ফাইভার গিগ প্রমোট করার ২০টি কার্যকরী টিপস

ফাইভার গিগ প্রমোট করার ২০টি কার্যকরী টিপস আজকে আপনাদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরব। ফাইভারে গিগ প্রমোট করা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সারদের একটি সাফল্যের চাবিকাঠি। এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করব ফাইভারে  গিগ প্রমোট করার সেরা বৃষ্টি কার্যকরী টিপস যা আপনার প্রোফাইল কে পেশাদারভাবে উপস্থাপন করতে সাহায্য করবে।

ফাইভার-গিগ-প্রমোট-করার-সেরা-২০টি-টিপস

কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ক্লায়েন্টদের আকর্ষণ সৃষ্টি করার সহজ কৌশল এবং কাজের মান ধরে রাখার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। যদি আপনি ফাইবারের নতুন হন বা গিগের ভিউ এবং অর্ডার বাড়াতে চান তাহলে টিপসগুলো আপনারই জন্য। এখনই পড়ুন এবং সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছান।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ফাইভার গিগ প্রমোট করার ২০টি কার্যকরী টিপস

 ফাইভার গিগ প্রমোট করার ২০টি কার্যকরী টিপস

ফাইভার দিক প্রমোট করার ২০টি কার্যকরী টিপস সম্পর্কে আপনাদের অনেকেরই অজানা আছে। ফাইভারে গিগ প্রমোটের জন্য বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা আছে। ফাইভারে গিগ প্রমোট করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা সঠিকভাবে করা গেলে বেশি অর্ডার এবং আয় নিশ্চিত করা সম্ভব। গিগ প্রোমোটের জন্য ২০টি কার্যকরী টিপস নিম্নে দেয়া হলো-

  1. সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করুনঃ আপনার, গিগের শিরোনাম এবং ট্যাগে জনপ্রিয় ও প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। যার ফলে আপনার সার্চ র‍্যাংকিং বাড়াতে সাহায্য করবে।
  2. আকর্ষণীয় থাম্বনেইল ডিজাইন করুনঃ আপনার গিগকে পেশাদার ও আকর্ষণীয় করতে হবে। তার জন্য একটি পেশাদার ও দৃষ্টিনন্দন থাম্বনেইল আপনার দিকে ক্লিক বাড়াতে সাহায্য করবে।
  3. বিস্তারিত গিগ বিবরণ দিনঃ আপনার সার্ভিস সম্পর্কে পরিষ্কার ও বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে যাতে ক্লায়েন্টরা সহজেই বুঝতে পারে যে আপনি তাদের প্রয়োজন কিভাবে পূরণ করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে সহজ ও সুন্দরভাবে বিবরণ দিতে হবে।
  4. প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ করুনঃ শুরুতে প্রতিযোগিদের তুলনায় একটু কম দামে কাজ শুরু করতে হবে। কারণ আপনি নতুন হওয়ায় পুরাতন সাথে তাল মিলিয়ে চললে কাজ পাবেন না। সময়ের সাথে সাথে আপনার দাম বাড়াতে পারবেন।
  5. সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুনঃ আপনাকে গিগ প্রোমোটের জন্য অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে হবে। আপনার গিগ ফেসবুক, লিংকডইন, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম এর মত সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে শেয়ার করতে হবে।
  6. সঠিক কাস্টমার টার্গেট করুনঃ আপনার দিক প্রমোটের জন্য প্রথম কাজ হচ্ছে আপনাকে সঠিক কাস্টমার টার্গেট করতে হবে। আপনার টার্গেটেড ক্লায়েন্টদের চাহিদা বুঝে সেভাবে গিগ তৈরি করার চেষ্টা করতে হবে।
  7. নিয়মিত আপডেট রাখুনঃ আপনার গিগের শিরোনাম, বিবরণ এবং কিওয়ার্ডকে মাঝে মাঝে আপডেট করতে হবে। যেন এটি সব সময় প্রাসঙ্গিক থাকে তাহলে আপনার ক্লায়েন্ট সবসময় আপনার কাছে থাকবে।
  8. ভিডিও ইন্ট্রো যুক্ত করুনঃ আপনার গিগকে আকর্ষণীয় করার জন্য একটি ভিডিও ইন্ট্র যুক্ত করতে হবে। যাতে ক্লায়েন্টদের কাছে তা পরিষ্কার ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
  9. ফাইভারে নিয়মিত অ্যাকটিভ থাকুনঃ আপনাকে কাজ পাবার জন্য ফাইভারে নিয়মিত অ্যাকটিভ  থাকতে হবে।ফাইভার আপনার অনলাইন স্ট্যাটাস ট্র্যাক করে, তাই নিয়মিতভাবে একটিভ থাকলে আপনার কি আরো বেশি ভিজিবল হবে।
  10. কাস্টম অফার পাঠানঃ কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য আপনাকে কাস্টম অফার পাঠাতে হবে। এই প্রক্রিয়া সাধারণত একটি নতুন কাজ পাওয়ার বেশ সম্ভাবনা বাড়ায়। তাই আপনাকে কাস্টমারদের কাছে কাস্টম অফার পাঠাতে হবে।
  11. প্রথম অর্ডারের জন্য ছাড় দিনঃ যেহেতু আপনি নতুন এবং আপনাকে ফাইভার মার্কেটপ্লেসে জায়গা তৈরি করতে হবে তাই ক্লায়েন্টদের প্রথম অর্ডারের জন্য বিশেষ ছাড় বা বোনাস অফার করবেন।
  12. পজেটিভ রিভিউ সংগ্রহ করুনঃ আপনার কাস্টমারদের দেয়া কাজ সম্পন্ন করার পর ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে চেষ্টা করবেন যেন পজিটিভ রিভিউ আপনাকে দেয়। এই পজেটিভ রিভিউ আপনার জন্য পরবর্তী কাজের জন্য আকর্ষণীয় মাধ্যম হবে।
  13. প্রতিযোগীদের গিগ পর্যালোচনা করুনঃ আপনার কনটেন্ট এবং সার্ভিস উন্নত করার জন্য আপনার যারা সফল প্রতিযোগী রয়েছে তাদের গিগগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে এবং দিকগুলো বিশ্লেষণ করতে হবে।
  14. ব্লগ পোস্ট লিখুনঃ আপনার গিগে ব্লক পোস্ট লিখে রাখতে হবে বা অতিথি ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনার গিগ প্রমোট করতে হবে। এতে আপনি কাজ পেতে উপকৃত হবেন।
  15. ফাইভারের ফোরামে অংশগ্রহণ করুনঃ ফাইবারের বিভিন্ন ফোরামে অংশগ্রহণ করে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে হবে এবং নিজের গিগ প্রমোট করতে হবে।
  16. উচ্চমানের সেবা দিনঃ আপনি যখন কোন কাজের অর্ডার পাবেন তখন অবশ্যই সেই ক্লায়েন্টের কাজের মনের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে যাতে তারা আপনাকে অর্ডার বারবার দেয়। এছাড়াও আপনার কাজের মান উন্নত হলে তারাও অন্যদের কাছে আপনার একাউন্টের কথা তুলে ধরবে।
  17. সঠিক টাইম ম্যানেজমেন্ট করুনঃ ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে কাজ পাওয়ার পর তাদের সময় অনুযায়ী আপনাকে ডেলিভারি দিতে হবে। এতে করে ক্লায়েন্টদের আপনার প্রতি আস্থা বাড়বে এবং তারা পজিটিভ রিভিউ দিতে সাহায্য করবে।
  18. প্রফেশনাল যোগাযোগ বজায় রাখুনঃ আপনার ফাইভার গিগ প্রমোটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কাজ হল প্রফেশনাল যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। ক্লায়েন্টদের সাথে প্রফেশনাল যোগাযোগ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ  যোগাযোগ রাখলে আপনার কাজের সুবিধা হবে।
  19. SEO-সমৃদ্ধ গিগ তৈরি করুনঃ আপনার গিগ SEO- ফ্রেন্ডলি করে তোলার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে।। প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড এবং বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করে হবে।
  20. বিভিন্ন প্যাকেজ তৈরি করুনঃ বিভিন্ন দামের প্যাকেজ আপনাকে তৈরি করতে হবে। কারণ বিভিন্ন প্যাকেজ ক্লায়েন্ট তারা তাদের বাজেট অনুযায়ী অপশন বেছে নিতে পারবেন যা আপনার জন্য অনেক সহজ সুন্দর হবে।

