ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে উদ্ধারের উপায়

ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে উদ্ধারের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আইডি হ্যাক হলে কি করব, আইডি ফিরে পাওয়া যাবে কিনা, কিভাবে আইডি ঠিক করব, আইডির আবার সমস্যা হবে নাকি বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘুরতে থাকে।

ফেসবুক-আইডি-হ্যাক-হলে-উদ্ধারের-উপায়

সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা বা ফেসবুক সাপোর্টের সাহায্যে নেওয়া এবং ভবিষ্যতে যেন আইডিটি নিরাপদে থাকে তার কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে আমাদের এই গাইডটি পড়ুন। আজকের এই ব্লগে আমরা জানবো ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষায় সচেতন হয়ে কিভাবে ফেসবুক একাউন্ট সুরক্ষিত রাখবো।

পোস্ট সূচীপত্রঃ ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে উদ্ধারের উপায়

 ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে উদ্ধারের উপায়

ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে উদ্ধারের উপায় গুলো সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেককেই জেনে রাখা ভালো। বর্তমান সময়ের সোশ্যাল মিডিয়ার সবচাইতে বেশি ব্যবহারিত প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে এই ফেসবুক। এটির মাধ্যমে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের যেকোনো ধরনের তথ্য, যোগাযোগ এবং বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সবাই জানতে পারে। এই ফেসবুকে বিভিন্ন মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য, নিজেদের কাজ এবং অনেক কিছু শেয়ার করা থাকে। যা প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই ডিজিটাল যুগে যত নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ঠিক ততটাই তার বিপরীতে সমস্যাও তৈরি হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার এই ফেসবুক প্ল্যাটফর্মটি মানুষ যতটা ব্যবহার করছে ঠিক ততটাই হ্যাক করার জন্য হ্যাকার চক্র বসে থাকে। এই হ্যাকাররা ফেসবুক আইডি বিভিন্নভাবে হ্যাক করে মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ফেলতে পারে। ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে মানুষের মাথা এলোমেলো হয়ে যায়। আইডি ঠিক হবে কিনা, পাওয়া যাবে কিনা বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন, যার সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত জানবো।

ফেক আইডি হ্যাক হলে এর উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় বা পদ্ধতি রয়েছে, যা অবলম্বনের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের ফেসবুক আইডি ফিরে পেতে পারেন। এই ফেসবুক আইডি ফেরত এর জন্য কিছু উপায় যেমন-

  • আইডি পাসওয়ার্ড রিসেট করুনঃ আইডি হ্যাক হলে প্রথমেই আপনার পাসওয়ার্ড রিসিট করতে হবে। আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক হ য়েছে জানা মাত্রই ফেসবুক লগইন পেজে গিয়ে "Forgot Password" ক্লিক করে আপনার নিবন্ধিত ইমেইল বা মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড রিসেটের অনুরোধ পাঠাতে হবে। তারপর ফেসবুক থেকে আপনাকে একটি রিকভারি লিংক পাঠানো হবে, যেটার মাধ্যমে আপনি আপনার নতুন পাসওয়ার্ড সেট করবেন।
  • ফেসবুক সাপোর্টের সাহায্যঃ আইডি হ্যাক হওয়ার পর যদি আপনার পাসওয়ার্ডটি রিসেট করা সম্ভব না হয় তবে অবশ্যই আপনাকে ফেসবুকের হেল্প সেন্টারে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে আপনি একটি অপশন পাবেন যেখানে লেখা থাকবে Hacked Account" বা "Someone else is using my account"। এই অপশনটিতে আপনাকে ক্লিক করতে হবে এবং ফেসবুক আপনার পরিচয় যাচাই করার জন্য আপনার কাছে কিছু তথ্য চাইবে। সেখানে সঠিক তথ্য প্রদান করলে তারা আপনার অ্যাকাউন্ট রিসেট করে দিবে।
  • লগইন ডিভাইস চেকঃ হ্যাক হওয়া একাউন্টটি ঠিক হয়েছে কিনা সেটা আপনাকে চেক করতে হবে। তার জন্য "Settings" গিয়ে "Security and Login" অপশনে ক্লিক করলে "Where You Logged In" অপশনটিতে আপনার ডিভাইস টি যেখানে যেখানে লগইন আছে তার একটি তালিকা দেখাবে। সেই তালিকা থেকে আপনার ডিভাইসটি লগ আউট করে বন্ধ করে দিতে হবে।

