ব্যবহারকারীকে দুই-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বাধ্যতামূলকভাবে চালু করতে বলে, যার প্রধান কারণ হলো নিরাপত্তা।
ফেসবুক একটি বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হওয়ায়, এটি হ্যাকিং, ফিসিং এবং অন্যান্য সাইবার আক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে। এ কারণে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের একাউন্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দুই ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ চালু রাখতে উৎসাহিত করে এবং কিছু ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করে।
টু-ফ্যাক্টর প্রমাণিকরণ চালু থাকলে, শুধু পাসওয়ার্ড জানলেই অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যায় না। পাসওয়ার্ড ছাড়াও একটি কোড প্রয়োজন হয়, যা ব্যবহারকারীর মোবাইলে এসএমএস বা প্রমাণিকরণ অ্যাপ এর মাধ্যমে পাঠানো হয়। এর ফলে কেউ যদি আপনার পাসওয়ার্ড জানেও সে কোড ছাড়া আপনার একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না।
সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও অনলাইন প্লাটফর্মে হ্যাকিংয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে অনেক ব্যবহারকারী তাদের অ্যাকাউন্ট ও ব্যক্তিগত তথ্য হারিয়েছেন। ফেসবুক চাই তাদের প্লাটফর্মে ব্যবহারকারীরা নিরাপদ থাকুক, বিশেষত যারা গুরুত্বপূর্ণ বা ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করেন। এজন্য টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণকে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
ফেসবুকের এই পদক্ষেপে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে, তবে এটি আপনার অ্যাকাউন্ট ও ব্যক্ত হতো তথ্য সুরক্ষিত রাখার একটি কার্যকরী উপায়। যা আমরা ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছি এর গুরুত্ব কতটুকু।
কিভাবে ফেসবুক থেকে প্রমাণীকরণ অ্যাপ অপসারণ করব
কিভাবে ফেসবুক থেকে প্রমাণিকরণ অ্যাপ অপসারণ করব তা আমাদের জানতে হবে। ফেসবুকে দুই ফ্যাক্টর প্রমাণিকরণ বা প্রমাণিকরণ অ্যাপ সরাতে চাইলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন-
ফেসবুকে লগইন করুনঃ আপনার ফেসবুক একাউন্টে প্রবেশ করুন।
Settings & Privacyঃ উপরের ডান দিকে থাকা প্রোফাইল ছবি বা মেনু আইকনে ক্লিক করে Settings & Privacy তে যান এবং Settings নির্বাচন করুন।
Security and Login নির্বাচন করুনঃ বাম পাশের মেনু থেকে সিকিউরিটি এন্ড লগইন অপশনে ক্লিক করুন।
Two-Factor Authentication সেকশনটি খুঁজুনঃ এই পৃষ্ঠায় একটু নিচে স্ক্রল করলে Two-Factor Authentication নামক একটি বিভাগ পাবেন। যেখানে Edit বাটনে ক্লিক করুন।
Turn Off অপশন নির্বাচন করুনঃ টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণের সেটিংস পৃষ্ঠায় Turn Off অপশনটি দেখতে পাবেন। এটি ক্লিক করলে ফেসবুক আপনার কাছে নিশ্চিত হতে চাইবে, যে আপনি সত্যিই এটি বন্ধ করতে চান কিনা।
নিশ্চিতকরণঃ যদি আপনি নিশ্চিত থাকেন, তবে Confirm বাটনে ক্লিক করে প্রমাণিকরণ বন্ধ করতে পারেন। এর ফলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইনের সময় আর কোন অতিরিক্ত কোডের প্রয়োজন হবে না।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করলে ফেসবুক আপনার প্রমাণিকরণ অপসারণ বা টু-ফ্যাক্টর প্রমাণিকরণ বন্ধ করে দিবে। তবে মনে রাখবেন, টু-ফ্যাক্টর বন্ধ করলে আপনার একাউন্টের সুরক্ষার একটি স্তর কমে যাবে। তাই প্রমাণিকরণ বন্ধ করার আগে আপনার পাসওয়ার্ড মধুত রাখা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু রাখা উচিত।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এ ইনকাম সম্পর্কিত সকল তথ্য
টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ করলে সম্ভাব্য ঝুঁকি
টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ করলে সম্ভাব্য ঝুঁকি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি তে হতে পারে। টু ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ এমন একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যা চালু থাকলে শুধু পাসওয়ার্ড দিয়েই একাউন্টে প্রবেশ সম্ভব হয় না বরং পাসওয়ার্ড এর পাশাপাশি আপনাকে একটি ভেরিফিকেশন কোডের প্রয়োজন হয়। এটি বন্ধ করলে একাউন্ট নিম্নোক্ত ঝুঁকিগুলো সৃষ্টি করতে পারে-
হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি বৃদ্ধিঃ টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ ছাড়াই, কেউ আপনার পাসওয়ার্ড জানলে সহজেই একাউন্টে প্রবেশ করতে পারে। পাসওয়ার্ড চুরি বা অনুমান করে জানার সুযোগ বেশি হলে আপনার একাউন্টে হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি ৯০% বাড়ে।
ফিশিং আক্রমণঃ টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ চালু থাকলে আপনার একাউন্টে ফিশিং আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবে কারণ হ্যাকারদের কাছে পাসওয়ার্ড থাকলেও কোড ছাড়া আপনার ফেসবুকে লগইন করতে পারবে না। এটি বন্ধ করলে আপনার একাউন্টে ফিশিং আক্রমণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি থাকে।
ব্যক্তিগত তথ্যের ঝুঁকিঃ টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ আপনার অ্যাকাউন্টটি নিরাপত্তার নিশ্চিত করে, বিশেষ করে যখন আপনার ফেইসবুক একাউন্টে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ছবি এবং বিভিন্ন ধরনের মেসেজ থাকে। এটি বন্ধ করলে এইসব তথ্য চুরি বা অপব্যবহারের ঝুঁকি থাকে।
অননুমোদিত ডিভাইস থেকে প্রবেশঃ কেউ সহজে আপনার অনুমতি ছাড়া অন্য ডিভাইস থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না যদি আপনার অ্যাকাউন্টটি টু-ফ্যাক্টর প্রমাণিকরণ হয়ে থাকে।
অতএব, টু- ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ করার আগে আপনাকে অবশ্যই এই ঝুঁকিগুলোকে বিবেচনা করা প্রয়োজন। আপনি যদি এটি বন্ধ করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। সন্দেহজনক লিংক পরিত্যাগ করতে হবে এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সক্রিয় রাখতে হবে।
টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ অক্ষম করার পর বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা
টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ অক্ষম করার পর বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবশ্যই প্রয়োজন। যদি আপনি টু ফ্যাক্টর প্রমাণীকরন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিন তবে আপনাকে অবশ্যই বিকল্প নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। এই বিকল্প নিরাপত্তার ব্যবস্থা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে বলা হলো-
- মজবুত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুনঃ আপনার আর যেন সহজেই অনুমানযোগ্য না হয়, সেই জন্য বিশেষ চিহ্ন সংখ্যা ও ছোট বড় অক্ষরের মিশ্রণ ব্যবহার করুন যাতে কেউ আপনার পাসওয়ার্ডই অনুমান করতে না পারে।
- লগইন সতর্কতা চালু রাখুনঃ আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটির Login Alerts অপশনটি অবশ্যই চালু রাখবেন যাতে অন্য কোন ডিভাইস থেকে লগইন হলে তার সাথে সাথেই আপনাকে একটি মেসেজ দেয়
- Trusted contacts সেট করুনঃ আপনার কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে Trusted Contacts হিসেবে সেট করুন, যাতে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে তারা আপনাকে পুনরুত ধারে সহায়তা করতে পারে।
- ফিশিং এড়িয়ে চলুনঃ কোন সন্দেহজনক ইমেইল বা লিংককে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন এবং শুধু অফিশিয়ালি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করুন।
টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ চালু রাখা আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এর জন্য অত্যন্ত নিরাপদ। তবে কোনো কারণে আপনি যদি বন্ধ করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে বিকল্প নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এটির সুবিধা ও অসুবিধা গুলো বুঝে তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, যেন আপনি নিরাপদ ও নিশ্চিন্তে আপনার ফেসবুক ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারেন।
কিভাবে ফেসবুক টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ চালু করবেন