পরিশেষে বলা যায় যে, ফাইভারে গিগ প্রমোট করা একটি ধারাবাহিক এবং কৌশলত প্রক্রিয়া যা সঠিকভাবে অনুসরণ করলে আপনার সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যায়। উপরের বর্ণিত এই ২০টি টিপস প্রয়োগ করে আপনি আপনার গিগকে আরো আকর্ষণীয়, সার্চ ফ্রেন্ডলি এবং কার্যকরী করে তুলতে পারবেন। তাই টিপসগুলো বাস্তবায়ন করুন এবং আপনার ফাইভার ক্যারিয়ারে সাফল্যের নতুন দার উন্মোচন করেন।

আকর্ষণীয় গিগ টাইটেল তৈরির সেরা উপায়

আকর্ষণীয় গিগ টাইটেল তৈরির সেরা উপায় যা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে এমন ভাবে উপস্থাপন করতে হবে যা আপনার দক্ষতা এবং সেবা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পায় এবং একই সঙ্গে সম্ভাব্য ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে। নিচে এর বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হলো-

মূল সেবা নির্ধারণঃ আপনার দিকের মধ্যে যে সেবা অফার করবেন সেটি প্রথমে খুব ভালোভাবে চিন্তা করবেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যদি আপনার একটি লোগো ডিজাইন সেবা অফার করেন, তাহলে সেটিকে পরিষ্কারভাবে আপনার টাইটেলে উল্লেখ করতে হবে। যেমন-

"I Will Design a Unique and Professional Logo Business"

"Creative Logo Design with Unlimited Revisions and Fast Delivery"

কিওয়ার্ড রিসার্চঃ আপনি যে সেবাটি দিবেন সে সেবার জন্য উপযুক্ত কিওয়ার্ড খুঁজতে হবে যা আপনার সম্ভাব্য ক্রেতারা বেশি বেশি করে সার্চ করে। টাইটেল এর মধ্যে একটি জনপ্রিয় কিওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ "SEO" "Fast Delivery" "Professional", "Custom Design" ইত্যাদি।

কিওয়ার্ড গবেষণার জন্য Google keyword Planner, Keyword Generator বা Ubersuggest ব্যবহার করতে পারেন। এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনি খুব সহজেই আপনার আকর্ষণীয় কিওয়ার্ডগুলো খুঁজতে পারবেন এবং আপনি আপনার সেবার জন্য এগোতে পারবেন। যেমন -

  • "I Will Provide SEO Optimized Content Writing for Your Website"
  • "Custom Logo Design for Branding and Social Media Marketing"

পরিষ্কার ও নির্ভুল বর্ণনাঃ আপনার টাইটেলটি যেন দীর্ঘ না হয় এবং কোন ধরনের জটিল বাক্য যেন ব্যবহার না করা হয়। সুন্দর করে সংক্ষেপে এবং সুনির্দিষ্ট ভাবে আপনি আপনার সেবার বর্ণনা দিবেন।

ভুল টাইটেল উদাহরণ-

  • "I Will Be Your Expert Graphics Designer Who Can Make All Kinds of Designs Like Logos, Poster and Flyers"

সঠিক টাইটেল উদাহরণ-

  • "I Will Design Eye-Catching Logos, Posters and Flyers for Your Brand"

সংখ্যা বা উপাদান যোগঃ আপনার সেবাটা যদি প্রাসঙ্গিক হয় তবে অবশ্যই কিছু স্পষ্ট উপাদান বা সংখ্যা যোগ করতে হবে। এটি আপনার টাইটেলকে আরো নির্ভরযোগ্য করে তুলবে। যেমন-

  • "I Will Create 3 Professional Logo Concepts in 24 Hours"
  • "10 SEO-Friendly Articles Delivered  in Just 5 Days"

গিগ টাইটেল অপ্টিমাইজেশনঃ ফাইভারের অ্যালগরিদম এর জন্য আপনার টাইটেলটিকে অবশ্যই SEO ফ্রেন্ডলি হতে হবে। আপনার টাইটেলের দৈর্ঘ্য সর্বনিম্ন পাঁচ এবং সর্বোচ্চ আট শব্দের মধ্যে রাখতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ কীওয়ার্ড প্রথমে ব্যবহার করতে হবে।

  • "High-Quality Website Development with Responsive Design"
  • "Affordable and Fast Social Media Management Services"

 আরও পড়ুনঃ মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার কার্যকরী নিয়ম সম্পর্কে জানুন

ক্রেতার প্রয়োজন অনুযায়ী ফোকাসঃ একজন ক্রেতা আপনার টাইটেল থেকে জানতে চাইবে আপনি কিভাবে তার সমস্যার সমাধান করবেন। তাই আপনার টাইটেলে ক্রেতার দৃষ্টিকোণ থেকে যে লাভ পাবে সেটি তুলে ধরতে হবে। যেমন-

  • " I Will Optimize Your Website For Faster Load Time and Better Performance"
  • "Get a Professional and Memorable Logo for Your Starup"

টাইটেল তৈরির কিছু সৃজনশীল উদাহরণ

  • "I Will Create Stunning WordPress Websites with Modern Featuress"
  • "Custom Social Media Ads That Drive Engagement and Sales"
  • "Professional Voice Over in English with Fast Delivery"
  • "Crafting Unique Book Covers for Authors and Publishers"