এরপর আপনাকে আপনার একাউন্টটি নিরাপদ রাখার জন্য "Two-Factor Authentication" অপশনটি চালু করতে হবে। তাহলে অন্য কেউ যখন কোন নতুন ডিভাইস থেকে আপনার একাউন্টে লগইন করবে তখনই একটি কোডের প্রয়োজন হবে। যে কোডটি আপনি ছাড়া কেউ জানবে না। তাই আপনার মোবাইল ফোনে অবশ্যই টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন অপশনটি চালু রাখতে হবে।

ভবিষ্যৎ সর্তকতাঃ আপনার ফেসবুক আইডিটি সুরক্ষিত রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন-

  • বর্তমান সময়ে একজন মানুষ বেশ কয়েকটা ফেক আইডি খুলে রাখে। তাই যখন আপনাকে কেউ ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাবে তখন অবশ্যই জেনে শুনে বুঝে একসেপ্ট করতে হবে।
  • যেকোনো সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করা যাবে না। অবশ্যই বুঝেশুনে লিংকে ক্লিক করতে হবে।
  • আপনার আইডিটির পাসওয়ার্ড অবশ্যই আপনি ছাড়া আর কারো সাথে শেয়ার করা যাবে না।
  • আপনাকে পাঠিয়েছে এমন কোন লিংক যদি ফেক মনে হয় তাহলে অবশ্যই রিপোর্ট করুন।
  • আপনার ব্যবহৃত আইডিটির অবশ্যই পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করতে হবে। পাসওয়ার্ডে বিভিন্ন অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে।

পরিশেষে বলা যায় যে উপরে উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে আপনি আপনার ফেসবুক আইডি টি সুরক্ষিত রাখতে পারেন। তারপরও যদি আপনার ফেসবুক আইডিটি হ্যাক হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখিত ধাপগুলো ব্যবহার করে আপনার আইডিটি নিরাপদ রাখতে হবে।

ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার কারণ

ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার কারণ সম্পর্কে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে। কারণ প্রায় ৯০% লোক ফেসবুক প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে। আমাদের অনেক ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যক্তিগত কাজ বা বিভিন্ন ধরনের ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন রকম এপস ব্যবহার করি। হ্যাকাররা সবসময়ই খেয়াল করে কোন আইডিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি পরিচিত। সেই সব ফেসবুক আইডি হ্যাক করে তারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। এইজন্য আমাদেরকে অবশ্যই ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার প্রধান কারণ গুলো জানতে হবে। যেমন-

