মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার কার্যকরী নিয়ম সম্পর্কে জানুন

মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইছেন? তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। খুব সহজেই মাত্র কয়েকটি ধাপেই নিজেই তৈরি করতে পারবেন আপনার মোবাইল ফাইন্যান্সিং সেবা। বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য কি কি লাগবে, কোন পদ্ধতিতে খুলতে হবে আজকে সবকিছুই জানবো আমরা।

মোবাইলে-বিকাশ-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম

মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য সহজ নির্দেশনা অনুসরণ করে, এখনই শুরু করুন অ্যাকাউন্ট খোলার বিভিন্ন ধাপ আর উপভোগ করুন টাকা লেনদেন, বিল পেমেন্ট সহ আরও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। দ্রুত এবং নিরাপদ পদ্ধতিতে একাউন্ট তৈরি করার জন্য বিস্তারিত তথ্য চলুন আজকের ব্লগে দেখে নেয়া যাক।

পোস্ট সূচীপত্রঃ মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

 মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম খুবই সিম্পল এবং সহজ। বাংলাদেশে বিভিন্ন সেবা দানকারী ফাইনান্সিং প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে বিকাশ একটি অন্যতম। বর্তমান সময়ে বিকাশ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। তাছাড়া বিকাশ অনেক বিশ্বস্ততার সাথে নিরাপদে আপনার অর্থ আপনার কাছে তুলে দেয়। আপনি আপনার প্রিয়জনের কাছে বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে খুব দ্রুতই অর্থ পৌঁছে দিতে পারবেন। বিকাশ একাউন্ট খোলার বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে বর্ণনা করা হলো-

বিকাশ একাউন্ট খোলার ধরনঃ বিকাশ অ্যাকাউন্ট সাধারণত তিন ধরনের খোলা যায়। তিন ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খুলে অর্থের লেনদেন করা যায়। গ্রাহকের প্রয়োজন হলে তিন ধরনের বিকাশ একাউন্ট এর মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা মেটাতে পারে।

পার্সোনাল অ্যাকাউন্টঃ এটি সাধারণত ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এই একাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠানো, মোবাইল রিচার্জ, বিল পেমেন্ট, সঞ্চয়, ঋণ পরিশোধ এবং যেকোনো ধরনের কেনাকাটার কার্যক্রমে সাহায্য করে। এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয় পত্র এবং এক মোবাইল নম্বরের প্রয়োজন হয়।

বিজনেস একাউন্টঃ বিজনেস একাউন্ট সাধারণত ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হয়। ব্যবসায়ীরা পণ্য বা সেবার মূল্য গ্রহণ, বেতন প্রদান এবং সরবরাহকারীদের টাকা পরিশোধ করতে এই একাউন্টটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

ডিস্ট্রিবিউটর বা এজেন্ট একাউন্টঃ সাধারণ এজেন্ট একাউন্ট বিকাশ সেবা প্রদান করে এবং গ্রাহকদের লেনদেন পরিচালনা করতে এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে বিকাশের সাথে একটি চুক্তি বা নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়।

মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়মঃ

আপনার মোবাইল ফোন প্রস্তুত করুনঃ মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার মোবাইলে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স রয়েছে কিনা। বিকাশ সেবার জন্য রবি, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক বা টেলিটকের সংযোগ ব্যবহার করতে হবে।

বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করুনঃ google play store বা Apple App Store থেকে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। অ্যাপ ছাড়াও আপনি *২৪৭# তে ডায়াল করে প্রক্রিয়াটি শুরু করতে পারেন।

  • বিকাশ মেনুতে প্রবেশ করুনঃ 
  • প্রথমে ডায়াল করুন *২৪৭#। 
  • তারপর মেনু থেকে রেজিস্ট্রেশন অপশনটি নির্বাচন করতে হবে।

ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করুনঃ সেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে যেমন-

  • জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে
  • পরবর্তী ধাপে আপনার নাম এবং ঠিকানা সঠিকভাবে দিতে হবে
  • পিন সেট করুনঃ এরপর আপনাকে পিন সেট করার জন্য
  • একটি পাঁচ ডিজিটের নিরাপদ পিন কোড সেট করতে হবে
  • পিন কোডটি গোপন রাখতে হবে এটি কারো সাথে শেয়ার করা যাবে না

ওটিপি যাচাই করুনঃ

  • আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি ওটিপি নম্বর পাঠান হবে যা অন টাইম পাসওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত
  • ওটিপি টি লিখে নিশ্চিত করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে।