কপিরাইট এড়িয়ে চলার টিপসঃ আপনাকে অবশ্যই কপিরাইট এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন-

  • অন্যদের দিক থেকে শব্দ বা টাইটেল সারা শরীর কপি করা যাবে না
  • আপনার দক্ষতা অনুযায়ী স্বতন্ত্র এবং ক্রিয়েটিভ সহ ব্যবহার করতে হবে
  • টাইটেল চেক করতে হবে Copyscape বা Grammarly Plagirism checker বা Small SEO Checker ব্যবহার করতে হবে।

পরিশেষে বলা যায় যে, আপনি যদি এই ধাপগুলো অনুসরণ করেন তবে একটি কাস্টমাইজড এবং কার্যকর গিফট টাইটেল তৈরি করতে পারবেন যা গুগল বা ফাইভারে কপিরাইটের যুগ ছাড়াই আপনার সেবাকে সবার সামনে তুলে ধরতে পারবে। একটি আকর্ষণীয় গিগ টাইটেল আপনার সেবা প্রমোট করতে এবং ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টাইটেল যেন ক্রেতাদের প্রয়োজন বুঝি নাই এবং কপিরাইট ঢুকিয়ে দিয়ে স্বতন্ত্রভাবে তৈরি হয়।

সঠিক ক্যাটাগরি ও সাব ক্যাটাগরি নির্বাচন

সঠিক ক্যাটাগরি ও সাব ক্যাটাগরি নির্বাচন একটি সফল গিগ প্রমোট করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তাহলে আপনার এই সেবা সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে সাহায্য করবে এবং ফাইভারের অ্যালগোরিদম এর এ আপনার গিগ র‌্যাংক করতে সাহায্য করবে। সঠিক ক্যাটাগরি ও সাব ক্যাটাগরি নির্বাচন করার জন্য বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হল-

আপনার সেবা ধরন স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করুনঃ আপনার সেবা কোন শিল্প বা ক্ষেত্রে পড়ে তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে পোস্টটি লিখেন বা প্রকাশ করবেন তা কোন ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে সেটি ভালোভাবে নির্বাচন করতে হবে। যেমন-

গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ যদি আপনি লোগো পোস্টার বা ব্যানার ডিজাইন করেন তাহলে সেগুলো অবশ্যই গ্রাফিক ডিজাইনের মধ্যে পড়ে।

ডিজিটাল মার্কেটিংঃ আপনি যদি SEO, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা ইমেইল মার্কেটিং করেন সেগুলো সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে

রাইটিং অ্যান্ড ট্রান্সলেশনঃ ব্লগ রাইটিং, আর্টিকেল রাইটিং বা ভাষান্তর সেবা সাধারণত রাইটিং অ্যান্ড ট্রান্সলেশন মধ্যে পড়ে।

তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে প্রতিটি সেবার একটি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির অধীনে পড়ে। তাই আপনাকে আপনার সেবার ধরন স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করতে হবে যে আপনার সেবাটি কোন ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ছে। পড়ছো এত মোটা ষোল এইটি সঠিকভাবে থাকলে সহজেই আপনার ক্রেতা তার প্রয়োজনীয়তা আপনার কাছে কি সেটা বুঝতে পারবে।

ফাইভারের ক্যাটাগরি তালিকা পর্যালোচনাঃ ফাইভারের বিভিন্ন সেবা অনুযায়ী ক্যাটাগরি ও সাপ ক্যাটাগরির সাজানো আছে। আপনি প্রথমে ক্যাটাগরি নির্বাচন করবেন এবং তারপর সংশ্লিষ্ট সাব ক্যাটাগরি। ফাইভারের বিভিন্ন গিগ রেখে নিজের সেবা অনুযায়ী উপযুক্ত ক্যাটাগরি চিহ্নিত করতে হবে। যেমন-

  • ক্যাটাগরি- Graphics & Design
  • সাব ক্যাটাগরি-Logo Design, Flyers & Posters, Web Design
  • ক্যাটাগরি- Digital Marketing

সাব ক্যাটাগরি- Social Media Marketing, SEO, Content writing, Content Marketing

জনপ্রিয় ক্যাটাগরি চেক করুনঃ আপনি যে সেবা দিবেন সেটির জন্যফাইভারে কোন ক্যাটাগরি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় তা প্রথমে গবেষণা করতে হবে। জনপ্রিয় ক্যাটাগরি গুলো ক্রেতাদের বেশি আকর্ষণ করে এবং আপনার গিগের ভিজিবিলিটি বাড়াতে সাহায্য করবে।

টুলসঃ

  • Fiverr Trands Tool (যদি ফাইভারের ভিতরে থাকে)
  • Google Treands
  • SEMrush বা Ahrefs দিয়ে কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ

সঠিক সাব ক্যাটাগরী নির্বাচন করুনঃ গিগের সাপ ক্যাটাগরি নির্ভুল হাওয়া অত্যন্ত জরুরি কারণ এটি নির্ধারণ করে আপনার গিগ সব জায়গায় প্রদর্শিত হবে। যেমন-

  • আপনি যদি লোগো ডিজাইন করেন তবে, Graphics & Design > Logo Design হবে
  • আপনি যদি ব্লক পোষ্ট লিখেন তবে, Writing & Translation> Articles & Blog Posts" নির্বাচন করুন

আপনার প্রতিযোগিতার গিটগুলো পর্যবেক্ষণ করে তারা কোন ক্যাটাগরি ও সাব ক্যাটাগরির ব্যবহার করছে তা দেখে নিন। তাহলে আপনি আপনার ক্যাটাগরি ও সাব ক্যাটাগরি তৈরি করতে খুব সহজ হবে এবং বুঝতে পারবেন।

মাল্টিপল গিগের জন্য আলাদা ক্যাটাগরি ব্যবহার করুনঃ বিভিন্ন গিগের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরি ব্যবহার করতে হবে। এটি আপনাকে একই সময়ে বিভিন্ন ক্রেতার সামনে বিভিন্নভাবে তুলে ধরতে সাহায্য করবে। যেমন-

  • একটি গিগে "Social Media Marketing" নির্বাচন করতে হবে
  • অন্য গিগে "SEO Optimization" নির্বাচন করতে হবে

অ্যালগরিদম অনুসারে অপ্টিমাইজ করুনঃ ফাইবারের অ্যালগরিদম অনুসারে সঠিক ক্যাটাগরি নির্বাচন করলে আপনার গিগ প্রাসঙ্গিক সার্চ ভলিউম ফলাফলে উঠে আসবে। সুতরাং সাব ক্যাটাগরি বাছাই করার সময় এটি মাথায় রাখতে হবে।

ক্যাটাগরি ভুল নির্বাচনের সমস্যাঃ

  1. গিগ সঠিক ক্রেতার সামনে প্রদর্শিত হবে না
  2. ফাইভারের অ্যালগরিদম আপনাকে গিগকে রেঙ্ক করাবে না