  • ফিসিং আক্রমণঃ ফিশিং আক্রমণ হলো হ্যাকারদের একটি বিশেষ ধরনের কৌশল যা এর মাধ্যমে খুব সহজেই প্রত্যেকটি আইডির কাছাকাছি যেতে পারে। এরা বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট বা লিংক ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের লগইন তথ্য সংগ্রহ করে। অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন, মেসেজ বা ইমেইলের মাধ্যমে ভুয়া লিংকে ক্লিক করতে বলে এবং তারা তাদের কাজ সম্পন্ন করে। এইজন্য আমাদেরকে এই ফিশিং আক্রমণ সম্পর্কে জানতে হবে।
  • দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহারঃ আমরা যারা ফেসবুক আইডি ব্যবহার করি তারা অনেকেই ফেসবুক আইডি সম্পর্কে জানিনা। আমরা অ্যাকাউন্ট খুলে নেই কিন্তু এটা মনে রাখি না যে আমাদেরকে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। অতি সহজ বা অনুমান করার মাধ্যমে পাসওয়ার্ড যেমন, 1234567, জন্মশাল বা মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করলে দ্রুতই তারা আক্রমণ করতে পারে। হ্যাকাররা যাতে আপনার আইডি হ্যাক করতে না পারে এজন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
  • অপরিচিত ডিভাইসে লগইনঃ আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে অপরিচিত কোন ডিভাইসে লগইন করা যাবে না। কারণ কখনো কখনো পাবলিক ডিভাইস বা অপরিচিত কারো ফোনে ফেসবুকে লগইন করলে লগইন তথ্য সেভ হয়ে যায় যা আমরা বুঝতে পারি না। এটা হ্যাকিংয়ের অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
  • Two-Factor Authentication: আপনি ফেসবুক আইডি খুলবেন তখন অবশ্যই এই টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন অপশনটি চালু করতে হবে। কারণ টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন অপশনটি চালু থাকলে হ্যাকারদের খুব সহজ হয় আইডি হ্যাক করতে।
  • ভাইরাস আক্রান্ত বা মেলওয়ার ডিভাইসঃ সাধারণত আপনার ফোন বা কম্পিউটার যদি ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হয় তবে হ্যাকাররা সহজে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও ফেসবুক আইডির এক্সেস চুরি করতে পারে।
  • অ্যাপস এবং থার্ড পার্টি সফটওয়্যারঃ সাধারণত কিছু সন্দেহ যেন থার্ড পার্টি অ্যাপস বা সফটওয়্যার আপনার ফেসবুকে তথ্য চুরি করতে খুব সহজেই পারে। ফেসবুকের যুক্ত কোন অ্যাপস  থেকে এই ধরনের সমস্যা ঘটাতে পারে।
  • লিংকে ক্লিক করাঃ সন্দেহজনক বা যেকোনো ধরনের অবৈধ লিংকে ক্লিক করলে আপনার আইডি সংক্রান্ত তথ্য খুব সহজেই হ্যাকাররা পেয়ে যায়। যার ফলে তাদের হ্যাক করতে সুবিধা হয়।
  • ফেসবুক সিকিউরিটি আপডেট না করাঃ আপনার অ্যাকাউন্টটি যদি সিকিউরিটি আপডেট না থাকে বাস সুরক্ষা ফিতার গুলো অকার্যকর থাকে তবে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

পরিশেষে বলা যায় যে অনেকে আমায় ফেসবুক ব্যবহারকারীরা সতর্ক না থাকার কারণে নিজের অজান্তেই হ্যাকারদের ফাঁদে আটকা পড়েন। বিভিন্ন ধরনের মেসেজ ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার খুব সাবধানে করতে হবে। ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার কারণগুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে প্রতিটি বিষয়ে সচেতন হতে হবে যেন হ্যাকাররা সহজেই আপনার আইডিতে হ্যাক করতে না পারে। উপরের কারণগুলো আপনাদেরকে অবশ্যই স্মরণে রাখতে হবে।

ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়া কিভাবে বুঝবেন

ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়া কিভাবে বুঝবেন সে সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমরা অনেকেই ফেসবুক আইডি ব্যবহার করি কিন্তু তার সম্পর্কে আমরা অনেকে অনেক কিছু জানিনা। আমরা অনেকে বুঝতেই পারি না যে আমাদের আইডিটি হ্যাক হয়েছে। আবার অনেকের সমস্যা আছে একবার লগইন করলে আর সহজে লগ আউট করে না। আমাদের ফেসবুক আইডিটি হ্যাক হয়েছে কি না তা কিভাবে বুঝব তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো-

আপনারা যখন দেখবেন যে আপনাদের ফেসবুক আইডিতে আপনি যা পোস্ট করেননি সেটা পোস্ট করা হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের অপ্রাসঙ্গিক বা অসভন পোস্ট করা হচ্ছে এবং ভুয়া বিজ্ঞাপন বা লিংক শেয়ার করা হচ্ছে। আবার অনেক সময় আপনাদের আপন জনের কাছে আপনি অসুস্থ বলে বা সমস্যায় পড়েছেন বলে টাকাও চাইতে পারে। এই ধরনের কোন তথ্য আপনি পেলে বুঝবেন যে আপনার আইডিটি হ্যাক হয়েছে।