অ্যাকাউন্ট এক্টিভেট করুনঃ 

  • একাউন্ট খোলার পর আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে লেনদেন শুরু করতে পারবেন
  • এটি খুবই সহজ এবং নিরাপদ পদ্ধতি যা আপনাকে দ্রুত মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিতে প্রস্তুত।

বিকাশ ব্যবহারের সুবিধাঃ

  • যেকোনো সময় দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে টাকা পাঠানো বা গ্রহণ করা সহজ এবং দ্রুত হয়
  • সরাসরি বিকাশ অ্যাপ বা *২৪৭# ব্যবহার করে মোবাইল রিচার্জ করা সুবিধা হয়
  • যেকোনো ধরনের যেমন বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সহ বিভিন্ন ধরনের বিল সহজেই পরিশোধ করা যায়
  • বিকাশ পেমেন্ট গেটও এর মাধ্যমে ই-কমার্স সাইটে সহজেই কেনাকাটা করা যায়
  • ”বিকাশ সঞ্চয়” ফিচারটি ব্যবহার করে সুজয় করতে পারবেন এবং সুদ উপভোগ করতে পারবেন
  • নিকটস্থ এজেন্ট পয়েন্ট বা এটিএম থেকে সহজেই টাকা তোলা সম্ভব হয়
  • বিকাশ অ্যাপ টি ব্যবহারকারী বান্ধব অ্যাপ হিসেবে সহজ-সুবিধা জনক. যেখানে সব ফিচার একসঙ্গে পাওয়া যায়
  • আন্তর্জাতিক রেমিড্যান্স অর্থাৎ প্রবাসীদের পাঠানো টাকা সরাসরি বিকাশ একাউন্টে গ্রহণ করা যায়
  • অফার ও ক্যাশব্যাক অর্থাৎ বিকাশ ব্যবহার করলে বিভিন্ন পেমেন্টে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক এর সুবিধা পাওয়া যায়
  • ব্যক্তিগত পিন নাম্বারের মাধ্যমে নিরাপদ লেনদেন করা সম্ভব হয়।

বিকাশ ব্যবহারের টিপসঃ

  • আপনি আপনার তিন নম্বর কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না। পিন মনে রাখার মত সহজ কিন্তু জটিল রাখুন
  • লেনদেনের তথ্য চেক করতে টাকা পাঠানোর আগে মোবাইল নম্বর এবং এমাউন্ট সঠিকভাবে যাচাই করুন
  • বিকাশ অ্যাপের বিভিন্ন অফার যেমন ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট এবং পেমেন্ট অফার গুলো নিয়মিত চেক করুন
  • বিকাশ সর্বশেষ আপডেট ভার্সনে রাখুন এবং নতুন ফিচার পাবার জন্য অবশ্যই হালনাগাদ করুন
  • অ্যাপের নিরাপত্তা আরো বাড়ানোর জন্য স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর জন্য টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করতে হবে
  • যেকোনো সমস্যার জন্য লেনদেনের রিসিভ কপি সংরক্ষণ রাখতে হবে, যাতে প্রয়োজনে দেখাতে পারেন
  • বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার জন্য নিকটস্থ বিকাশ সেন্টারে যোগাযোগ রাখুন
  • গ্রাহক সেবায় যেকোনো সন্দেহজনক কার্যক্রম দেখলে ১৬২৪৭ নম্বরে কল করুন।
  • ক্যাশ আউট চার্জ কমানোর উপায় হিসেবে ক্যাশ আউট এর পরিবর্তে বিকাশ পেমেন্ট সেবা ব্যবহার করুন
  • ফোনে প্রলোভনমূলক অফার বা লটারি জেতার কথা বলে কেউ টাকা চাইলে প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকুন।

পরিশেষে বলা যায় যে, মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলা খুবই সহজ। এটি সাধারনভাবে বা এপস এর মাধ্যমে খোলা যায়। উপরের বর্ণিত ধাপ গুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন।

 বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪

বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ যা এখন আরও সহজ এবং সুবিধাজনক। সাধারণভাবে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে কথা বলতে গেলে প্রথমে আমাদের বিকাশের কথা মনে পড়ে। বিকাশ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের টাকা খুব সহজেই আনা নেওয়া সার্ভিস দিয়ে থাকে। সবার মুখে মুখে থাকা এর বিকাশ বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমান সময়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা খুবই সহজ যার নিম্নে এর ধাপগুলো বর্ণনা করা হলো।

বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টলেশনঃ

  • প্রথমে আপনার স্মার্ট ফোন থেকে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপেল অ্যাপ স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
  • ডাউনলোড সম্পন্ন হলে এবার অ্যাপটি ইন্সটল করতে হবে