কাস্টম অফার এবং ট্যাগের সাথে সামঞ্জস্য রাখুনঃ আপনি যখন কাস্টম অফার বা সার্চ ট্যাগে এমন শব্দ ব্যবহার করবেন যা আপনার ক্যাটাগরি এবং সাব ক্যাটাগরির সাথে মিল থাকে। যেমন-

  • আপনি যদি "Logo Design" ক্যাটাগরি বাছাই করেন তাহলে ট্যাগ হিসেবে "Creative Logo Design", Minimalist Logo" এবংBusiness Logo" ব্যবহার করতে পারেন

ক্যাটাগরি ও সাব ক্যাটাগরি পর্যালোচনা করুনঃ গীগ তৈরি করার সময় ভুল ক্যাটাগরি নির্বাচন করলে তারপর পরবর্তীতে যখন সম্পাদন করবেন তখন ভুলবেন না। ভাইভারে এডিট অপশন দিয়ে ক্যাটাগরি ও সাব ক্যাটাগরি সহজে পরিবর্তন করা যায়। তাই ক্যাটাগরির নির্বাচন করতে ভুল হলে অবশ্যই তা সংশোধন করতে হবে।

গিগ ক্যাটাগরি নির্বাচন করার উদাহরণঃ

উদাহরণ ১ঃ

  • ক্যাটাগরি- Writing & Translation
  • সাব ক্যাটাগরী- Articles & Blog Posts
  • ট্যাগ- SEO Blog, Website Content, Blog Writing

উদাহরণ-2ঃ

  • ক্যাটাগরি- Digital Marketing
  • সাব-ক্যাটাগরি- Social Media Marketing
  • ট্যাগ- Facebook Ads, Instagram Marketing, Social Media Strategy

টুলস এবং গবেষণা উপকরণ ব্যবহার করুনঃ

  1. ফাইভারের গিগ লাইব্রেরি প্রতিযোগীদের গেট দেখতে পারেন
  2. Google Keyword Planner জনপ্রিয় কিওয়ার্ড খুঁজতে পারেন
  3. Fiverr Learn বা ব্লগ ক্যাটাগরি বাঁচার জন্য টিপস পেতে পারেন

পরিশেষে বলা যায় যে, সঠিক ক্যাটাগরি ও সাবধান করি নির্বাচন ফাইবারের দিক প্রমোটের জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য। এটি আপনার গিগের ভিজিবিলিটি বাড়ায়, সঠিক ক্রেতার কাছে পৌঁছায় এবং ফাইবারের অ্যালগরিদম এর রেংক করতে সাহায্য করে। তাই সঠিকভাবে গবেষণা করে বাছাই করতে হবে।

ফাইভারে গিগের বিস্তারিত বিবরণ দিন

ফাইবারে গিগের বিস্তারিত বিবরণ দিন এমনভাবে যাতে এটি ক্রেতাকে আপনার সেবার সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা দেয় এবং কেন তারা আপনার সেবা কিনবে তা ভালোভাবে বোঝা যায়। একটি কার্যকরী গিগ বিবরণ তৈরি করতে সাধারণত নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে। যেমন-

ফাইভার-গিগ-প্রমোট-করার-সেরা-২০টি-টিপস

পরিচিতি দিয়ে শুরুঃ আপনার গিগে আপনার পরিচয় দিয়ে প্রথমে শুরু করুন। তার প্রতি বন্ধুসুলভ টনে একটি অভ্যর্থনা জানান এবং আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিন। তার সাথে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলে। যেমন-

"Welcome to my gig! I am a professional graphic designer with over 5 years of experience in creating unique and eye-catching designs. I am here to help you bring your vision to life."

  • আপনার সেবা সম্পর্কে বিস্তারিতঃ আপনি আপনার গিগে কি সেবা দিচ্ছেন তা সুনির্দিষ্ট ভাবে ব্যাখ্যা করুন। আপনার সেবার বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধাগুলো উল্লেখ করতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার গিগ কিভাবে ক্রেতারা প্রয়োজন পূরণ করবে তা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
  • ক্রেতার জন্য পরিষ্কারভাবে কি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তা উল্লেখ করুনঃ ক্রেতা কি ধরনের আউটপুট পাবে তা পরিষ্কারভাবে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে ফাইল ফরম্যাট, রিলেশনের সংখ্যা এবং ডেলিভারি টাইম উল্লেখ করতে হবে।
  • সেবার সুবিধা ও মূল্য প্রস্তাব দিনঃ আপনার সেবার বিশেষ দিক বা প্রতিযোগিতা থেকে কিভাবে আলাদা তা সুন্দর করে তুলে ধরতে হবে। এটা ক্রেতার জন্য আপনার গিগকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে।
  • স্পষ্ট ভাষায় আপনার প্রয়োজন উল্লেখ করুনঃ ক্রেতার কাছ থেকে আপনি কি তথ্য বা উপকরণ আশা করেন তাগিগে উল্লেখ করতে হবে। এটি নিশ্চিত করে হবে যে ক্রেতা প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করবে।
  • কিভাবে কাজ করবেন তার সংক্ষেপ ভাবে উল্লেখ করুনঃ আপনার কাজের প্রক্রিয়া সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরতে হবে। এতে করে ক্রেতার সুবিধা হবে আপনার পেশাদারী সম্পর্কে সে আশ্বস্ত হবে। তাহলে খুব সহজেই সে আপনাকে কাজ দিতে সুবিধা পাবে।
  • অনুপ্রেরণা ও কল টু একশানঃ গিগের সেষে ক্রেতাদেরকে আপনার সেবা কিনতে অনুপ্রাণিত করতে একটি কলের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে সে কল টু একশান যুক্ত হয়ে আপনার সাথে সমস্যার সমাধান করতে পারে।
  • পেশাদার টোন বজায় রাখুনঃ আপনার গিগের বিবরণে প্রাসঙ্গিক ও পেশাদার শব্দটি ব্যবহার করতে হবে। অনুচ্ছেদ গুলো ছোট ছোট রাখতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অবশ্যই বুলেট পয়েন্ট আকারে সাজাতে হবে। যাতে খুব সহজেই সেবা আপনার পেশাদারিত্বটা বুঝতে পারে।

আরও পড়ুনঃ ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে উদ্ধারের উপায় 

  • SEO অপটিমাইজড গিগ বিবরন লিখুনঃ আপনার গিগ বিবরণ কে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার যুক্ত করুন যেমন- Professional Logo Design," "SEO Content Writing" বা Social Media Marketing Services" আপনার গিগকে র‌্যাংক করে।

ভুল এড়াতে করণীয়ঃ

  • অন্যদের গিগ থেকে থেকে সরাসরি কপি করা যাবে না
  • অপ্রাসঙ্গিক কোনো তথ্য দেয়া যাবে না
  • িক অতিরিক্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্রেতার আস্থা হারানো যাবে না