কিভাবে ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ চালু করবেন সেই সম্পর্কেও আমাদের বিস্তারিত জানতে হবে। এটি চালু করা আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বাড়ানোর একটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী উপায়। এটি একটি অতিরিক্ত নিরাপত্তা স্তর যোগ করে, যা কেবলমাত্র পাসওয়ার্ড দিয়েই একাউন্টে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। এটি চালু করার ধাপগুলো বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো-
ফেসবুকে লগইন করুনঃ প্রথমে আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করুন। এটি করার জন্য আপনার ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড প্রবেশ করান।
Settings & Privacy মেনুতে যানঃ আপনার ফেসবুক একাউন্টে লগইন করার পর, উপরের ডান কোণে আপনার প্রোফাইল ছবি বা তিনটি লাইনের আইকনে ক্লিক করুন। সেখান থেকে Settings & Privacy অপশনটি নির্বাচন করুন এবং এরপর Settings-এ যান।
Security and Login সেকশনে প্রবেশ করুনঃ Settings পৃষ্ঠায় বাম পাশের মেনুতে Securityand Login অপশনটিতে ক্লিক করুন। এখানে আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিভিন্ন সেটিং দেখতে পাবেন।
Two-Factor Authentication নির্বাচন করুনঃ Security and Login সেকশনে স্ক্রল করে নিচে Two-Factor Authentication নামে একটি বিভাগ খুঁজে বের করুন। সেখানে Edit বাটনে ক্লিক করুন।
চালু করার অপশন নির্বাচন করুনঃ এখনGet Started বা Turn On অপশনটি নির্বাচন করুন। এরপর ফেসবুক আপনাকে নির্দেশনা দিবে।
প্রমাণীকরণের পদ্ধতি নির্ধারণ করুনঃ আপনি যে পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে চাইছেন তা অবশ্যই নির্বাচন করুন। এটি সাধারণত মোবাইল এসএমএস বা প্রমাণীকরণ অ্যাপ (যেমন Google Authentication) হতে পারে। যদি এসএমএস নির্বাচন করেন, আপনার মোবাইলের নম্বর যুক্ত করুন এবং সেই নাম্বারে একটি কোড পাঠানো হবে।
কোড প্রবেশ করুনঃ ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত কোটি প্রবেশ করুন এবং Continue বা Next ক্লিক করুন।
সফলতা নিশ্চিত করুনঃ যদি সবকিছু সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, তাহলে আপনার টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ সফলভাবে চালু হবে এবং আপনি নিশ্চিত হবেন।
এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর, আপনার facebook অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি অতি নিরাপদে আপনার অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করতে পারবেন। হ্যাকারদের হাত থেকে আপনার অ্যাকাউন্টটি নিরাপদ কোর্টে অবশ্যই টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ অপশনটি চালু করুন।
প্রমাণীকরণ অপসারণের পর নিরাপত্তার উপর প্রভাব
প্রমাণীকরণ অপসারণের পর নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ভালোভাবে পড়তে পারি সেই জন্য ফেসবুক একাউন্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। এই বৈশিষ্ট্যটি একটি অতিরিক্ত নিরাপত্তা স্তর হিসেবে কাজ করে, যা কেবল পাসওয়ার্ড দিয়েই একাউন্টে প্রবেশের অনুমতি দেয় না এটি অপ্রত্যাশিত অ্যাক্সেস প্রতিরোধ করে এবং ব্যবহারকারীরা তথ্য সুরক্ষিত রাখে।
টু-ফ্যাক্টর প্রমাণিকরণ অপসারণ করার ফলে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করার জন্য কেবল পাসওয়ার্ড এর প্রয়োজন হবে। যদি কোন ব্যক্তি আপনার পাসওয়ার্ড জানে বা চুরি করে, তবে সে সহজেই আপনার একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে। এতে করে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি বাড়ে বিশেষভাবে যদি আপনার পাসওয়ার্ড দুর্বল বা সহজ অনুমানযোগ্য হয়।
ফেসবুকে ব্যবহারকারীরা প্রায় ব্যক্তিগত তথ্য ছবি এবং যোগাযোগ তথ্য শেয়ার করেন। টু-ফ্যাক্টর প্রমাণিকরণ অপসারণের ফলে এই তথ্যগুলি অননুমোদিত এক্সিসের শিকার হতে পারে। হ্যাকাররা ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে বিভিন্ন ক্রাইমের সাথে জড়িয়ে রাখতে পারে।
আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করার মাধ্যমে হ্যাকাররা আপনার তথ্য চুরি অপব্যবহার বা আপনার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়ে আপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। টু-ফ্যাক্টর প্রমাণিকরণ বন্ধ করার ফলে ফিসিং আক্রমণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ চালু থাকলে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারবে না।
এ কারণে, টু-ফ্যাক্টর প্রমাণিকরণ অপসারণের পর ব্যবহারকারীদের অবশ্যই একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে এবং তাদের পাসওয়ার্ড নিয়মিত কিছুদিন পর পর পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া কোন ধরনের সন্দেহমূলক কোন লিংকে লগইন করা যাবে না। নিরাপত্তার কিছুটা স্তর বজায় থাকবে যদিও টু-ফ্যাক্টর প্রমাণের মত কার্যকর নয়
নিশ্চিতকরণ আপনার সিদ্ধান্তের সত্যতা যাচাই করা
নিশ্চিতকরণ আপনার সিদ্ধান্তের সত্যতা যাচাই করা ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর প্রমাণিকরণ অপসারণ করার পর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার একাউন্টের নিরাপত্তা বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি আলোচনা করা হলো-
নিরাপত্তা সেটিংস পর্যালোচনাঃ আপনি যখন টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ করেন, তখন আপনার একাউন্টের নিরাপত্তা সেটিংস পর্যালোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। Settings and Sprivacy মেনুতো গিয়ে Scurity and Login সেকশন চেক করুন। এখানে আপনার লগইন পদ্ধতি, অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং অনুমোদিত ডিভাইস গুলো পরীক্ষা করুন।
পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করাঃ আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার সময় নিশ্চিত করুন যে এটি শক্তিশালী বা ইউনিক। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এর মধ্যে বড় ও ছোট অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্ন অন্তর্ভুক্ত করুন। একটি দুর্বল পাসওয়ার্ড সহজেই অনুমানযোগ্য হতে পারে এবং এটি হ্যাকারের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
নিরাপত্তা তথ্য আপডেট করা আপনার একাউন্টের নিরাপত্তা তথ্য আপডেট করুন, যেমন মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল ঠিকানা। যদি আপনার পাসওয়ার্ড ভুলে যান তাহলে এই তথ্য ব্যবহার করে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
লগইন সতর্কতা চালু করুনঃ ফেসবুকে লগইন সতর্কতা সক্রিয় রাখতে হবে। এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যদি আপনার একাউন্টে কোন অস্বাভাবিক বা সন্দেহজনক কার্যকলাপ ঘটে। এটি আপনার একাউন্টের সুরক্ষা বাড়াবে।
সতর্কতা অবলম্বন করুনঃ নতুন ডিভাইস বা ব্রাউজার থেকে লগইন করার সময় সতর্ক থাকুন। যদি আপনি অন্য কোন ডিভাইস থেকে লগইন করার চেষ্টা করেন তাহলে সেটা সন্দেহজনক হতে পারে। এই ক্ষেত্রে লগইন করার আগে আপনার পাসওয়ার্ড ও নিরাপত্তা তথ্য যাচাই করুন।
এই পদক্ষেপগুলো নিশ্চিত করবে যে আপনার সিদ্ধান্ত সঠিক এবং আপনার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত। টু ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ অপসারণের পর নিরাপত্তার ওপর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি সুরক্ষা বজায় রাখতে পারবেন।
মন্তব্যঃ কিভাবে ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ করবেন
কিভাবে ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ করা একটি সহজ প্রক্রিয়া, তবে এর নিরাপত্তা পরিণতি সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। আপনি যদি আপনার একাউন্টের নিরাপত্তা স্তর কমাতে চান, তবে প্রথমে আপনার ফেসবুক একাউন্টে লগইন করুন। তারপর উপরে বর্ণিত ধাপ অবলম্বন করে টু-ফ্যাক্টর বন্ধ করে দিন ।
তবে মনে রাখবে টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ করার ফলে আপনার একাউন্টের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপের প্রতি সতর্ক থাকা উচিত। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সর্বদা সচেতন কোন এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
প্রশ্ন ২৪ ব্লক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url