হ্যাকাররা যদি আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন না করে কিছুক্ষণ আপনার পাসওয়ার্ড দিয়েই তারা ফেসবুক চালায়, আর সেই মুহূর্তে আপনি যদি লগ আউট করে আবার লগইন করেন, তাহলে প্রবেশ করতে পারবে না। তখনই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়ে গেছে।

ফেসবুক থেকে যদি আপনার মিলে নোটিফিকেশন পান যে আপনার অ্যাকাউন্টটি অপরিচিত কোন ডিভাইসে লগইন হয়েছে তখনই আপনি বুঝবেন যে আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়ে গেছে। আপনার ইমেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর পরিবর্তন হলে বুঝতে হবে যা আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়ে গেছে। কারণ ফেসবুক জিমেইল দিয়ে খুলবেন সেই মেলেই আপনাকে একটি মেসেজ দিবে।

আপনার একাউন্টে যদি ২ ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু থাকে এবং আপনি এমন কোন মোবাইলে লগইন করবেন তখনই বুঝবেন আপনার আইডিতে কেউ ঢোকার জন্য চেষ্টা করছে। তখনই বুঝবেন যে আপনার আইডির এক্সেস করার চেষ্টা করছে। আবার অনেক সময় আপনার ফেসবুকে একাউন্টে যদি দেখেন যে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ বা গেম অযথা বিজ্ঞাপন বা অনাকাঙ্ক্ষিত কার্যকলাপ করছে তখনই বুঝবেন আপনার আইডিটি হ্যাক হয়েছে।

যদি আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ড বা আপনার কোন নিকট আত্মীয় আপনাকে জানাই যে তারা আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে অস্বাভাবিক মেসেজ বা লিংক পাচ্ছে তখনই বুঝবেন যে আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে। যদি আমি কখনো মনে করেন যে আপনার প্রাইভেট পোস্ট, মেসেজ বা যেকোনো ধরনের তথ্য অন্য কেউ দেখছে তখনই বুঝবেন আপনার অ্যাকাউন্ট নিরাপদে নাই হ্যাক হয়েছে।

আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হলে আপনার সিকিউরিটি সেটিংস পরিবর্তন হয়ে যাবে বা বন্ধ হয়ে যাবে, তখনই বুঝবেন এটি হ্যাকারদের কাজ। অনেক সময় আপনার অজান্তে ফেসবুক থেকে যদি একাউন্ট ডিএক্টিভেট বা ডিজিটের অনুরোধ আসে তখনই বুঝবেন আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে।

পরিশেষে বলা যায় যে উপরের লক্ষণ গুলি আপনার সাথে হলে আপনি বুঝবেন যে আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে এবং তখন অতি দ্রুততার সাথে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে। ২ ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু না থাকলে চালু করতে হবে এবং ফেসবুক হেল্প সেন্টারের কাছে গিয়ে "Hacked Account" এ রিপোর্ট করতে হবে। সময় মত পদক্ষেপ নিলে আপনি কোন ধরনের সমস্যায় জড়িত হবেন না। দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ না নিলে আপনার অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের সমস্যায় আপনাকে ফেলতে পারে।

ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচার উপায়

ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচার উপায় আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে। কারণ আমরা প্রত্যেকে চাই আমাদের এই ফেসবুক আইডি যেন নিরাপদ এবং সুরক্ষিত থাকে। কারণ এখানে আমরা আমাদের অনেক ব্যক্তিগত তথ্য, বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং, অর্থ উপার্জনের অনেক ধরনের প্লাটফর্মের সাথে জড়িয়ে থাকি। তাই আমরা আমাদের ফেসবুক হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জেনে রাখবো।