পরিশেষে বলা যায় যে ফাইভারে গিগের বিস্তারিত বিবরণ তৈরি করা একটি শিল্প যা স্পষ্টতা, পেশাদারিত্ব এবং ক্রেতার প্রয়োজনকে কেন করে তৈরি করা হয়। একটি আকর্ষণীয় ও SEO-অপটিমাইজড বিবরণ ক্রেতাদের আস্থা অর্ধ করে এবং বিক্রয় বাড়াতে সাহায্য করে।

প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ করুন

প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ করুন কারণ প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করতে হলে বাজারের পরিস্থিতি, আপনার দক্ষতা এবং ক্লায়েন্টের প্রত্যাশা বিবেচনা নিয়ে একটি সুপরিকল্পিত কৌশল তৈরি করতে হবে। এখানে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের একটি বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হল। যেমন-

  • সঠিক বাজার বিশ্লেষণঃ ফাইবারের গীগ প্রমোটের জন্য প্রতিযোগিতামূলক বাজার পরিস্থিতির জন্য প্রথম ধাপ হিসেবে ফাইবারে আপনার নির্দিষ্ট সেবার জন্য জনপ্রিয় গিগগুলোর মূল্য বিশ্লেষণ করতে হবে। আপনাকে দেখতে হবে প্রতিযোগীরা কি ধরনের সেবা দিচ্ছে এবং তার জন্য তারা কত দাম নিচ্ছে। তুলনামূলকভাবে কম দাম দিয়ে শুরু করা বুদ্ধিমানের কাজ কারণ আপনি নতুন সেলার। এটি আপনাকে দ্রুত কাস্টমার আকর্ষণ করতে সাহায্য করবে।
  • অভিজ্ঞতা অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণঃ যদি আপনার কাজের অভিজ্ঞতা বেশি হয় তবে অবশ্যই আপনি উচ্চমূল্য নির্ধারণ করতে পারেন। তবে এই দান কেন কাস্টমারের কাছে সঠিকভাবে উপস্থাপন হয় সে বিষয়েও নিশ্চিত হতে হবে। যেমন আপনি যদি একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্রমোশনাল গিগের জন্য অভিজ্ঞ হন তাহলে আপনার বর্ণনায় আপনার দক্ষতা তুলে ধরতে হবে এবং আপনার প্রিমিয়াম প্যাকেজ এর দাম অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত হতে হবে।
  • প্রারম্ভিক অফারঃ ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রথমে একটি প্রারম্ভিক অফার রাখতে পারেন। যেমন নতুন কাস্টমারদের জন্য ২০% ছাড় বা প্রথম দশটি অর্ডারের জন্য বিশেষ মূল্য।
  • প্যাকেজ ভিত্তিক মূল্যঃ মূল্য নির্ধারণের সময় বিভিন্ন প্যাকেজ তৈরি করতে হবে যাতে ক্লায়েন্ট তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার সেবাটি বেছে নিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ-Basic Package শুধুমাত্র প্রমোশন, কম মূল্যে। Standard Packsge প্রমোশন ও কাস্টম ডিজাইন এবং Premium Package প্রমোশন, কাস্টম ডিজাইন ও বিশ্লেষণ রিপোর্ট। প্যাকেজের মূল্য এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যাতে প্রতিটি স্তরের কাস্টমারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়।
  • কাজের পরিধি অনুযায়ী মূল্যঃ আপনার সেবার পরিধি ও কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। যেমন একটি ছোট প্রজেক্টের জন্য স্বল্প মূল্য নির্ধারণ করতে হবে এবং বৃহত্তর প্রজেক্ট এর ক্ষেত্রে বেশি সময় ও দক্ষতা প্রয়োজন হয় তাই দামও একটু বেশি হতে পারে।
  • গুণগতমান এবং মূল্যঃ সরাসরি প্রতিযোগিতামূলক দাম নির্ধারণের পাশাপাশি আনার গুণগতমান বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু দাম বাড়ালেই হবে না দামের সাথে সাথে আপনাকে কাজের মানও উন্নত দিতে হবে। আপনার গিগে উল্লেখ করতে হবে যে আপনি কেবল সস্তা সেবা নয় বরং মানসম্পন  কাজও  প্রদান করেন।
  • বিশেষ সেবাঃ যদি আপনি আপনার গিগকে অন্যদের থেকে আলাদা তৈরি করতে পারেন, তাহলে তার মূল্য নির্ধারণে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। যেমন আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন অঞ্চলের টার্গেট অডিয়েন্সের জন্য প্রমোশন করেন তবে আপনার দি গিগের দাম একটু বেশি রাখা যৌক্তিক হতে পারে।
  • দীর্ঘ কাস্টমদের জন্য বিশেষ সুবিধাঃ যেসব ক্লায়েন্ট পুনরায় আপনার সেবা গ্রহণ করতে চান তাদের জন্য ডিসকাউন্ট বা বিশেষ অফারের ব্যবস্থা করবেন এতে আপনাদের সাথে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের আগ্রহ গড়ে তুলতে পারে।
  • মূল্য সংক্রান্ত স্বচ্ছতাঃ আপনার গিগের বর্ণনাতে অবশ্যই মূল্য নিয়ে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ থাকতে হবে কাস্টমারদের কে বুঝিয়ে বলতে হবে যে নির্ধারিত মূল্যের জন্য তারা কি কি ধরনের সুবিধা পেতে পারে মনের মধ্যে যেন কোন ধরনের সন্দেহ তৈরি না হতে পারে।

পরিশেষে বলা যায় যে ফাইভ হারে গীত প্রমোট করার সময় প্রতিযোগিতামূল্য নির্ধারণ করতে হলে কেবল দাম কম রাখাই নয় বরং মানসম্মত সেবা প্রদান করা এবং কাস্টমার এর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করায় আপনার আসল চাবিকাঠি। তাই মূল্য নির্ধারণ করার সময় নিজের দক্ষতা, কাজের মান এবং ক্লায়েন্টদের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করবেন। 

 ফাইভার গিগ প্রমোটের উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার

ফাইভার গিগ প্রমোটের উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার একটি অত্যন্ত কার্যকর প্ল্যাটফর্ম। এটি যদি আপনারা সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার গিগের ভিউ, ক্লিক এবং অর্ডার বৃদ্ধি পাবে। কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ফাইবার গিগ প্রমোট করার কৌশল নিচে আলোচনা করা হলো-

