মিল্ক শেক এর ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা

মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অজানা। মিল্ক সেক এমন একটি জনপ্রিয় পানীয় যা দুধ, ফল, চকলেট ও অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদানে তৈরি হয়। স্বাদে মিল্ক শেক পানীয় এমন কোন আহামরি পানীয় নয় তবে স্বাস্থ্যসম্মত পানীয় হিসাবে তার জুড়ি মেলা ভার। 

মিল্ক-শেকের-এর-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে মিল্ক শেক খেলে ওজন বাড়ে আবার মিল্ক শেক কিন্তু উচ্চ  চর্বিযুক্ত খাবারের আইটেম। তাই চলুন আজকের আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিই মিল্ক শেক কী, মিল্কশেকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।

সুচীপত্র: মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা 

মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা 

মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি, মিল্ক সেক পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এবং বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে তবে অতিরিক্ত খেলে কিছু উপকারিতা দেখা দিতে পারে।

মিল্কশেকের উপকারিতাঃ 

মিল্ক শেক হলো পুষ্টিকর উপাদানসমৃদ্ধ একটি সুস্বাদু পানীয়। তবে এর পুষ্টিগুন ভিন্ন হতে পারে এটি কোন কোন উপাদান দিয়ে তৈরী হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে। সাধারনত মিল্ক শেকের প্রধান উপাদান হলো দুধ, আইসক্রিম এবং ফল বা অন্যান্য ফ্লেভারিং উপকরন যা বিভিন্ন পুষ্টি সরবরাহ করে। নিচে মিল্কশেকের উপকারিতা বর্ণনা করা হল- 

প্রোটিন: দুধ এবং আইসক্রিম থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন শরীরের পেশি গঠনে সহায়তা করে এবং শক্তি প্রদান করে। প্রোটিন শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। প্রতি ১০০ গ্রাম মিল্ক শেক এর মিশ্রনে প্রোটিন থাকে ৩.৯ গ্রাম।

ক্যালসিয়াম: মিল্কশেকে থাকা দুধ ক্যালসিয়ামের একটি প্রধান উৎস, যা হাড় ও দাঁতের গঠন এবং তাদের শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। শিশুদের বৃদ্ধি ও বয়স্কদের হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য। প্রতি ১০০ গ্রাম মিল্ক শেকের মিশ্রনে ক্যালসিয়ামের পরিমান ১৪%।

ভিটামিন এবং মিনারেল: মিল্ক শেকে ব্যবহৃত ফল (যেমন কলা, স্ট্রবেরি) থেকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, বিশেষ করে ভিটামিন সি এবং মিনারেল পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ত্বকের স্থাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। প্রতি ১০০ গ্রাম মিল্ক শেক এর মিশ্রণে ১২% ভিটামিন ।

কার্বোহাইড্রেট: আইসক্রিম এবং দুধে থাকা কার্বোহাইড্রেট দ্রুত শক্তি প্রদান করে, যা ক্লান্তি কাটাতে সহায়ক। এটি মস্তিষ্কের কার্যক্রম ঠিক রাখতে ও দৈনন্দিন কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি ১০০ গ্রাম মিল্ক শেক এর মিশ্রণে ২০-২৫ ভাগ কার্বোহাইড্রেট থাকে।

ফ্যাট: মিল্ক শেকে থাকা ফ্যাট (বিশেষত পূর্ণ দুধ বা আইসক্রিম থেকে) শরীরে প্রয়োজনীয় চর্বি সরবরাহ করে, যা তাপ উৎপাদন ও কোষের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রতি ১০০ গ্রাম মিল্ক শেক এর মিশ্রনে ফ্যাট ১.৯ গ্রাম থাকে।

মিল্কশেকের অপকারিতাঃ 

প্রতিটি জিনিসের বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। ঠিক তেমনি মিল্কশেকের কিছু অপকারিতা আছে। এই পানীয় পান করলে সাধারনত ওজন বৃদ্ধি পায়, এলার্জির সমস্যা হয়। বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আমাদের অনেক ক্ষতি করে । চলুন মিল্কশেকের অপকারিতা আমরা দেখে নিই-

ওজন বৃদ্ধি: মিল্কশেক সাধারনত দুধ, আইসক্রিম, চকলেট সিরাপ এবং অতিরিক্ত চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়, যার সবগুলোই উচ্চ ক্যালরিযুক্ত। নিয়মিত যদি এই পানীয় গ্রহন করা হয় এবং আশানুরুপ যদি শারীরিক কোন পরিশ্রম না হয় তবে নিয়মিত উচ্চ ক্যালরি গ্রহন ও কম শারীরিক কার্যক্রম এর ফলে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।

আপনারা যারা ডায়েট করেন বা যারা ওজন কমানো নিয়ে চিন্তিত তাদের এই মিল্কশেক পানীয় শরীরের জন্য ব্যপকভাবে ক্ষতিকর। প্রতিদিনের তালিকায় কোনভাবে মিল্কশেক রাখা যাবেনা।

রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি: মিল্কশেক রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে ফেলে। বিশেষভাবে এতে যে চিনি, আইসক্রিম বা মিষ্টি সিরাপের মত উপাদান ব্যবহার করা হয় তা শরীরে শর্করার মাত্রা এত পরিমান বাড়ায় যে প্রতিনিয়ত খাবারে থাকলে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিস ভুগছেন তাদের জন্য তো এই মিল্কশেক মৃত্যু সমতুল্য।

মিল্কশেকের অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধের ঝুঁকি বাড়ে, যা দীর্ঘমেয়াদী ডায়াবেটিস এর কারন হতে পারে। এই পানীয় এর পাশাপাশি নিয়মিত উচ্চ ক্যালরিযুক্ত ও শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহনের ফলে ওজন বৃদ্ধি পাবে এবং রক্তচাপের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