ফেসবুক-আইডি-হ্যাক-হলে-উদ্ধারের-উপায়
  • শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারঃ আমাদের আইডিকে হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। এমন একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে যা কেউ সহজে যেন অনুমান করতে না পারে। পাসওয়ার্ডে অবশ্যই বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ জন্য ব্যবহার করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের একাউন্টে বিভিন্ন ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। একই পাসওয়ার্ড যেন সব একাউন্টে না হয়।
  • টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালুঃ আমাদের আইডি নিরাপদের সবচেয়ে প্রধান উপায় হল আমাদের আইডিতে অবশ্যই ২ ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন অপশন চালু রাখতে হবে। যাতে অন্য কেউ ঢুকলে আমরা সহজেই বুঝতে পারি। প্রতিবার নতুন ডিভাইসে ঢুকলে অবশ্যই লগ আউট করতে হবে।
  • সন্দেহজনক লিংকঃ আমরা আমাদের ফেসবুক আইডি ব্যবহার করার সময় অবশ্যই যেকোনো ধরনের লিংকে প্রবেশ করা যাবে না। ফিশিং লিংক বাবুয়া ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেখানে ক্লিক করা যাবে না।
  • অপরিচিত ডিভাইসঃ অবশ্যই আমরা আমাদের অ্যাকাউন্টগুলোকে পাবলিক কোন ডিভাইস বা সাইবার ক্যাফে থেকে ফেসবুকে লগইন করবো না। যদি লগইন করতেই হয় তবে রিমেম্বার মি অপশন ব্যবহার করবেন না এবং কাজ শেষে লগ আউট করে বের হয়ে যাবেন।
  • লগ ইন ডিভাইস চেকঃ সেটিং এ গিয়ে সিকিউরিটি এন্ড লগইন অপশনে গিয়ে দেখতে হবে আপনার কোথায় কোথায় লগইন করা আছে। অপরিচিত ডিভাইস থাকলে সেখান থেকে আপনাকে লগ আউট করতে হবে।
  • ফেসবুকের সিকিউরিটি ফিচার আপডেটঃ অবশ্যই আপনাদেরকে ফেসবুকে সিকিউরিটি ফিচার আপডেট রাখতে হবে এবং সেই সম্পর্কে জানতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে একাউন্টের চেক করতে হবে।

পরিশেষ বলা যায় যে, আপনাদেরকে আপনার ডিভাইসে অবশ্যই একটি ভাল মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে এবং বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার বা ফাইল ডাউনলোড করা যাবে না। কোন ধরনের ইমেইল ঠিকানা, মোবাইল নম্বর এবং জন্ম তারিখের মত কোন ধরনের তথ্য দেয়া যাবে না। এবং আপনাদের বন্ধুসহ প্রত্যেকেই এই সচেতনতা সম্পর্কে জানাতে হবে এবং অবশ্যই অ্যাকাউন্ট একটি ব্যাকআপ মেইল বা ফোন নম্বর যুক্ত করতে হবে।

ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে জিডি করার নিয়ম

ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে জিডি করার নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা। আইডি হ্যাক হওয়ার পর আমরা অস্বস্তিতে পড়ে যাই কিভাবে এটা থেকে মুক্তি পাবো। আমাদের সবচেয়ে ও সহজ বুদ্ধি হলো আমরা অতি দ্রুত থানায় একটি জিডি করব। আর এই থানায় জিডি করার নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো-

প্রথমে ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার প্রমাণ গুলো সংগ্রহ করতে হবে যেমন- ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত ইমেইল নোটিফিকেশন (যেমন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন, নতুন ডিভাইসের লগইন), আইডি হ্যাক হওয়ার সময় এবং তারিখ। যে আইডি হ্যাক হয়েছে তা থেকে সন্দেহজনক পোস্ট, মেসেজ বা বিভিন্ন কার্যকলাপের স্ক্রিনশট।

আরও পড়ুনঃ কিভাবে ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ করবেন 

তারপর আমাদেরকে নিকটস্থ থানায় গিয়ে জিডি করার জন্য একটি লিখিত আবেদনপত্র দিতে হবে। এখানে অবশ্যই আপনার সমস্যাটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে। সেই থাকার ডিউটি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে। আপনার আইডি হ্যাক হয়েছে এবং এটি থেকে কোন ধরনের অপরাধমূলক কাজ হলে আপনি তা শাস্তি যোগ্য নয় সেটা তাদেরকে জানাতে হবে।