  • টার্গেট অডিয়েন্স চিহ্নিতকরণঃ প্রথমেই আপনার টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করতে হবে। আপনি কোন ধরনের ক্লাইন্ট খুঁজছেন এবং তারা কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম বেশি ব্যবহার করে তা বুঝতে চেষ্টা করতে হবে। যেমন বিজনেস মালিক এবং উদ্যোক্তারা সাধারণত লিংকডইন এ সক্রিয় থাকে। ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট এবং ভিজুয়াল প্রমোশনের জন্য instagram এবং printerest আদর্শ। ফেসবুক এবং টুইটার বিভিন্ন ধরনের ক্লায়েন্টের কাছে যেকোন তথ্য পৌঁছানোর সুযোগ দেয়।
  • প্রোফাইল পেশাদারভাবে তৈরি করুনঃ আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলোকে অবশ্যই পেশাদার ভাবে সাজাতে হবে। আপনার প্রোফাইল বায়োতে অবশ্যই ফাইবারের গিগের লিংক যোগ করতে হবে এবং কাজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও সেবাগুলোকে ভালোভাবে উল্লেখ করতে হবে। একটি প্রফেশনাল প্রোফাইল ক্লাইন্টদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়।
  • আকর্ষণীয় পোস্ট তৈরি করুনঃ আপনার গিগের জন্য আকর্ষণীয় এবং ক্রিয়েটিভ পোস্ট তৈরি করুন। প্রতিটি পোস্টে গিগের মূল বৈশিষ্ট্য, সেবা এবং কাস্টমারের জন্য প্রাপ্ত সুবিধাগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। যেমন ছবি, ইনফোগ্রাফিক এবং ভিডিও ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি পোস্টের শেষে আপনার ফাইভার গিগের লিংক দিতে হবে।
  • ভিডিও মার্কেটিংঃ বর্তমান সময়ে ভিডিও কনটেন্ট অত্যন্ত কার্যকরী একটি মাধ্যম। আপনি যদি আপনার গিগের জন্য একটি ছোট প্রোমোশনাল ভিডিও তৈরি করেন এটি অনেক বেশি দর্শকদের আকৃষ্ট করতে পারবে। ভিডিওতে দেখাতে পারবেন আপনি কিভাবে কাজ করেন, ক্লায়েন্ট কি পাবে এবং কেন আপনাকে ক্লাইন্ট বেছে নিবে।
  • কনটেন্ট শেয়ার করুনঃ আপনার গ্রিক সম্পর্কিত শিক্ষামূলক এবং দরকারি কন্টেন্ট শেয়ার করুন যা আপনার টার্গেট অডিয়েন্সদের জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক। যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং এর টিপ শেয়ার করতে পারবেন এবং সৃজনশীল ডিজাইন বা কপিরাইটিং এর নমুনা দিতে পারবেন। এই ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করলে আপনার প্রোফাইলে বিশ্বাসযোগ্যতা এবং ফলোয়ার বাড়বে।
  • সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ এবং ফোরামঃ ফেসবুক এবং লিংকডইন এর রিলেটেড গ্রুপগুলোতে অংশগ্রহণ করতে হবে। তবে সরাসরি প্রমোশন করার পরিবর্তে প্রথমে গ্রুপের সদস্যদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে এবং তাদের সমস্যার সমাধান দিতে হবে। একবার তারা আপনার কাজ সম্পর্কে জানলে তারা আপনার গিগে আগ্রহী হবে।

 আরও পড়ুনঃ কিভাবে ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট ডিলিট করা যায় 

  • Hashtag ব্যবহারঃ instagram, twitter এবং Linkedin-এ FREE TRIAL EXPIREDপোস্ট করার সময় প্রাসঙ্গিকভাবে হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করতে হবে উদাহরণস্বরূপ যদি আপনার ঘি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত হয় তাহলে ব্যবহার করতে পারেন #DigitalMarketing, #FiverrSeller বা #FreelanceSevvice।
  • ফলোয়ারদের সাথে যোগাযোগঃ আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের ফলোয়ারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন। যদি কেউ আপনার পোস্ট বা কনটেন্ট সম্পর্কে জানতে চায় তবে অবশ্যই তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন এবং আপনার গিগের বিস্তারিত বর্ণনা শেয়ার করুন।

পরিশেষে বলা যায় যে, আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারণার কার্যকারিতা ভিজিট করতে হবে। কারণ পোস্ট বা প্লাটফর্ম থেকে বেসিক ক্লিক বা অর্ডার আসছে তা চিহ্নিত করতে হবে। ভবিষ্যতে আরো ফলাফল পেতে সেই অনুযায়ী কৌশল পরিবর্তন করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ধারাবাহিকতা এবং সৃজনশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন কিছু সময় ব্যয় করে সঠিকভাবে পরিকল্পনা করলে ফাইবারে আপনার গীগ প্রমোট করা অনেক সহজ হয়ে ওঠে।

 ফাইভার গিগ প্রমোট করতে নিয়মিত আপডেট রাখুন

ফাইভার গিগ প্রমোট করতে নিয়মিত আপডেট রাখুন কারণ এটি গিগের র‌্যাংকিং বাড়াতে এবং সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার সেবাকে আরো আকর্ষণীয় তুলতে সাহায্য করে। নিয়মিত আপডেট রাখার জন্য কিভাবে কাজ করতে হবে তার বর্ণনা নিচে দেয়া হলো-