হৃদরোগের ঝুঁকি: আমরা যদি প্রতিনিয়ত মিল্কশেক উচ্চ ফ্যাট এবং চিনি সমৃদ্ধ উপাদান দিয়ে তৈরি করে পান করি তাহলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। মিল্কশেক তৈরিতে ব্যবহৃত আইসক্রিম, ফুল-ফ্যাট দুধ এবং চকলেট সিরাপের মত উপদানগুলোতে প্রচুর পরিমানে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে এবং চিনি থাকে, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টরল (LDL) বাড়িয়ে দেয়। 

এটি ধমনিতে চর্বি জমা করেতে পারে যা, হৃদরোগ এবং উচ্চরক্তচাপের সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত শর্করা আবার হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভার ফেলে এবং রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যার ফলে আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। 

যদি অনেক দীনব্যাপী আমরা মিল্কশেক গ্রহন করতে থাকি তবে ওজন বৃদ্ধি পাবে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস হবে এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হব। তাই আমাদের দীর্ঘদীন মিল্কশেক গ্রহন থেকে বিরত থাকতে হবে।

ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা: যাদের পেটের সমস্যা আছে বা যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাদের মিল্কশেক গ্রহনে সমস্যা হতে পারে। কারন এর প্রধান উপাদান দুধ যাতে ল্যাকটোজ নামক শর্করা থাকে। এই ল্যাকটোজ হজমের জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে ল্যাকটেজ এনজাইমের প্রয়োজন হয়। যাদের ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা আছে।

অর্থাৎ যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাদের এই দুধ বা দুধ জাতীয় যে কোন খাবার হজমে সমস্যা হবে।ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু ব্যক্তিরা মিল্কশেক পান করলে পেটে গ্যাস, ফোলাভাব, ডায়রিয়া এবং পেটবাথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যা দীর্ঘমেয়াদী হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

দাঁতের ক্ষতি: যেহুতু মিল্কশেক আমরা অতিরিক্ত চিনি এবং মিষ্টি উপাদান দিয়ে তৈরী করি এতে আমাদের দাঁতের জন্য বেশ ক্ষতিকর হয়। সাধারনত মিল্কশেকে ব্যবহৃত আইসক্রিম, চকলেট সিরাপ এবং অতিরিক্ত চিনি দাঁতে বিভিন্ন ধরনের জীবানু আক্রমণে সাহায্য করে। 

যখন এই মিষ্টি জীবানুগুলো মুখের ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে মিশে যায়, তখনেই অ্যাসিড উৎপন্ন হয় যা দাঁতের জন্য এনামেল ধ্বংস করে এবং ক্যাভিটি সৃষ্টি করে। নিয়মিত বেশি চিনি সমৃদ্ধ মিল্কশেক পান করলে দাঁতের ক্ষয়, ক্যাভিটি এবং মাড়ির রোগ হওয়ার সম্ভবনা বাড়ে। দাঁতের এনামেল সংবেদনশীলতা এবং ব্যাথার কারন হতে পারে।

অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত উপাদান: মিল্কশেকের অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত উপাদান যেমন-চকলেট সিরাপ, প্র্রিজারভেটিভ, কৃত্রিম রং ও ফ্লেভার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই উপাদান গুলো দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যার কারন হতে পারে। 

প্রক্রিয়াজাত উপাদানে সাধারনত উচ্চ মাত্রায় শর্করা এবং কৃত্রিম রাসায়নিক থাাকে যা শরীরের ইমিউনিটি নষ্ট করতে এবং হরমোন এর ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। কৃত্রিম রং ও ফ্লেভারা কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জির কারন হতে পারে। 

এই ধরনের রং বেশি ব্যবহার করলে শিশুদের ক্ষতি হতে পারে তাদের আচরনগত সমস্যা হতে পারে। শিশু বা অন্যান্য সকল বয়সীদের জন্য প্রিজারভেটিভ বা সংরক্ষনকারী রাসায়নিক খাদ্য মৃত্যুর হুমকী হতে পারে। তাদের হজমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং অন্ত্রে গিয়ে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ক্ষতি করতে পারে।

সুতরাং পরিমিত পরিমাণে স্বাস্থ্যকার উপাদান দিয়ে তৈরি মিল্কশেক উপকারী অতিরিক্ত খেলে অপকার হতে পারে। কারণ জিনিসের বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে উপকারিতা থাকে অপকারিতা ও আছে। আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী মিল্ক সেক খেতে হবে।

মিল্কশেক খেলে কি ওজন বাড়ে

মিল্ক শেক হলো একটি ঠান্ডা ও ক্রিমি পানীয়, যা তৈরী করতে দুধ, আইসক্রিম, রংবেরং এর ফল এবং বিভিন্ন ফ্লেভারিং উপকরন যেমন- চকলেট, ভ্যানিলা বা স্ট্রবেরির সংমিশ্রণ প্রয়োজন হয়। এটা মুলত তৈরী হয় ব্লেন্ডার বা মিক্সারে যেখানে সব উপকরনগুলো একসাথে মিশে গিয়ে একটি ঘন, মসৃন ও ক্রিমি টেক্সচার তৈরী হয়।

মিল্ক শেক পানীয় তৈরীতে এর উপরে হুইপড ক্রিম, চকলেট সিরাপ বা চকলেট চিপসের মত টপিংসও ব্যবহার করা হয়, যা মিল্ক শেকের স্বাদকে আরও সমৃদ্ধ ও অতুলনীয় করে তোলে। বর্তমান বাজারে মিল্ক শেকের সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যায়, যা অনেকে ব্যবহার করে। কিন্তু মিল্ক শেকের এই সাপ্লিমেন্ট মানবদেহের জন্য অতীব ক্ষতিকর।