জিডির জন্য আপনার লিখিত আবেদনটি থানায় জমা দিতে হবে এবং সেখানে আপনার পূর্ণাঙ্গ নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ফেসবুক আইডি নাম, হ্যাকিং এর সময়, তারিখ ইত্যাদি উল্লেখ রাখতে হবে। আপনার আইডি হ্যাক হওয়ার পর কোন অপরাধমূলক কাজ হয়েছে কিনা তার একটি বিবরণ উল্লেখ করতে হবে এবং আপনার সুরক্ষার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করতে হবে।

থানায় জিডি করার পর সেখানকার পুলিশ অফিসার আপনাকে একটি রিসেট বাজি নাম্বার দিবে সেটি আপনাকে সংরক্ষিত রাখতে হবে ভবিষ্যতে প্রয়োজনের জন্য। তাছাড়া আপনি যে থানায় জিডি করবেন সেখানে যদি সাইবার ক্রাইম ইউনিট থাকে তবে তাদের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন। আপনার জিডির কপিটি এখানে জমা দিয়ে তাদের কাছে সাহায্য সহযোগিতা চাইবেন।

জিডি করার পর ফেসবুকের হেল্প সেন্টারে গিয়ে আপনার আইডি হ্যাক করার বিষয়টি রিপোর্ট করতে হবে এবং সেখান থেকে একাউন্টটি পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা করতে হবে। আপনার আইডি ব্যবহার করে যদি কোন গুরুতর কোন ধরনের অপরাধ সংগঠিত করে তবে এটি দক্ষ আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে এগোতে হবে।

পরিশেষে বলা যায় যে উপরে উল্লেখিত প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করলে আপনি আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারবেন এবং আপনার আইডি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা পাবেন। তাই আমাদের ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে অবশ্যই আমাদেরকে একটি থানায় জিডি করতে হবে। যাতে কোন ধরনের হ্যাকারদের অপরাধমূলক কাজের জন্য নিজেদেরকে শাস্তি পেতে না হয়।

ফেসবুক আইডি হ্যাক করার শাস্তি

ফেসবুক আইডি হ্যাক করার শাস্তি অনেক জটিল এবং কঠিন। সাধারণত বাংলাদেশে ফেসবুক আইডি হ্যাক করা একটি গুরুতর অপরাধ পরিগণিত হয়েছে। বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তার আইন ২০১৮ অনুযায়ী এই অপরাধের শাস্তি কঠিন। কারো ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করার মাধ্যমে তথ্য চুরি করা, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো, বা ক্ষতিকর সবই আইনবিরোধী কাজ। ফেসবুক আইডি হ্যাক করার শাস্তি সম্পর্কে নিচের আলোচনা করা হলো-

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর শাস্তিঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর আওতায় যে সকল শাস্তির বিধান করেছে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-

ধারা ৩১ঃ যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে বা কারো ক্ষতি করার জন্য অপরাধ করে তাহলে তাকে ০৭ বছরের কারাদন্ড এবং ৫ লাখ টাকার জরিমানা বা উভায়দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে। এই অপরাধ যদি একই ব্যক্তি দ্বিতীয় বার করে তাহলে তাকে ১০ লক্ষ টাকা এবং দশ বছরের কারাদণ্ড হবে।

ধারা ৩৪ঃ যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে হ্যাঁ অন্যের পরিচয় দিয়ে হ্যাকিং করে তাহলে সেটি প্রতারণা মূলক কাজের জন্য শাস্তি হিসেবে ১৪ বছরের জেল ও এক কোটি টাকা দন্ডের দণ্ডিত হতে পারে।

ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সাইফের ট্রাইবুনালে মামলা করতে পারেন। পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট বা সিআইডির সাহেবার ক্রাইমটি ভিশন এ অপরাধ দাখিল করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো দ্রুত অপরাধীকে সনাত করে তাকে শাস্তি দিবে।

পরিশেষে বলা যায় যে, ফেসবুক আইডি হ্যাক করার শাস্তি অনেক কঠিন এবং গুরুতর। একাউন্টের সুরক্ষায় শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে এবং অবশ্যই টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু রাখতে হবে। ফেসবুক আইডি হ্যাক করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ অনুযায়ী যে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে তা অত্যন্ত ভয়ংকর এবং বাধ্যতামূলক।