  • গিগের বিবরণ আপডেট করুনঃ আপনার সেবা বা কাজের পদ্ধতিতে নতুন কিছু যদি যুক্ত হয় তা লীগের বিবরণে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গিগের বর্ণনা, শিরোনাম এবং ট্যাগে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে যাতে গিগটি সহজে সার্চে পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যদি আপনি নতুন কোন টুল বা প্রযুক্তি শিখে থাকেন তবে সেটি অবশ্যই আপনার গিগে উল্লেখ করতে হবে।
  • পোর্টফোলিও আপডেটঃ নতুন কাজের উদাহরণ বা প্রজেক্ট যোগ করে আপনাকে পোর্টফলিও আপডেট করতে হবে। এটি ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার সাম্প্রতিক দক্ষতা ও কাজের মান তুলে ধরতে সাহায্য করবে। যেমন আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইনের গিগ পরিচালনা করেন তবে আপনার সাম্প্রতিক ডিজাইন গুলো অবশ্যই সেখানে যোগ করতে হবে।
  • প্রাইসিং রিভিউঃ সময় অনুযায়ী আপনি আপনার গিগের মূল্য পুনর্মূল্যায়ন করবেন। যদি আপনার সেবার চাহিদা বাড়ে বা অতিরিক্ত দক্ষতা যোগ হয় তাহলে প্রিমিয়াম প্যাকেজের দাম সামঞ্জস্য করতে হবে। অন্যদিকে নতুন ক্লায়েন্ট আকর্ষণের জন্য প্রারম্ভিক অফার বা ডিসকাউন্ট এর ব্যবস্থা করতে হবে।
  • গিগ ইমেজ বা ভিডিও আপডেটঃ গিগের ভিজুয়াল উপস্থাপনা আকর্ষণীয় করতে হবে নতুন কোন প্যান্ট বা ডিজাইন স্টাইল অনুসারে আপনার গিগের ইমেজ বা ভিডিও আপডেট করতে হবে। ভিডিওতে পরিষ্কারভাবে বোঝাতে হবে যে আপনি যা কাজ করবেন এবং কাস্টমার কিভাবে উপকৃত হবে।
  • রিভিউ সংগ্রহঃ নতুন ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে রিভিউ চাহার মাধ্যমে আপনার গিগকে আপডেট রাখতে হবে। পজিটিভ রিভিউ আপনার গিগের রেংকিং বাড়াতে সাহায্য করবে। রিভিউ পাওয়ার জন্য সময়মতো ডেলিভারি দিতে হবে এবং ক্লায়েন্টের প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
  • গিগের ট্যাগ ও কিওয়ার্ড পরিবর্তনঃ নতুন সার্চ ট্রেন্ড অনুযায়ী গিগের ট্যাগ এবং কিওয়ার্ড আপডেট করতে হবে। সময়ের সাথে সাথে জনপ্রিয় কিওয়ার্ড পরিবর্তিত হতে পারে তাই নিয়মিত বিশ্লেষণ করুন কোন কিওয়ার্ড বেশি কার্যকর হচ্ছে এবং সেগুলো গিগে যুক্ত করুন।
  • গিগের রেস্পন্স টাইম মনিটরঃ আপনার রেসপন্স টাইম ভালো রাখার জন্য ক্লায়েন্টদের বার্তায় দ্রুত সারা দিন। রেসপন্স টাইম ভালো হলে আপনার গিগে ফাস্ট রেসপন্স ব্যাজ দেখা যাবে যাক লাইন দের আকৃষ্ট করে।
  • নতুন সেবা যোগ করুনঃ আপনার দক্ষতা বা সেবার ক্ষেত্রে যদি সম্প্রসারিত হয় তবে তা গিগের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। যেমন আপনি যদি শুধুমাত্র লোগো ডিজাইন করতেন এবং এখন মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন লিখেছেন তবে নতুন প্যাকেজ তৈরি করে গিগ আপডেট দিন।
  • ক্লাইন্টদের ফিডব্যাক গ্রহণঃ ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে নিয়মিত ফিডব্যাক নিন এবং সে অনুযায়ী গিগে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে। ফিডব্যাক আপনাকে গিগের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে এবং ভবিষ্যতে উন্নতি করার একটি সুযোগ দান করবেন।
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণার আপডেটঃ আপনার গিগের লিংক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করুন এবং সেখানে নিয়মিত পোস্ট আপডেট করুন। নতুন কোন গিগ বা অফার থাকলে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করুন।

পরিশেষে বলা যায় যে নিয়মিত আপডেট রাখা মানে কেবল গিগের তথ্য পরিবর্তন করা হয় বরং সময়ের সাথে সাথে নিজের দক্ষতা, কাস্টমার সাপোর্ট এবং সার্ভিসকে উন্নত করা। যার ফলে এটি আপনার দিকের র‌্যাংক এবং কাস্টমার সন্তুষ্টি দুটোকে বেড়াতে সাহায্য করবে।

 SEO-সমৃদ্ধ গিগ তৈরি করুন

SEO-সমৃদ্ধ গিগ তৈরি করুন কারণ ফাইভারে SEO সমৃদ্ধ গিগ তৈরি করার জন্য বিস্তারিত এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি একটি কার্যকরী গীগ তৈরি করেন তাহলে আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ থেকে শুরু করে গিগের প্রতিটি অংশে SEO কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। এটি গীগকে ফাইবারের চার্চ রেংকিং এর উপরের দিকে নিয়ে আসতে এবং ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সাহায্য করে।

ফাইভার-গিগ-প্রমোট-করার-সেরা-২০টি-টিপস
প্রথমেই সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সেবার জন্য ক্রেতারা কি ধরনের শব্দ বাকাংশ ব্যবহার করে তা বোঝার জন্য Google Keyword Planner, Ubersuggest বা Ahrefs- এর মত টুল ব্যবহার করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি "Logo Design", Business Logo Design," বা 'Creative Logo Design" গিগে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ফাইভারের সার্চবারেও অনুসন্ধান করে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড খুঁজে বের করা সম্ভব।

আপনার গিগের শিরোনাম হতে হবে সংক্ষিপ্ত এবং অবশ্যই প্রাসঙ্গিক। উদাহরণস্বরূপ " I Will creat a professional and minimalist logo design for your business" শিরোনামটি নেতাদের কাছে পরিষ্কার ধারণা দেয় এবং প্রাসঙ্গিক কিভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে সার্চ ফলাফলে ভালো স্থলেতে সাহায্য করে। শিরোনামে অবশ্যই প্রধান কেওয়ারটি যুক্ত করতে হবে।

এরপর গিগের বিবরণ লিখতে হবে পেশাদার এবং SEO ফ্রেন্ডলি ভাষায়। শুরুতেই আপনার সেবার সারাংশ তুলে ধরতে হবে এবং কিওয়ার্ড এমন ভাবে ব্যবহার করতে হলে যেন প্রাকৃতিকভাবেই মিশে যায়। বিবেণী আপনার সেবার বৈশিষ্ট্য এবং হৃদয় গুলো সুনির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হবে। আপনার কাজের পদ্ধতি এবং ক্রেতাদের কিভাবে সেবা প্রদান করবেন তা উল্লেখ করতে হবে।

SEO এর জন্য গিগ ইমেজ এবং ভিডিও অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। গিগ ইমেজের নাম এবং ফাইল মেটাডাটায় প্রধান কিওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করুন। উদাহরণস্বরূপ ইমেজের ফাইল নাম হতে পারে "Professional-logo-design.webp"। একইভাবে গিগ ভিডিওতেও আপনার সেবার একটি সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিন এবং kewad উল্লেখ করুন। 

গিগের ট্যাগ বাকি ওয়ার্ড অফ সানিয়া আপনার প্রধান এবং প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ডগুলো যুক্ত করুন। উদাহরনস্বরুপ "Logo Design", "Minimalist Logo," Business Logo" এবং Custom Logo Design" ট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ফাইবারের অ্যালগরিদম এর আপনার গিগকে সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শনের সম্ভাবনা বাড়ায়।

অতিরিক্ত সেবা গুলোর জন্য Gig Extras" অপশনে SEO কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ Extra Fast Delivery"' Source File' বা "Additional Revisions" যুক্ত করে আপনার গিগকে আরো আকর্ষণীয় এবং লাভজনক করতে পারেন।

সবশেষে গিগ প্রকাশের পর পারফরমেন্সের বিশ্লেষণ করতে ভুলবেন না। ফাইভারের অ্যানালিটিক্স টুল ব্যবহার করে দেখুন আপনার গেট কতবার দেখা হয়েছে এবং ক্লিক রেট কেমন। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে গিগের বিবরণ বা ট্যাগ আপডেট করুন এবং আরো ভালো কিওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করুন।

পরিশেষে বলা যায় যে এই কৌশল গুলো ব্যবহার করে ভাইবারে একটি SEO সমৃদ্ধ গিগ তৈরি করলে তা ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং সার্চ রেংকিং এর উন্নতি করবে। এর মাধ্যমে আপনার অর্ডার এবং আয়ের সম্ভাবনা অনেকগুণ বেড়ে যাবে এবং আপনার কর্মের পরিধি বেড়ে যাবে।