মিল্ক শেক যে কোন বয়সের মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয় পানীয় এবং এটি একটি স্মৃতিরও ভান্ডার। এই ঠান্ডা, ক্রিমি ও মিষ্টি মিল্ক শেকের প্রথম চুমুকে আমরা যেন ফিরে যায় আমাদের শৈশব, কৈশরে যেখানে খুশির মহুর্তগুলো বাঁধা থাকতো ছোট্ট একটি গ্লাসে।

যদিও মিল্কশেক সাধারনত ক্যালরি সমৃদ্ধ পানীয় তবে যদি সঠিক প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা হয় তবে মিল্কশেক ওজন কমাতে সাহায্য করে। মিল্কশেক যদি চিনি মুক্ত বা উচ্চ ফ্যাটযুক্ত আইসক্রিম বাদ দিয়ে কম ফ্যাটযুক্ত দুধ, দই এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ফল (যেমন-বেরি, আপেল) ব্যবহার করা হয় তবে এটি একটি ওজন কমাতে স্বাস্থকর ও পুষ্টিকর পানীয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

ফাইবার সমৃদ্ধ ফল আমাদের ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে, কারন ফাইবার দীর্ঘ সময় পেট ভরে রাখতে সাহায্য করে এবং ক্ষুদা নিয়ন্ত্রন করে। প্রোটিন যুক্ত দুধ বা বাদাম দুধ পেশি গঠনে সহায়তা করে, ‍যা বিপাকক্রিয়া উন্নত করে ও ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে।

এছাড়া চিনি বাদ দিয়ে যদি মধু বা স্টেভিয়া জাতীয় প্রাকৃতিক মিষ্টি ব্যবহার করলে মিল্কশেক এর ক্যালরি কম থাকে। এইভাবে তৈরী করলে মিল্কশেক অবশ্যই একটি ওজন কমানোর স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর পানীয়।

মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম

মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম জানতে গেলে প্রথমে জানতে হবে সঠিক পদ্ধতি বা নিয়ম। সঠিক পদ্ধতি বা নিয়ম অনুসরণ করলে স্বাদ ও উপকারিতা দুটোই উপভোগ করা যায়। এখানে মিলছে খাওয়ার সেরা উপায় ও নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

  • সঠিক উপাদান বাছাইঃ মিল্কশেক তৈরীর জন্য সঠিক উপাদান নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাজা দুধ, পছন্দের ফল যেমন- কলা, স্ট্রবেরি বা আম এবং কিছু সুস্বাদু আফরিন সাধারণত মিল্কশেকের মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর পাশাপাশি প্রোটিন পাউডার বাবা দাম যোগ করাও সম্ভব, যা শরীরের জন্য উপকারী।
  • তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ মিল্কশেক ঠান্ডা অবস্থায় খাওয়া সবচেয়ে উপভোগ্য। শেক তৈরি করার সময় আইসক্রিম বা ঠান্ডা দুধ ব্যবহার করলে তা আরো ঘন ও সুস্বাদু হয়। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা না করাই ভালো, কারণ এটি পান করতে কিছুটা অস্বস্তি হতে পারে।
  • সঠিক পরিমাণে শেক তৈরি করাঃ মিল্কশেক পুষ্টিকর হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। একবারে গ্লাস ভর্তি শেক পান না করে মাঝারি আকারের একটি গ্লাসের পান করা সবচেয়ে ভালো। এতে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের সম্ভাবনা কম থাকে এবং হজমের ওপর ও বেশি চাপ পড়ে না।
  • ধীরে ধীরে পান করাঃ মিল্কশেক ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে পান করলে এটি উপভোগের পাশাপাশি হজমে সহায়তা করে। দ্রুত শেক খেলে তা হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে, আর স্বাদও কম উপভোগ্য মনে হয়।
  • খাবারের পর বা পরবর্তী সময়ে পান করাঃ মিল্ক শেক একটি ভারী পানীয়, তাই এটি সাধারণত দুপুর বা রাতের খাবারের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যায়। তবে ভারী খাবারের সাথে মিল্কশেক না খেয়ে তা আলাদাভাবে উপভোগ করা ভালো, যেমন সন্ধ্যাবেলায়। এতে হজমে সহায়ক হয়।
  • স্বাস্থ্যকর বিকল্প তৈরিঃ সাধারণ আইসক্রিমের পরিবর্তে কম চিনি যুক্ত দুধ বা ফলের রস দিয়ে মিল্কশেদ তৈরি করা যেতে পারে। এতে শেখের পুষ্টিমান বজায় থাকে এবং স্বাস্থ্যের উপরও কোন ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না।
  • পরিবেশন পদ্ধতিঃ মিল্ক শেখের স্বাদ এবং উপভোগের জন্য পরিবেশন পদ্ধতি ও গুরুত্বপূর্ণ। উপরে হুইপড ক্রিম, চকলেট, চিপস বা বাদাম ছিটিয়ে পরিবেশন করলে এটি আরো আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
মিল্ক শেক আমাদের অনেক পছন্দ। বড় থেকে শুরু করে ছোট বাচ্চারা পর্যন্ত এই পানীয়টি খুব পছন্দ করে খান। তবে মিল্কশেক খাওয়ার এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে এর পুষ্টিগুণ এবং স্বাদ দুটোই ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। এইজন্য আপনারা অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী মিল্কশেক খাবেন।

ওয়েট গেইন মিল্ক শেকের উপকারিতা

ওয়েট গে্ইন মিল্কশেকের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেককে জানা উচিত। ওজন বাড়াতে চাইলে সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য তালিকায় মিল্কশেক অন্তর্ভুক্ত করা একটি চমৎকার পদ্ধতি হতে পারে। মিল্ক শেক ক্যালোরি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর হাওয়ায় ওজন বাড়ানোর জন্য খুবই কার্যকরী। এখানে ওজন বাড়াতে মিলছে খাওয়ার উপকারিতায় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো

মিল্ক-শেক-এর-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
  • উচ্চ ক্যালরির উৎসঃ মিল্কশেক উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ একটি পানীয়। ওজন বাড়ানোর জন্য ক্যালরির পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন হয়। সাধারণত দুধ, ফল, বাদাম এবং আইসক্রিম দিয়ে তৈরি মিল্ক সেক অনেক ক্যালোরি সরবরাহ করে। এতে শরীর সহজে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করতে পারে, যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে
  • প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধিঃ মিল্কশেকে ব্যবহারিত দুধ এবং বাদাম শরীরের জন্য উচ্চ মাত্রার প্রোটিন সরবরাহ করে। প্রোটিন শরীরের পেশী গঠনে সহায়তা করে এবং ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে ওজন বাড়ানোর জন্য মিল্কশেঁকে প্রোটিন পাউডার যোগ করলে এর পুষ্টিগুণ আরো বাড়ে যা দ্রুত বেশি গঠনে সাহায্য করে।
  • সুস্বাদু ও সহজে হজমযোগ্যঃ ওজন বাড়াতে অনেকেই ভারী ও তেল যুক্ত খাবার খেতে অস্বস্তি বোধ করেন। এক্ষেত্রে মিল্কশেক খাওয়া সহজ এবং হজমও দ্রুত হয়। এটি সুস্বাদু এবং শরীরে কোন অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি না করেই প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও ক্যালোই সরবরাহ করে। ফলে যারা কম খেতে পছন্দ করেন তারা সহজে মিল্কশেকের মাধ্যমে পুষ্টি পেতে পারেন।
  • স্বাস্থ্যকর চর্বি সরবরাহঃ মিল্ক থেকে বাদাম, কাজুবাদাম বা চিনা বাদাম বাটার ব্যবহার করলে এটি স্বাস্থ্যকর চর্বির একটি ভালো উৎস হয়ে ওঠে। স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরের শক্তি যোগায় এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যারা শারীরিকভাবে সক্রিয় তাদের জন্য স্বাস্থ্যকর চর্বি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি এনার্জি লেভেলও বাড়িয়ে তোলে।
  • পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখাঃ মিল্কশেকে দুধ, ফল, বাদাম এবং প্রোটিন পাউডার মেশালে এটা একটি পূর্ণাঙ্গ পানীয়তে পরিণত হয়। এতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং মিনারেল সবই থাকে। এভাবে একসঙ্গে সব পুষ্টি পাওয়া যায়, যা ওজন বাড়ানোর জন্য সুষম খাদ্য হিসেবে কাজ করে।
  • শক্তি বৃদ্ধিঃ মিল্কশেক নিয়মিত খেলে শরীরে শক্তি বাড়ে। এতে উপস্থিত শর্করা ও প্রোটিন দ্রুত শক্তি প্রদান করে এবং দৈনিক কাজকর্মে সহায়তা করে। যারা শারীরিক পরিশ্রম করেন বা শরীর চর্চা করেন তাদের জন্য মিল্কশেক অতিরিক্ত শক্তির উৎস হতে পারে, যা ওজন বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
ওয়েট গেইন মিল্কশেক খাওয়ার নিয়মঃ মিল্কশেক শরীরে ক্যালরি ও প্রোটিন যোগায় যা মাংসপেশী বৃদ্ধিতে সহায়ক। ওয়েট গেইন মিল্ক শেক তৈরির জন্য সাধারণত উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত উপাদান যেমন পুরো দুধ, কলা, পিনাট বাড়ার, ওটস বাদাম এবং চকলেট সিরাপ ব্যবহার করা হয় এখানে ওজন বৃদ্ধির জন্য মিল্কশেক খাওয়ার নিয়ম ও প্রস্তুতির পদ্ধতি দেয়া হলো-

উপকরণ ঃ
  • পুরো দুধ - ১ কাপ
  • কলা - ১টি
  • পিনাট বাটার- ১-২  টেবিল চামচ
  • চকলেট সিরাপ বা কোকো পাউডার- ১ টেবিল চামচ
  • মধু- ১ টেবিল চামচ
  • আখরোট বাবা দাম- কয়েকটি
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে ব্লেন্ডারে দুধ, কলা , পিনাট বাটার , ওটস, চকলেট সিরাপ , মধু এবং বাদাম একসাথে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে মসৃণ করে নিন । খাবার জন্য মিল্ক সেক টি তৈরি হয়ে গেলে একেবারে পান করুন ।

খাওয়ার নিয়মঃ
ওজন বাড়াতে এই মিল্কশেক দিনে ১-২ বার পান করা যেতে পারে যেমন-
  • মিল্ক শেক সকালে খেলে পুরো দিনের জন্য শক্তি পাওয়া যায় এবং ক্ষুধা বাড়ে
  • ওয়ার্ক আউটের পর এটি খেলে শরীর দ্রুত প্রোটিনো ক্যালরি পায় যা পেশির জন্য উপকারী
  • বিকেলে হালকা নাস্তায় মিল্কশেক খাওয়া যেতে পারে
সতর্কতাঃ

অতিরিক্ত ক্যালরি এড়াতে দিনে ১-২ গ্লাসের বেশি পান না করাই ভালো। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি খাওয়া জরুরি। এভাবে নিয়মিত মিল্কশেক খেলে কিছুদিনের মধ্যেই ওজন বাড়বে।

শারীরিক প্রয়োজনীয়তায় মিল্কশেক 

মিল্ক সেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই আমাদের শরীরের সাথে জড়িয়ে আছে। মিল্ক শেক একটি পুষ্টিকর পানীয় যা দুধ, ফল এবং আইসক্রিম এর মত উপাদনে সমৃদ্ধ। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি জিনিসের এপিঠ ওপিঠ আছে, ভালো দিক আছে এবং মন্দ দিক আছে। মিল্ক শেক  এর পুষ্টিগুন আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। 
মিল্ক শেক আমাদের শারীরিক প্রয়োজনেতায় প্রতিনিয়ত কিভাবে আমাদের শরীরের উপকারে আসে  চলুন তা আমরা বিস্তারিতভাবে জানি- 