ফেসবুক আইডি হ্যাক করা সফটওয়্যার

ফেসবুক আইডি হ্যাক করা সফটওয়্যার সাধারণত প্লেস্টোরে বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। ফেসবুক আইডি হ্যাক করার চেষ্টা করা একটি অবৈধ ও অনৈতিক কাজ। তাছাড়া হ্যাকাররা বিভিন্ন ধরনের সিস্টেম চালু রাখে ফেসবুক হ্যাক করার জন্য। ফেসবুক আইডি হ্যাক করার সফটওয়্যার সম্পর্কে নিম্নে কিছু আলোচনা করা হলো-

আমরা সাধারণত ফেসবুকে মেসেঞ্জারে বা বিভিন্নভাবে স্ক্রল করলে অনেক ধরনের লিংক আসে যা আমাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমরা সেখানে প্রবেশ করি। হ্যাকাররা সেই লিংকগুলো এতটা লোভনীয় করে বানায় যে আমরা আমাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও সেখানে ক্লিক করি। যার ফলে হ্যাকাররা ফেসবুকে লগইনের বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেয়ে যায়।

কি-লগার হল এমন একটি সফটওয়্যার যা কম্পিউটারে ইন্সটল করা হলে ব্যবহারকারীর টাইপ করা প্রতিটি কিওয়ার্ড রেকর্ড হয়ে যায়। যার ফলে হ্যাকারদের হ্যাক করার জন্য খুবই সহজ হয়। এছাড়াও আরেকটি অ্যাপস আছে ব্রুট ফোর্স অ্যাটাক অ্যাপস। যার মাধ্যমে হ্যাকাররা সম্ভাব্য বিভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ফেসবুক একাউন্টে লগইন করতে পারে।

স্পাই অ্যাপ্লিকেশন অ্যাপস, এটি কিছু মালেশিয়াস মোবাইল অ্যাপ বা সফটওয়্যার যা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা ডিভাইস থেকে বিভিন্ন ধরনের সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। হ্যাকাররা ব্যবহারকারীদের সাথে কথা বলে বিভিন্নভাবে মানসিকভাবে প্রতারণায় ফেলে হ্যাক করে। যার জন্য এই ধরনের সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করা খুবই ভয়ানক বিষয়।

পরিশেষে বলা যায় যে, কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় তারপরেও আমাদেরকে এই এপস গুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ অনুযায়ী যে কোনো ধরনের হ্যাক করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এর শাস্তিও অনেক কঠিন।

হ্যাককৃত ফেসবুক আইডি রিকভার করার নিয়ম

হ্যাককৃত ফেসবুক আইডি রিকভার করার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। হ্যাঁকৃত ফেসবুক আইডি রিকভার করার জন্য নিম্নলিখিত নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যেমন-

ফেসবুক-আইডি-হ্যাক-হলে-উদ্ধারের-উপায়
  • ফেসবুকের হ্যাকড অ্যাকাউন্ট রিকভারি পেজে যেতে হবে
  • তারপর "My Account is Compromised" বা অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে এই কথাটির উপরে ক্লিক করতে হবে।
  • আপনার নাম, ফোন নাম্বার, ইমেইল বা ইউজার নেম দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্টে শনাক্ত করতে হবে।
  • ফেসবুকের প্রতিটি নির্দেশনা অনুযায়ী আপনাকে আপনার পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করতে হবে।
  • তারপর ফেসবুকের লগইন পেজে "Forgate Password" বা পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন এইখানে ক্লিক করতে হবে।
  • মেল বা মোবাইল নাম্বারে একটি রিকভারি কোড পাবেন যা দিয়ে নতুন পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে।
  • আপনার ফেসবুকে প্রবেশের পর "Settings & Privacy" তারপর Security & Login" অপশনে ক্লিক করতে হবে
  • পরে আরেকটি অপশন পাবেন সেটি হচ্ছে "Where You are Logged In" এখান থেকে আপনার যে ডিভাইস গুলো সন্দেহ মনে হবে সেখান থেকে লগ আউট করা হবে।
  • আপনার অ্যাকাউন্টে হ্যাক হওয়ার পর হ্যাকাররা ইমেইল পরিবর্তন করতে পারে। আপনি সেই ঈমান ঠিকানাটি যাচাই করতে হবে এবং প্রয়োজন হলে সে পুরনো ইমেইল আবার ব্যবহার করতে পারেন।
  • সেখানে একটি ট্রাস্টেড কন্টাক্ট নামের অপশন আছে সেটি যদি সেটাপ করে থাকেন তাহলে সেই নাম্বার থেকে রিকভারি কোড সংগ্রহ করতে পারবেন।
  • ফেসবুক সাপোর্ট পেজে গিয়ে আপনার অভিযোগ দাখিল করেন এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স আপলোড করতে পারেন।
  • সাইবার নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনি আপনার আইডি র উদ্ধার করে সেখানে অবশ্যই টু ফ্যাক্টর অথেন্টিক চালু করবেন এবং পাসওয়ার্ড শক্তিশালী ব্যবহার করবেন।