একাউন্ট রেজিস্ট্রেশনঃ

  • ইন্সটলেশন সম্পন্ন হলে বিকাশ অ্যাপটি চালু করতে হবে
  • লগ ইন/রেজিস্ট্রেশন বাটনে ট্যাপ করে আপনার মোবাইল নাম্বারটি প্রবেশ করাতে হবে এবং পরবর্তী ধাপে যেতে হবে
  • আপনার মোবাইল নম্বরের সঠিক অপারেটর নির্বাচন করতে হবে

পরিচয় যাচাইঃ

  • আপনার NID কার্ডের সামনের এবং পিছনের অংশের স্পষ্ট ছবি তুলতে হবে এবং অ্যাপ এ আপলোড করতে হবে
  • আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে যেমন আপনার নাম, জন্মতারিখ, ঠিকানা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে
  • অ্যাপের নির্দেশনা অনুযায়ী আপনার মুখের ছবি তুলতে হবে যা আপনার পরিচয় কে নিশ্চিত করবে

পিন সেট আপঃ

  • আপনার বিকাশ একাউন্টের নিরাপত্তার জন্য ৫ ডিজিটের একটি গোপন পিন নম্বর সেট করতে হবে
  • নির্ধারিত পিন টি পুনরায় প্রবেশ করে নিশ্চিত করতে হবে 

একাউন্ট সক্রিয়করণঃ

  • আপনার প্রদত্ত তথ্য যাচাইয়ের পর বিকাশ থেকে একটি নিশ্চিতকরণ বার্তা পাবেন
  • নিশ্চিতকরণ বাদশা পাওয়ার পর বিকাশ অ্যাপ এ লগইন করে সেবা ব্যবহার শুরু করতে পারবেন

 আরও পড়ুনঃ কিভাবে ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট ডিলিট করা যায় 

গুরুত্বপূর্ণ টিপসঃ

  • আপনার পিন নম্বর সর্বদা গোপন রাখবেন এবং কারো সাথে শেয়ার করা যাবে না
  • যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে এবং আপনার বয়স যদি ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে হয় তাহলে জন্ম সনদের মাধ্যমে বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার পিতা বা মাথার বিকাশ একাউন্ট নাম্বার প্রয়োজন হবে
  • বিকাশ অ্যাপ এর সর্বশেষ ক্ষণ সংস্করণ ব্যবহার করুন যাতে সর্বোত্তম সেবা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়

ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলাঃ এর মাধ্যমে বিকাশে একাউন্ট খোলা খুবই সহজ এবং নিরাপদ। ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়ায় আপনার পরিচয় যাচাই করা হয় সাধারণত ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এর বিভিন্ন ধাপ নিচে ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম দেয়া হলো-

  • আপনার স্মার্টফোনে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপেল অ্যাপ স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
  • অ্যাপ ইন্সটল করার পর চালু করুন
  • অ্যাপ চালু করার পর "Sign Up" বা নতুন অ্যাকাউন্ট খুলুন অপশনে ট্যাপ করুন
  • অ্যাপ চালু করে মোবাইল নম্বরটি প্রবেশ করেন
  • ই-কেওয়াইসির ফর্ম পূরণ করার জন্য আপনার নাম, জন্মতারিখ এবং ঠিকানা সঠিকভাবে লিখুন
  • NID কার্ডের সামনে এবং পিছনের ছবি তুলুন ও আপলোড করুন
  • অ্যাপ এর নির্দেশনা অনুযায়ী আপনার একটি সেলফি তুলুন। এটি পরিচয় যাচাইয়ের জন্য ব্যবহৃত হবে।
  • পাঁচ ডিজিটের একটি নিরাপদ পিন নম্বর ব্যবহার করুন
  • পেন নিশ্চিত করার জন্য আবারো পুনরায় ব্যবহার করুন
  • একাউন্টে আপনার প্রদত্ত তথ্য যাচাই করা হবে
  • যাচাই সম্পন্ন হলে বিকাশ থেকে একটি নিশ্চিতকরণ বার্তা অর্থাৎ ওটিপি নাম্বার পাবেন
  • এই ওটিপি নাম্বার পাওয়ার পর অ্যাপি লগইন করুন
  • এখন আপনি বিকাশের সব সেবা উপভোগ করতে পারবেন।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

  • NID ছাড়া অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না
  • সঠিক তথ্য এবং বাস্তব তথ্য প্রদান নিশ্চিত করুন
  • পিন নাম্বার গোপন রাখুন এবং নিরাপদ লেনদেনের জন্য অন্য কাউকে জানাবেন না