দাঁত ও হাড় বৃদ্ধিতে: দাঁত ও হাড়ের বৃদ্ধিতে মিল্ক শেক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পানীয় হিসেবে বিবেচ্য। কারন এর মুল উপাদান দুধ যা ক্যালসিয়ামের একটি প্রধান উৎস। ক্যালসিয়াম আমাদের প্রতিটি মানুষের  হাড়ের স্বাস্থ্য এবং গঠন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। 

শৈশব থেকে কৈশোর পর্যন্ত আমাদের দেহেরে বৃদ্ধির সময় ক্যালসিয়ামের যথেষ্ট পরিমান শরীরে সরবরাহ রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন, কারন এই ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের শক্তি ও ঘনত্ব বজায় রাখতে সচেষ্ট হয়।

এছাড়া মিল্কশেক এ থাকা প্রোটিন পেশি ও হাড়ের গঠনকে শক্তিশালী করে এবং ক্ষয়প্রাপ্ত কোষের পূর্ণগঠনে  ভীষন ভাবে সাহায্য করে। মিল্ক শেকে ভিটামিন ”সি” জাতীয় ফল যোগ করলে তা দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। ভিটামিন “সি” দাঁতের নরম অংশের জন্য প্রয়োজনীয় এবং মাড়ীর সুস্থতার জন্য অনেক অনেক অপরিহার্য।

এমনকি মিল্ক শেকের মধ্যে যদি বাদাম বা শুকনো ফল যুক্ত করা হয়, তবে এতে থাকা জিংক ও অন্যান্য মিনারেল হাড়ের শক্তি গঠনে সাহায্য করে। সুতরাং প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মিল্ক শেক থাকলে এটি দাঁত ও হাড়ের বৃদ্ধি ও শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মস্তিষ্ক এর সুস্থতায়ঃ মিল্ক শেক একটি পুষ্টিকর উপদানে সমৃদ্ধ পানীয় যা মস্তিষ্কের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। মিল্কশেকের মুল উপাদান দুধ ও আইসক্রিম প্রোটিন সরবরাহ করে যা মস্তিষ্কের সকল কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি Neurotransmitter তৈরি করতে  সাহায্য করে যা স্নায়তন্ত্রের সংকেত পরিবহনে সাহায়ক।

মিল্কশেকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনে ফল যেমন ব্লবেরি, স্ট্রবেরি বা কলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আবার মস্তিষ্কের  কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এই ফলগুলো আবার স্মৃতিশক্তি উন্নতি করে এবং বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত মানসিক অবনতি রক্ষা করতে সাহায্য করে।

এছাড়া মিল্কশেকে বাদাম বা চিয়াবীজ যুক্ত করলে তা ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস হয়ে উঠে, যা মস্তিষ্কের কাঠামো ও কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়ক। সামগ্রিকভাবে সঠিক উপদান দিয়ে তৈরি মিল্কশেক মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং মানসিক কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

হার্টের সুস্থতায়ঃ দুধ, ফল, বাদাম এবং অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান দিয়ে তৈরী মিল্কশেক হার্টের সঠিক কার্যক্রম রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। মিল্কশেকে বাদাম বিশেষ করে আখরোট বা চিয়া বীজ যোগ করলে তা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস হয়ে উঠে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

মিল্কশেকে ফল যেমন কলা যোগ করলে পটাশিয়ামের ভালো উৎস পাওয়া যায় যা হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। বেরি জাতীয় ফল যেমন ব্লবেরি বা স্ট্রবেরি মিল্কশেকে যোগ করলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। 

এ উৎপন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আবার হার্টের কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক হয়। স্বাস্থ্যকর মিল্কশেক তৈরী করতে হলে অতিরিক্ত চিনি বা স্যাচুরেটেড কমিয়ে মধু বা স্থাস্থ্যকর উপাদান ব্যবহার করতে হবে, যা হার্টের জন্য উপকারী।

হজমের সহায়ক: আমরা যদি মিল্কশেক বানাতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফাইবার সমৃদ্ধ ফল ব্যবহার করি তবে এটি হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। ফাইবার অন্ত্রে জল  ধরে রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এই জন্য আমরা মিল্কশেক বানাতে বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন, কলা, স্ট্রবেরি, আপেল বা ফাইবার ভালো আছে এমন ফল নির্বাচন করি তাহলে মিল্কশেক আমাদের হজমে সাহায্য করবে।

দুধে থাকা ল্যাকটোজ প্রাকৃতিক শর্করা হিসেবে কাজ করে যা সহজে হজম হয় এবং শরীরে দ্রুত শক্তি প্রদান করে। এছাড়া মিল্কশেকে যুক্ত করা প্রোবায়োটিক উপাদান যেমন দই হজমের জন্য সহায়ক হতে পারে, কারন প্রোবায়োটিক অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে যা হজমে আমাদের সহায়ক।

রোগ প্রতিরোধে সহায়ক: মিল্কশেকের বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় সহায়ক যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ফল যেমন স্ট্রবেরি, ব্লবেরি বা আম যোগ করলে মিল্কশেক ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হয়, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ভিটামিন ”সি” সাদা রক্তকনিকা তৈরিতে সহায়তা করে, যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর

মিল্কশেকে বাদাম বা চিয়া বীজ যোগ করলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা প্রদাহ কমাতে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রোবায়োটিক দই ব্যবহার করলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি করে।