 গিগ প্রমোটের জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ অফার

গিগ প্রমোটের জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ অফার তৈরি করা একটি কৌশলগত পদ্ধতি যা ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী সেবা গ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয়। সঠিকভাবে প্যাকেজ তৈরি করলে তাকে তাদের বিভিন্ন বাজেট এবং প্রয়োজনীয় তাকে পূরণ করে। প্যাকেজ তৈরি করতে হলে সে বারিস তার এবং মূল্য নির্ধারণের মধ্যে সুষম ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। এখানে ফাইবারের জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ তৈরি করার বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলো।

 প্রথমেই আপনার সেবার ধরনের এবং ক্রেতাদের চাহিদা বিশ্লেষণ করতে হবে। প্রতিটি প্যাকেজ এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যেন ক্রেতারা সবাই বুঝতে পারেন যে কি কি সুবিধা তারা পাচ্ছেন। ফাইভারে তিনটি প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে যেমন Basic, Standard এবং premium। এই প্যাকেজগুলোর মধ্যে আপনি সেবার স্তর ভেদে আলাদা সুবিধা প্রদান করতে পারবেন।

Basic প্যাকেজঃ বেসিক প্যাকেজ হল সবচেয়ে সহজ এবং কম দামের সেবা। এটি মূলত নতুন ক্রেতাদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য তৈরি করা হয়। এখানে সীমিত সেবা অন্তর্ভুক্ত করে যা কম সময়ে ডেলিভারি করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে যদি আপনার সেবা হয় লোগো ডিজাইন তবে বেসিক প্যাকেজে একক লোগো ডিজাইন, একটি রিভিশন এবং JPG/PNG ফাইল ডেলিভারি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

Standard প্যাকেজঃ স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ হলো মাঝারি স্তরের সেবা যেখানে বেসিকদের তুলনায়কের বাড়তি সুবিধা প্রদান করা হয়। এটি ক্রেতাদের জন্য একটি মধ্যম মানের প্যাকেজ যারা একটু উন্নত মানের সেবা চায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে লোগো ডিজাইনের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজে দুটি লক্ষ্য কনসেপ্ট, তিনটি রিভিউশন এবং সোর্স ফাইল অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এই প্যাকেজের দাম ব্যাংকের চেয়ে বেশি হলেও ক্রেতারা এতে অতিরিক্ত মূল্য দেওয়ার যুক্তি কারণ খুঁজে পান।

premium প্যাকেজঃ প্রিমিয়াম প্যাকেজ হল সর্বোচ্চ স্থানের সেবা যেখানে সমস্ত প্রিমিয়াম বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। এটি তাদের জন্য যারা সবচেয়ে ভালো মানের সেরা এবং বিশেষ যত্ন চাই। উদাহরণস্বরূপ লোগো ডিজাইনের ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম প্যাকেজে তিনটি লোগো কনসেপ্ট, আনলিমিটেড রিভিশন এবং হাই রেজুলেশন ফাইল সহ সোর্স ফাইল অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এর পাশাপাশি দ্রুত ডেলিভারির সুবিধা এবং বিশেষ সাহায্য দেওয়া হতে পারে।

প্রতিটি প্যাকেজের ডেলিভারির সময় এবং সেবার স্তর ভেদে মূল্য নির্ধারণ করা হবে। উদাহরণস্বরূপ বেসিক প্যাকেজের জন্য ২-৩ দিন সময় লাগতে পারে যেখানে প্রেমিয়াম প্যাকেজের জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারি দেবার প্রতিশ্রুতি থাকে। এভাবে সময় এবং সুবিধার ভিত্তিতে প্রতিটি প্যাকেট ক্রেতার কাছে আলাদা আলাদা গুরুত্ব পায়।

এছাড়াও গিগ প্রমোট করার ক্ষেত্রে "Gig Extra" অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত কার্যকরী। এটি ক্রেতাদের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা প্রদানের সুযোগ তৈরি করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যেExtra Fast Delivery"' Source File' বা "Additional Revisions" এর মত এক্সট্রা বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এই এক্সট্রা গুলো প্রতিটি প্যাকেজ এর সাথে যুক্ত করলে ক্রেতারা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সেভাবে বেছে নিতে পারবেন।

প্রতিটি প্যাকেজ তৈরি করার সময় পরিষ্কার এবং প্রাসঙ্গিক ভাষা ব্যবহার করতে হবে যাতে ক্রেতারা সহজেই বুঝতে পারেন তারা কি কি পাচ্ছেন। প্রতিটি প্যাকেজ এর মধ্যে এমন পার্থক্য থাকা তাদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয় এর ফলে ক্রেতারা আপনার সেবা নিতে আগ্রহী হবে এবং আপনিও সেবা বিক্রি করতে পারবেন।

পরিশেষে বলা যায় যে ক্ষেত্রে অবশ্যই বাজার চাহিদা এবং আপনার দক্ষতা বিবেচনা রাখতে হবে। প্রতিযোগীদের প্যাকেজ বিশ্লেষণ করে আপনি একটি অনন্য এবং আকর্ষণীয় প্যাকেজ তৈরি করতে পারেন। এইভাবে সঠিক প্যাকেজ তৈরি করলে একটি গিগ প্রমোটে সাহায্য এবং আপনার ফাইভার ক্যারিয়ার সফল করে তুলবে।

মন্তব্যঃ ফাইভার গিগ প্রমোট করার ২০টি কার্যকরী টিপস

ফাইভার গিগ প্রমোট করার ২০টি কার্যকরী টিপস গুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে আপনি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এবং অর্ডার বাড়াতে সক্ষম হবেন। সফলতা পেতে ধৈর্য ও পরিশ্রমের পাশাপাশি বাজারে চাহিদা অনুযায়ী কৌশল পরিবর্তন করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতা করে নিজের সেবাকে ক্রেতার প্রয়োজন অনুযায়ী সাজাতে হবে এবং মানসম্পন্ন কাজ দিয়ে তাদের সন্তুষ্ট রাখতে হবে।

মনে রাখবেন ফাইভারে দীর্ঘমেয়াদী সফলতা অর্জন করার জন্য পেশাদারিত্ব এবং সময়মতো ডেলিভারি দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আশা করি আমার উপরের বর্ণিত টিপস গুলো আপনাকে গিগ প্রমোশন এবং ক্যারিয়ার উন্নতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য করবে। থামে নিয়ে এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে এবং আপনার সাফল্যের গল্প তৈরি করতে হবে। আশা রাখি আমাদের এই পোষ্টের বিস্তারিত বর্ণনা অনেক কাজে আসবে। ভালো থাকেন আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে বা ব্লগে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন ২৪ ব্লক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url