পরীশেষে বলা যায় যে, ২০২৪ সালে মোবাইল দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা খুবই সহজ এবং দ্রুততম। বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে একাউন্ট খোলার সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করলাম। উপরের বর্ণিত তথ্য আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য অনেক সাহায্য করবে।

অ্যাপ ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

অ্যাপ ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আগে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। আপনাদের অনেকেরই ধারণা যে মোবাইল অ্যাপস ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খোলা যায় না কিন্তু আসলেই তথ্যটি সম্পূর্ণটাই ভুল। অ্যাপ ছাড়াও বিকাশে একাউন্ট খোলা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণ করা যায়। অ্যাপ ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খোলার প্রতিটি ধাপ নিম্নে দেয়া হলো-

বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য যা লাগবেঃ বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য নিকটস্থ বিকাশ এজেন্টে বা সেবা কেন্দ্রে গিয়ে নিচের তথ্যগুলো দিবেন- 

  • জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ NID এর আসল কপি এবং একটি ফটোকপি লাগবে
  • যদি এনআইডি না থাকে, তবে জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করা যেতে পারে প্রয়োজন খাতিরে
  • আপনার একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর যেটি বিকাশ একাউন্টে সংযুক্ত হবে
  • পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি্ অনেক ক্ষেত্রে এজেন্ট সরাসরি ছবি তুলতে পারে
  • বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হবে
  • প্রয়োজনে আপনার নমিনির নাম, সম্পর্ক এবং পরিচয় পত্রের তথ্য

অ্যাপ ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়মঃ অ্যাপ ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট বা সেবা কেন্দ্র ব্যবহার করতে হবে। নিচে এর বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হল-

নিকটস্থ বিকাশ এজেন্ট খুঁজুনঃ

  • আপনার এলাকায় অবস্থিত নিকটতম কোন বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে যান
  • চিনতে দোকানের সামনে থাকা বিকাশের লোগো বা বোর্ড দেখে নিশ্চিত হন

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত করুনঃ

  • জাতীয় পরিচয় পত্র NID এর আসল কপি এবং একটি ফটোকপি দিতে হবে
  • আপনার একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর দিতে হবে যেটিতে আপনি বিকাশ একাউন্ট খুলবেন
  • পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি লাগতে পারে আবার প্রয়োজনে এজেন্ট সরাসরি ছবি তুলেও নিতে পারে

এজেন্ট পয়েন্টে তথ্য প্রদান করুনঃ

  • এজেন্টের কাছে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বলতে হবে
  • আপনার মোবাইল নম্বর, NID- এর তথ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য করতে হবে
  • বিকাশ এজেন্ট একটি ফরম পূরণ করবে যা KYC ফর্ম নামে পরিচিত
  • ফর্মে আপনার স্বাক্ষর দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যা দিতে হবে

বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনঃ আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হতে পারে। এটি আপনার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহার করা হবে।

পিন নম্বর সেট করুনঃ

  • অ্যাকাউন্ট খোলার পর এজেন্ট আপনাকে একটি পিন সেট করতে বলবে
  • নিজের পছন্দের পাঁচ ডিজিটের গোপন পিন নাম্বার নির্ধারণ করতে হবে এবং তা অবশ্যই কাউকে বলা যাবে না

একাউন্ট সক্রিয়করনঃ

  • সব তথ্য জমা দেওয়ার পর আপনার বিকাশ একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে
  • থেকে একটি নিশ্চিত করণ বা ওটিপি এসএমএস পাবেন
  • এই এসএমএস ব্যবহার করে একাউন্ট সক্রিয় করতে হবে।

লেনদেন শুরু করুনঃ অ্যাকাউন্ট সক্রিয় হওয়ার পর আপনি টাকা পাঠানো, ক্যাথ আউট, মোবাইল রিচার্জ এবং অন্যান্য বিকাশ সেবা ব্যবহার করতে পারবেন।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপসঃ

  • অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য অবশ্যই সব তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে
  • আপনার পিন নম্বর কখনোই অন্য কাউকে বানানো যাবে না
  • অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কোন অতিরিক্ত ফি দিতে হয় না
  • প্রয়োজনে বিকাশের হেল্পলাইন ১৬২৪৭ এ কল করে সাহায্য নিতে হবে

পরিশেষে বলা যায় যে, অ্যাপ ছাড়াও মোবাইলের বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়। ওপরের বর্ণিত প্রত্যেকটি ধাপ অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজেই একটি বিকাশ একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন। অ্যাপ ছাড়া একাউন্ট খুলতে আপনাকে এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে খুলতে হবে।