মিল্কশেক কোনটা ভালো

মিল্ক শেক কোনটা ভালো বলতে অবশ্যই মিল্ক সেকেন্ড বিভিন্ন ধরনের স্বাদ ও পুষ্টিগুণের উপর নির্ভর করে। ভালো মিল্কশেক বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে এর উপাদান, পুষ্টি উপাদান, স্বাদ এবং উদ্দেশ্য বিবেচনা করতে হয়। বিভিন্ন মিল্কশেক বিভিন্ন সাথী উপকারিতা প্রদান করে , তাই নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় ও উপকৃমিক শেকের বৈশিষ্ট্য বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
কলার মিল্কশেকঃ কলার মিল্কশেক অনেক জনপ্রিয় এবং ওজন বাড়ায়ে ও শক্তি জোগাতে এটি দারুন কার্যকরী। কলায় উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেট ও পটাশিয়াম থাকে, যা পেশির শক্তি বৃদ্ধি করে এবং দ্রুত এনার্জি দেয়।কলার মিল্কশেকে দুধ ও আইসক্রিম মিশিয়ে ঘন ও কৃমি স্বাদ তৈরি করা যায়, যা শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালোরিবরাহ করে। যারা সকালের নাস্তায় কিছু স্বাস্থ্যকর ও সহজে হজম যজ্ঞ খেতে চান, তাদের জন্য কলার মিল্কশেক আদর্শ।

আমের মিল্কশেকঃ আমের মিল্কশেক গরমের সময় জনপ্রিয় একটি শেক এবং এটি প্রচুর ভিটামিন এ ও সি সরবরাহ করে। আমি থাকা প্রাকৃতিক মিশ্রতা এবং দুধের ঘন স্বাদের মিশ্রণ এটিকে সুস্বাদু করে তোলে। আমের শুধু স্বাদই বাড়ায় না বরং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।

স্ট্রবেরি মিল্কশেকঃ স্ট্রবেরি মিল্কশেক আমাদের একটি জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর পানীয় যা স্ট্রবেরি এবং দুধের ক্রিমি দিয়ে তৈরী হয়। এই মিল্কশেকটি সাধরনত টাটকা স্ট্রবেরি, দুধ, চিনি এবং আইসক্রিম দিয়ে তৈরী হয়। স্ট্রবেরিতে ভিটামিন “সি” অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার এর সংমিশ্রনে তৈরী যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং হজমের জন্য একটি দারুন পানীয়।

স্ট্রবেরি মিল্কশেক এ থাকা দুধ ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সরবরাহ করে যা হাড়ের বৃদ্ধি করে এবং পেশি গঠনে শক্তিশালী ভুমিকা রাখে। এত ফাইবার থাকার ফলে অন্ত্রের কার্যক্ষমতা সুষ্ঠু থাকে এবং ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত চিনি বা আইসক্রিম ব্যবহার করলে একটি উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত হয়ে দাড়ায় যার ফলে খুব সহজে আমাদের ওজন বৃদ্ধি পায়।

খেজুরের মিল্কশেকঃ খেজুর মিল্কশেক একটি পুষ্টিকর মিল্কশেক ও সুস্বাদু পানীয় যা খেজুরের প্রাকৃতিক মিষ্টতা এবং দুধের পুষ্টিগুনে ভরপুর। খেজুরে প্রচুর পরিমানে শর্করা (গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ) ফাইবার, আয়রন পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরে দ্রত শক্তি সরবরাহ করে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।

এই মিল্কশেক বিশেষ করে রমজান মাসে ইফতারের সময় বেশি ব্যবহার করা হয়। রমজানের একটি জনপ্রিয় পানীয় যা শরীরকে তাড়াতাড়ী সতেজ করে দেয় এবং সারাদিনের ক্লান্তি দুর করে।

চকলেট মিল্কশেকঃ চকলেট মিল্কশেক একটি সুস্বাদু ্ও ক্রিমি পানীয়, যা চকলেটের গভীর  স্বাদ ও দুধের মসৃনতাকে এক করে দেয়। এই মিল্কশেকটি সাধারনত দুধ, চকলেট সিরাপ বা কোকো পাউডার, আইসক্রিম এবং মাঝে মাঝে চিনি দেয়া হয়। এই  মিল্কশেকটি বাচ্চাদের খুব প্রিয়।  এই পানীয়টি দ্র্রত শক্তি প্রদান করে কারন চকলেট এবং  আইসক্রিম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত এবং শর্করা সমৃদ্ধ।

চকলেট মিল্কশেকে থাকা দুধ ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের ভালো উৎস যা হাড়্র এবং পেশির গঠনে সহায়তা করে। তবে এর মধ্যে থাকা উচ্চ মাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং চিনি অতিরিক্ত ক্যালরি সরবরাহ করতে পারে যা দীর্ঘমেয়াদী ওজন বৃদ্ধি এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ানোর ঝুকি বাড়ায়।

বাদামের মিল্কশেকঃ বাদামের মিল্কশেক, বিশেষ করে কাজু ও কাঠবাদাম দিয়ে তৈরি শেক প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে ভরপুর। এটি বেশির গঠন ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক এবং হৃদযন্ত্রের জন্যও উপকারী। বাদামের মিল্কশেক ওজন বাড়াতে এবং দীর্ঘ সময় তৃপ্তি দিতে সহায়তা করে, যা শরীর চর্চার পর বা বিকেলের নাস্তায় খাওয়া যায়।

ওটস মিল্কশেকঃ ওটস মিল্ক শেক একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প, যা ফাইবার ও প্রোটিন সরবরাহ করে এবং দীর্ঘসময় পেট ভর্তি রাখে। ওটস আজমে সহায়ক এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। যারা স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়াতে চান বা দীর্ঘসময় এনার্জি পেতে চান তাদের জন্য ওটস মিল্ক শেক খুবই উপকারী।

পরিশেষে বলা যায় সবচেয়ে ভালো মিল্ক শেক নির্ভর করে ব্যক্তির প্রয়োজন ও স্বাদ পছন্দের ওপর। যদি ওজন বাড়ানো বা শক্তি পাওয়ার লক্ষ্য থাকে তাহলে কলা, চকলেট বা বাদামের মিল্কশেক ভালো বিকল্প। ত্বক বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে স্ট্রবেরি বা আমের মিল্কশেক সেরা।