উপরের আলোচনা থেকে বলা যায় যে প্রতিটি ধাপগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার হ্যাক হওয়া ফেসবুক আইডি রিকভারি করতে পারেন। আর যদি কোন ধরনের রিকভারিতে সমস্যা হয় রিকভার করা সম্ভব না হয় তবে অবশ্যই ফেসবুকের সাপোর্ট টিমের সহায়তা নিতে হবে । প্রয়োজনে বাংলাদেশের পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট বা ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে উদ্ধারের প্রয়োজনীয় কিছু টিপস

ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে উদ্ধারের প্রয়োজনীয় কিছু টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো। এতে আপনাদের খুব সহজেই উপকার হবে। টিপসগুলি নিম্নরূপ-

  1. ফেসবুকের "Hacked Account" পেজ ব্যবহার করতে হবে
  2. পাসওয়ার্ড দ্রুত রিসেট করতে হবে
  3. সন্দেহজনক ডিভাইস থেকে লগ আউট করতে হবে
  4. ইমেইল ঠিকানা যাচাই করতে হবে
  5. "Trusted Contacts" ব্যবহার করতে হবে
  6. ফেসবুকে অবশ্যই রিপোর্ট করতে হবে
  7. জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিতে হবে
  8. ম্যালওয়ার বা ভাইরাস আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে
  9. টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করতে হবে
  10. পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করতে হবে এবং নিয়মিত পরিবর্তন করতে হবে

পরিশেষে বলা হয় যে ফেসবুক আইডি রিকভারি করার পাশে পাশে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষিত রাখতে হবে এবং হ্যাকিং এর শিকার থেকে নিজেকে সতর্ক সাবধানে রাখতে হবে। কোনভাবেই নিজের ফেসবুক পাসওয়ার্ড অন্য কাউকে শেয়ার করা যাবে না, ফেসবুকের যেকোন লিংকে প্রবেশ করা যাবে না এবং আপডেট সম্পর্কে সব সময় এগিয়ে থাকতে হবে।

মন্তব্যঃ ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে উদ্ধারের উপায়

ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে উদ্ধারের উপায় সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই জানা একটি ফরজ কাজভ কারণ আইডি হ্যাক হওয়া একটি অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা, কারণ সঠিক পদক্ষেপ না নিলে বিভিন্ন ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। উপরের পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্ত হবেন। থাকতে হবে, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে এবং নিরাপত্তা সেটিংস আপডেট রাখতে হবে।

আজকের এই ব্লগে ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে উদ্ধারের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়ার চেষ্টা করেছি যা আপনাদের সহজে উপকারে আসবে। যদি কোন বিশেষ ধরনের সমস্যায় পড়েন তবে অবশ্যই ফেসবুক সাপোর্ট টিমের সহায়তা নিবেন এবং সাইবার সিকিউরিটির বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিবেন। আশা রাখি আমার এই বিস্তারিত বর্ণনা কিছুটা হলেও সকলের কাছে আসবে। ভালো থাকবে আবারও দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন ২৪ ব্লক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url