 বাটন মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

বাটন মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমরা জানবো। মোবাইল ব্যবহারকারীরা মনে করেন বাটন মোবাইল দিয়ে বিকাশে একাউন্ট খোলা যাবে না। তবে এই তথ্যটি ভুল কারণ বাটন মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাইলে নিকটস্থ বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে গিয়ে একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। বাটন মোবাইল এর মাধ্যমে একাউন্ট খোলার প্রতিটি ধাপ নিচে বর্ণনা করা হলো-

মোবাইলে-বিকাশ-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম
  • আপনার নিকটবর্তী বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে যেতে হবে
  • বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টের দোকান চেনার জন্য বিকাশের লোগো বা সাইনবোর্ড দেখতে হবে
  • জাতীয় পরিচয় পত্র এর আসল কপি এবং একটি ফটোকপি দিতে হবে
  • আপনাকে এটি মোবাইল ফোন দিতে হবে যে নাম্বার দিয়ে বিকাশ খুলবেন
  • পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি লাগবে। প্রয়োজন বোধে এজেন্ট আপনার ছবি সরাসরি তুলতেও পারে
  • বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য আপনার মোবাইল নম্বর এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য এজেন্ট কে দিতে হবে
  • একটি KYC ফর্ম পূরণ কোটা হবে যেখানে আপনার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য থাকবে 
  • বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন এর জন্য এজেন্ট পয়েন্টে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে
  • এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপনার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন
  • একাউন্ট খোলা পর এজেন্ট আপনাকে একটি পিন নাম্বার সেট করতে বলবে
  • আপনি পছন্দমত পাঁচ ডিজিটের একটি নিরাপদ পিন নির্ধারণ করবেন এবং গোপন রাখতে হবে
  • আপনার তথ্য যাচাই পথ বিকাশ থেকে একটি নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠানো হবে
  • নিশ্চিতকরণ বার্তা পেলে বুঝবেন আপনার বিকাশ একাউন্ট সফলভাবে খোলা হয়েছে
  • বাটন মোবাইলে বিকাশ ব্যবহার করতে *২৪৭# ডায়াল করতে হবে
  • মেনু থেকে বিকাশের বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করতে পারবেন যেমন টাকা পাঠানো, ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ, বিল পেমেন্ট

 আরও পড়ুনঃ ফাইভারে কাজ পাওয়ার সেরা ৫ টি উপায়

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

  • বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য অতিরিক্ত কোন ফি দিতে হয় না
  • তিন নম্বর কখনো কারো সাথে শেয়ার করতে পারবেন না
  • ফরম পূরণের সময় সঠিক ও বৈধ তথ্য দিবেন যাতে সমস্যা না হয়

পরিশেষে বলা যায় যে বাটন মোবাইল এর মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ এবং সুবিধাজনক। বিকাশের এজেন্ট পয়েন্টের সহায়তায় আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে দ্রুত একাউন্টটি খুলতে পারবেন। *২৪৭# ডায়াল করে নতুন মোবাইল থেকে সব ধরনের বিকাশ সেবা উপভোগ করা যায়।

 অনলাইনে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

অনলাইনে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম অ্যাপের মাধ্যমে খুবই সহজ এবং দ্রুত হয়। বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে একটি যুগান্তকারী সেবা। দিন দিন বিকাশের গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। নগদ অর্থ লেনদেনের পরিবর্তে বিকাশের মাধ্যমে লেনদেনকে সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদ মনে করছে। অনলাইন বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলার সুবিধা আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহারের আরো সহজতার হয়েছে। এর মাধ্যমে একাউন্ট খোলার প্রতিটি ধাপে দেয়া হলো-

বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড ইন্সটল করুনঃ

  • অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা গুগল প্লে স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করুন
  • আইওএস ব্যবহারকারীরা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করুন
  • অ্যাপ চালু করে রেজিস্ট্রেশন শুরু করুনঃ
  • এপ ইন্সটল করার পর চালু করুন
  • লগইন/ রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করুন
  • আপনার মোবাইল নম্বর এবং মোবাইল অপারেটর নির্বাচন করুন
  • আপনার মোবাইল নম্বরে প্রেরিত ভেরিফিকেশন কোডটি অ্যাপ এ প্রবেশ করুন

শর্তাবলী গ্রহণ করুনঃ

  • বিকাশের যতগুলো শর্তাবলী আছে সবগুলো পড়ে নিন এবং পড়া শেষে সম্মতি দিন

ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই করুনঃ

  • অ্যাপ এ প্রদর্শিত আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই করুন কোন ভুল আছে কিনা এবং নিশ্চিত করুন

সেলফি তুলনঃ

  • অ্যাপের নির্দেশিকা অনুযায়ী আপনার একটি সেলফি তোলা হবে

তথ্য জমা দিনঃ

  • সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ ও যাচাই করার পর সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুনঃ

  • আপনার তথ্য যাচাই করতে বিকাশের ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সাধারণত সময় লাগতে পারে
  • যাচাই সম্পন্ন হলে আপনার মোবাইল নম্বরে নিশ্চিতকরণের একটি এসএমএস পাবেন

পিন সেট করুনঃ

  • নিশ্চিতকরণের এসএমএস পাওয়ার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাপ এ গিয়ে পিন সেট করুন অপশনে ক্লিক করুন
  • পাত সংখ্যার একটি নিরাপদ পিন নির্ধারণ করেন এবং নিশ্চিত করেন

ব্যবহার শুরু করুনঃ 

  • পিন সেট করার পর অ্যাপে লগইন করুন
  • এখন আপনি বিকাশের সকল সেবা উপভোগ করতে পারবেন

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

  • আপনার পিন নম্বরটি সব সময় গোপন রাখুন
  • সঠিক অবৈধ আপনার তথ্য প্রদান নিশ্চিত করুন
  • বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য কোন ফি নেই

পরিশেষে বলা যায় যে অনলাইনে বিকাশ একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া খুবই সহজ নিরাপদ এবং সময় সাশ্রয়ী, যা প্রতিটি গ্রাহকের আর্থিক লেনদেনের অভিজ্ঞতা কে সহজ করে দে। অনলাইন একাউন্ট খোলার সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় ও যে কোন স্থান থেকে বিকাশ সেবা আওতায় আসতে পারেন। বিকাশ কেবল একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নয় বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

 বিকাশে অ্যাকাউন্ট খুলতে কি কি লাগে

বিকাশে একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে আর আমরা তা জানব। বিকাশ একাউন্ট খোলা বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা সহজ ও নিরাপদ আর্থিক লেনদেন সুবিধা নিশ্চিত করে। ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে টাকা পাঠানো, ক্যাশ আউট করা, মোবাইল রিচার্জ করা, বিল পরিশোধসহ নানাসসেবা পেতে বিকাশ একাউন্ট একটি অন্যতম প্রয়োজনীয় মাধ্যম। একটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এবং তথ্য সরবরাহ করতে হয়। এর বিবরণ নিচে দেয়া হলো-

বিকাশে পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য যা যা প্রয়োজনঃ

  • জাতীয় পরিচয় পত্রের আসল কপি ও ফটোকপি উভয় পাশের ছবি প্রয়োজন
  • যদি জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে, তবে ১৮ বছরের নিচের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করতে হবে
  • যেকোনো মোবাইল অপারেটরের একটি সক্রিয় নম্বরের প্রয়োজন
  • মোবাইল নম্বরটি অবশ্যই গ্রাহকের নিজের নামে রেজিস্টার্ড হতে হবে
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি যা একাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের জন্য জমা দিতে হবে
  • বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মাধ্যমে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়। এটি নিকটস্থ বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে করতে হয়।
  • KYC ফরম পূরণের জন্য আপনার নাম, ঠিকানা, পেশা, পরিচিতি তথ্য এবং নমনী সম্পর্কিত তথ্য সহ ফর্ম টি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে
  • বিকাশ একাউন্ট খোলার সময় একটি ৫ ডিজিটের নিরাপদ পিন নম্বর ব্যবহার করতে হবে

অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতিঃ

  • নিকটস্থ কোনো বিকাশ এজেন্ট বা সেবা কেন্দ্রে যেতে হবে
  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও নির্ভুল তথ্য জমা দিতে হবে
  • ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে
  • অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করার জন্য আপনার মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে নিশ্চিত করনের বার্তা আসবে

বিকাশ বিজনেস অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য যা যা প্রয়োজনঃ বিকাশে বিজনেস অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এবং প্রক্রিয়া রয়েছে। এটি ব্যবসায়ীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যাদের ব্যবসায়ীক লেনদেন পরিচালনা করতে হয়। এর বিস্তারিত বর্ণনা নিচে দেয়া হল-