মিল্কশেক কোথায় পাওয়া যায়

মিল্ক শেক কোথায় পাওয়া যায় বলতে গেলে সবার আগে মনে পড়ে বিভিন্ন ক্যাফে বা রেস্তোরাঁ। বাড়িতেও অনেক স্বাস্থ্যকর সুস্বাদু মিলছে পাওয়া যায় তবে এমন একটি পানীয় যা এখন বেশিরভাগ শহর ও উপ শহরে বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। নিচে এমন কিছু স্থান সম্পর্কে বলা হলো যেখানে মিল্ক সেক পাওয়া যায় এবং তা কেন বিশেষ-
  • ফাস্টফুড চেইন রেস্তোরাঁঃ মিল্ক শেক এর জন্য জন্য ফাস্টফুড চেইন রেস্তোরাঁ যেমন- কেএফসি, বার্গার কিং, ম্যাকডোনাল্ডস ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়। এই রেস্তোরাঁ গুলোতে বিভিন্ন সাদরে মিল্কশেক পাওয়া যায়, যেমন চকলেট, ভ্যানিলা, স্ট্রবেরি ইত্যাদি।
  • ক্যাফে ও কফি শপঃ ক্যাফে ও কফি শপ এ যেমন স্টার বাকস, গ্লোরিয়া জিন্স, কোস্টা কফি ইত্যাদিতে মিল্ক শেক পাওয়া যায়। এসব স্থানে মিল্ক শেক সাধারণত তাজা উপাদান তৈরি হয় এবং প্রিমিয়াম স্বাদ পাওয়া যায়। এখানে ক্লাসিক থেকে শুরু করে নতুন স্বাদের মিল্কসেক মেনুতে থাকে।
  • লোকাল জুসবার ও স্মুদিশপঃ লোকাল জুসবার ও স্মুদিশপেও মিল্কশেক পাওয়া যায়। এই দোকানগুলো সাধারণত তাজা দুধ, ফল এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে মিল্কশেক প্রস্তুত করে থাকে, যা স্বাস্থ্যকরও বটে।
  • সুপারশপ ও স্টোরঃ বিভিন্ন সুপার শপ যেমন- ওয়ালমার্ট, টার্গেট এবং স্থানীয় বড় দোকানে প্যাকেটজাত বা বোতল জাত রেডি-টু-ড্রিংক মিল্কশেক পাওয়া যায়। এটি কোল্ড স্টোরেজ এ রাখা হয় এবং একেবারে পান করার জন্য প্রস্তুত থাকে।
  • অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপসঃ বর্তমানে ফুড পান্ডা, উবার ইটস, পাঠাও ফুড এর মত অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপস এর মাধ্যমেও মিল্কশেক অর্ডার অর্ডার করা যায়। এই অ্যাপগুলোতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ থেকে মিল্কশেক অর্ডার করার সুবিধা রয়েছে যা ঘরে বসে উপভোগ করা যায়।

মিল্কশেক পাউডার এর উপকারিতা

মিল শেক পাউডার এর উপকারিতা বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত। মিল্কশেক পাউডার এমন একটি পণ্য যা ঘন এবং সুস্বাদু মিল্কশেক তৈরি করতে সাহায্য করে। এতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকায়, এটি শরীরকে অনেক ভাবে উপকার করে। 

মিল্ক-শেক-এর-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

মিল্ক শেক পাউডার শহরে মিশিয়ে ফেলা যায় তাই এটি দ্রুত ও পুষ্টিকর পানীয় প্রস্তুত এর জন্য খুবই কার্যকরী। এখানে মিল্ক সেক পাউডারের উপকারিতা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো-
  • উচ্চ ক্যালোরি সরবরাহঃ মিল্কশেক পাউডার এ সাধারণত অনেক ক্যালরি থাকে, যা শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায়। যারা ওজন বাড়াতে চান বা অতিরিক্ত ক্যালোরি প্রয়োজন তাদের জন্য এটি একটি সহজ সমাধান। এটাই থাকা ক্যালোরি শরীরকে সক্রিয় ও শক্তিশালী রাখে। বিশেষ করে যারা শারীরিক পরিশ্রম করেন বা ব্যায়াম করেন।
  • প্রোটিন সরবরাহঃ অনেক ধরনের মিল্কশেক পাউডারে উচ্চমাত্রার প্রোটিন থাকে, যা শরীরের পেশী গঠনে সহায়তা করে। যারা বেশি শক্তি বাড়াতে চান, তাদের জন্য প্রোটিন খুবই প্রয়োজনীয়। নিয়মিত মিল্কশেদ পাউডার ব্যবহার করলে শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয় এবং দ্রুত বেশি বৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন ও মিনারেলের উৎসঃ বেশিরভাগ মিল্কশেক পাউডার এ বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল থাকে, যেমন ভিটামিন এ, বি, সি, ডি এবং ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি। ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ভিটামিন ডি হাড় মজবুত করে আর ক্যালসিয়াম হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখে। এভাবে একসাথে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল সরবরাহের জন্য একটি ভালো উৎস। 
  • হজমে সহায়কঃ কিছু মিল্কশেক পাউডারে ফাইবারও থাকে, যা হজমে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করে। এটি বিশেষভাবে উপকারী যারা ফাস্টফুড বা প্রসেস খাবার বেশি খান এবং সহজ হজমযোগ্য কিছু খুঁজছেন।
দ্রুত প্রস্তুত করার সুবিধা মিল্কশেক পাউডার ব্যবহার করে অল্প সময়েই সুস্বাদু মিল্কশেক তৈরি করা যায়। ব্যস্ত দিনের শুরুতে বা কাজের ফাঁকে এটি একটি সহজ উপায় হয়ে ওঠে পুষ্টিকর কিছু পান করার। শুধু দুধে মিশিয়ে নিলেই পুষ্টিকর মিল্কশেক তৈরি হয়ে যায় যা সময় বাঁচায় এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের চাহিদা পূরণ করে।
  • বিভিন্ন স্বাদের বিকল্পঃ মিল্কশেক পাউডার বিভিন্ন স্বাদে পাওয়া যায়, যেমন চকলেট, ভ্যানিলা, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। এতে পানিওটি সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এটি পান করাও আনন্দদায়ক হয়। যারা ঘন ঘন পানিও বদলাতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই পাউডার ক্ত উপযুক্ত।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ মিল্ক শেক পাউডার শুধু ওজন বাড়াতেই নয় বরং ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হতে পারে। কিছু কম ক্যালরিযুক্ত বা লো-ফ্ল্যাট পাউডার বাজারে পাওয়া যায়, যা শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি না বাড়িয়ে প্রোটিন ও পুষ্টি সরবরাহ করে। এভাবে মিল্কশেক পাউডার ব্যালেন্সড ডায়েটের অংশ হতে পারে।
পরিশেষে বলা যায় যে মিল্কশেক পাউডার পুষ্টি এবং সময়ের চাহিদা পূরণ করে এবং এটি শরীরে শক্তি, প্রোটিন ও ভিটামিন সরবরাহে সহায়ক। তাই আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় আমরা মিল্ক শেক পাউডার ব্যবহার করতে পারি। আমরা যারা ব্যস্ততার মাঝে সারাদিন কাটায় তাদের জন্য এই পাউডার অনেক বেশি উপযোগী।

মিল্কশেকের দাম কত বাংলাদেশে

মিল্কশেকের দাম কত বাংলাদেশে এটা নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক কারণে, যেমন এটি কোথায় কিনছেন, শেক এর উপাদান, স্বাদ এবং পরিমাণ। সাধারণত শহরের বিভিন্ন ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টে, ক্যাফে এবং জুসবারগুলোতে মিল্কশেক পাওয়া যায় এবং সেগুলোর দাম, জায়গা ভেদে আলাদা হতে পারে। 
এছাড়া বাজারে বোতলজাত মিল্কশেক এবং মিল্ক পাউডার পাওয়া যায় যা বাড়িতে তৈরি করা খুব সহজেই সম্ভব। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে মিল্ক শেখের বিভিন্ন দাম বলে নিচে মিল্কশেকের দামের বিবরণ দেয়া হলো-

রেস্টুরেন্টে বা ক্যাফেতে মিল্কশেকের দামঃ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাফে বা ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টে এক গ্লাস মিল্ক সেকেন্ড দাম সাধারণত ১৫০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। যেমন চকলেট, স্ট্রবেরি বা ভ্যানিলা মিল্ক শেকের দাম ১৫০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে হতে পারে। 

তবে বিশেষ মিল্কশেক যেমন ওরিও বা বাদাম মিল্কশেকের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। ঢাকার অভিজাত এলাকায় আরো বেশি হতে পারে কারণ সেগুলোতে পরিবেশ এবং সেবার মান উন্নত। তবে বাংলাদেশের প্রায় জায়গায় সাধারণত ১৫০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যেই হয়ে থাকে।

বোতল জাত মিল্ক শেখের দামঃ বাংলাদেশের বিভিন্ন সুপারশপে বোতলজাত মিল্কশেক পাওয়া যায়, যা ২০০ থেকে ৫০০ মিলিম বোতলে পাওয়া যায়। এসব বোতলজাত মিল্ক সেকেন্ড দাম ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এগুলো বাজারে সহজলভ্য এবং প্রস্তুত অবস্থায় পাওয়া যায়, যা নিয়ে সহজেই আমাদের খাওয়া সম্ভব।

মিল্কশেক পাউডারের দামঃ মিল্কশেক পাউডার দিয়ে বাড়িতে সহজেই মিল্কশেক তৈরি করা যায়। মিল্কশেক পাউডারের দাম ব্র্যান্ড, স্বাদ এবং পরিমাণ ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত ২০০-২৫০ গ্রামের একটি মিল্কশেক পাউডারের প্যাকেটের দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকা মধ্যে পড়ে।

পরিশেষে বলা যায় যে বাংলাদেশে মিলষেকের দাম স্থান ব্র্যান্ড এবং প্যাকেজিংয়ের উপর নির্ভর করে, তাই পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন দামের মধ্যে মিল্ক শেক বেছে নেওয়া সম্ভব।

মন্তব্যঃ মিল্ক শেক এর ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা

এইবার আমার মন্তব্যে আসা যাক। এই মিল্কশেক পানীয়টি অনেকের পচ্ছন্দের একটি পানীয়। বাচ্চাদের, বড়দের, সব বয়সী ছেলেমেয়েদের পচ্ছন্দের পানীয়। বিশেষ করে গরমের দিনে ঠান্ডা, বরফ কুচি অথবা আইসক্রিম দিয়ে ক্ষেলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। বন্ধুদের আড্ডা হোক আর বাসায় ভাই বোন বা আত্মিয়স্বজনের আড্ডা, সব জায়গায় এই পানীয় টি অনেক পচ্ছন্দের। 

মিল্কশেক খাওয়া যাবে তবে সেটি তৈরী হতে হবে সম্পুর্ণ বাসার উপকরন দিয়ে। যেখানে থাকবেনা কোন কেমিক্যাল। বাজারের কোন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা যাবে না আর প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় না মাঝে মাঝে বাচ্চাদের এবং বড়দের খাওয়া যাবে। শরীর সুস্থ তো পৃথিবীর সব কিছু সুস্থ। তাই আমাদের সচেতনতার মাঝে জীবন যাপন করতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন ২৪ ব্লক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url