  • ব্যবসার নিবন্ধন সনদ অর্থাৎ আপনার ব্যবসার নিবন্ধনের প্রমাণপত্র যেমন ট্রেড লাইসেন্স বা অন্যান্য কোন আইনি ডকুমেন্ট
  • ট্যাক্স পরিশোধের জন্য নিবন্ধন করা ব্যবসায়ীর টিন নম্বর
  • আপনার ব্যবসা কোন ধরনের তার নির্ধারণ করতে কিছু বিশেষ তথ্যের প্রয়োজন যেমন একক মালিকানাধীন, পার্টনারশিপ, প্রাইভেট কোম্পানি ইত্যাদি
  • স্যার মালিকের জাতীয় পরিচয় পত্র এর আসল কপি ও ফটোকপির দুই দিকের ছবি প্রয়োজন
  • আপনার ব্যবসার জন্য একটি সক্রিয় ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে এবং সেই ব্যাংক একাউন্টের তথ্য বিকাশের সাথে সংযুক্ত করতে হবে
  • ব্যাংক একাউন্ট নম্বর যেখানে পেমেন্ট এবং লেনদেন হবে
  • একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর যা আপনার বিজনেস একাউন্টের সাথে সংযুক্ত থাকবে
  • ব্যবসার মালিক বা কর্তৃপক্ষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করতে হবে যা বিকাশ সেবা কেন্দ্রে সম্পন্ন হয়
  • ব্যবসায়িক অবস্থান, পরিচালনা সময়, কর্মী সংখ্যা এবং অন্যান্য সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করতে হবে

 আরও পড়ুনঃ কিভাবে ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বন্ধ করবেন 

অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়াঃ

  • বিকাশের টিকটস্থ এজেন্ট পয়েন্টে যেতে হবে অথবা বিকাশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে
  • প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট এবং নির্ভুল তথ্য প্রদান করতে হবে
  • বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ করতে হবে
  • আপনার অ্যাকাউন্ট যাচাই হওয়ার পর বিকাশ আপনাকে একাউন্ট চালু করার জন্য নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠাবে।

বিকাশে এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য যা যা প্রয়োজনঃ বিকাশে এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এজেন্ট হিসাবে বিকাশের সেবা প্রদান করার জন্য আপনাকে সঠিক ডকুমেন্ট এবং নির্ভুল তত জমা দিতে হবে। নিচে এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য যা যা লাগবে তার প্রয়োজনীয় তথ্য বিস্তারিত দেয়া হলো-

  • জাতীয় পরিচয় পত্রের আসল কপি ও ফটোকপির দুই দিকেরই ছবি এজেন্ট হিসেবে আপনাকে জমা দিতে হবে
  • যদি জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তবে অন্য কোন আইডি প্রমাণ যেমন পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করা যেতে পারে
  • আপনার ব্যবসা যদি একক মালিকানাধীন থাকে তবে ট্রেড লাইসেন্স বা ব্যবসার নিবন্ধন সনদ প্রদান করতে হবে
  • ব্যবসায়ীর জন্য ট্যাক্স নিবন্ধন প্রমাণ হিসাবে টিন নম্বর লাগতে পারে
  • আপনার ব্যবসার জন্য একটি সঠিক সক্রিয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে
  • পেমেন্ট ও লেনদেন করার জন্য আপনার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বারের প্রয়োজন হবে
  • একটি মোবাইল নম্বর যা বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন এবং সেবা পরিচালনার জন্য ব্যবহার করতে হবে
  • ঠিক আপনার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করতে হবে যা বিকাশে বা কেন্দ্রে গিয়ে করতে হবে
  • ব্যবসার স্থান এবং কার্যক্রমের সঠিক তথ্য প্রদান করা হবে যেমন দোকানে ঠিকানা, কার্যক্রমের সময় এবং অন্যান্য বিবরণ
  • যদি আপনার ব্যবসায় অন্য কোন ব্যক্তি বা অংশীদার থাকে তবে তাদের তথ্য এবং পরিচয় প্রমাণ জমা দিতে হবে
  • একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া, প্রথমে বিকাশের নিকটস্থ কোন এজেন্ট পয়েন্টে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং ফরম পূরণ করতে হবে
  • জাতীয় পরিচয় পত্র, ব্যবসার নিবন্ধন সনদ, ব্যাংক একাউন্ট তথ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে
  • বিকাশের এজেন্ট পয়েন্টে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করতে হবে
  • বিকাশের পক্ষ থেকে আপনার তথ্য যাচাই করা হবে। যাচাই শেষে আপনি একাউন্ট চালু করার জন্য নিশ্চিত করুন বার্তা পাবেন।

পরিশেষে বলা যায় যে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলা একটি সহজ এবং সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া যা আপনাকে বিকাশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যবসায়িক সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করবে। তবে অবশ্যই বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য যা যা প্রয়োজনীয় তথ্য লাগবে সবই আপনাকে বহন করতে হবে। সঠিক ডকুমেন্ট ও তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আপনি সহজেই একটি অ্যাকাউন্ট খুলে আই বৃদ্ধি এবং গ্রাহকে বিভিন্ন আর্থিক সেবা দিতে পারবেন।

 জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম খুবই সহজ এবং দ্রুত। জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য নির্ধারিত কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়। সাধারণত ১৮ বছরের কম বয়সী যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র নেই তারা জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারে। নিচে এর প্রতিটি ধাপ বর্ণনা করা হলো-

বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য যা যা প্রয়োজনঃ

  • জন্ম নিবন্ধনের আসল সনদপত্রের একটি কপি
  • সনদটি অবশ্যই ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর সহ ডিজিটাল বৈধ হতে হবে
  • একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর প্রয়োজন যা বিকাশ একাউন্টে ব্যবহার করতে হবে
  • নম্বরটি অবশ্যই গ্রাহকের নিজের নামে নিবন্ধিত হতে হবে
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে
  • বয়স যেহেতু ১৮ বছরের নিচে তাই অভিভাবকের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং তাদের মোবাইল নম্বরের তথ্য জমা দিতে হবে
  • ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা বায়োমেট্রিক যাচাই বিকাশ এজেন্ট বা সেবা কেন্দ্রে গিয়ে সম্পন্ন করতে হবে 

অ্যাকাউন্ট খোলার ধাপঃ

  • বিকাশের যে কোন অনুমোদিত বিকাশ এজেন্ট বাসে বা কেন্দ্রের পয়েন্টে যোগাযোগ করতে হবে
  • জন্ম নিবন্ধন সনদ, মোবাইল নম্বর, ছবি এবং অভিভাবকের তথ্য জমা দিতে হবে
  • KYC ফর্ম পূরণ করার জন্য সঠিক নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নির্ভুল তথ্য ফর্মে প্রদান করতে হবে
  • বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে
  • একাউন্টের সুরক্ষার জন্য পাঁচ সংখ্যার একটি পিন কোড সেট করতে হবে
  • সব তথ্য জমা দেওয়ার পরে বিকাশ থেকে নিশ্চিতকরণের এসএমএস পাবেন যা আপনার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় হওয়ায় নির্দেশ দিবে

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

  • সঠিক এবং বৈধ জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে
  • পিন নম্বর গোপন রাখতে হবে এবং কারো সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না
  • অভিভাবকদের অনুমোদন যদি প্রযোজ্য হয় সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে

পরিশেষে বেলা যায় যে, জন্ম নিবন্ধন দিয়েও বিকাশে একাউন্ট খোলা যায়। অনেক সময় স্কুলের বা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বিকাশ একাউন্ট খুলতে হয়। বিভিন্ন প্রয়োজনে জন্ম নিবন্ধন দিয়েও একাউন্ট খোলা যায়। উপরের এই ধাপগুলো অনুসরণ করে জন্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে সহজেই বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন এবং বিকাশের সব সেবা উপভোগ করতে পারবেন।

 বিকাশ একাউন্ট লগইন

বিকাশ একাউন্ট লগইন করা সহজ এবং এটি আপনার বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হয়। এটি ডিজিটাল লেনদেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ যা গ্রাহকদের আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনায় সুবিধা দেয়। লগইন এর মাধ্যমে গ্রাহক তার একাউন্টে প্রবেশ করে এবং টাকা পাঠানো, মোবাইল রিচার্জ, বিভিন্ন ধরনের বিল পরিশোধ, সঞ্চয় বা লেনদেনের ইতিহাস কার্যক্রম করতে পারে। নিচে বিকাশ একাউন্টে বিভিন্ন পদ্ধতি আলোচনা করা হলো

মোবাইলে-বিকাশ-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম

বিকাশ একাউন্টে লগইন করার পদ্ধতিঃ

  • যদি আপনার ফোনে বিকাশ অ্যাপ না থাকে তাহলে গুগল প্লে স্টোর অথবা অ্যাপেল অ্যাপ স্টোর থেকে একটি ডাউনলোড করে নিন
  • ডাউনলোডের পর অ্যাপটি ইন্সটল করুন
  • হয়ে গেলে ওপেন করুন
  • ”লগইন” বা ”Sign In” অপশন নির্বাচন করুন
  • আপনার বিকাশ একাউন্টের জন্য নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরটি লিখুন
  • আপনার বিকাশ একাউন্টের জন্য সেট করা ৫ সংখ্যার পিন কোড প্রবেশ করেন
  • নিশ্চিত করুন যে পিন নম্বরটি নিরাপদ এবং অন্য কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না
  • প্রথমবার লগইন করার সময় বিকাশ আপনার মোবাইলে একটি otp নাম্বার পাঠাতে পারে
  • ওটিপি কোডটি অ্যাপ এ প্রবেশ করাতে হবে
  • সব তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার পর আপনি বিকাশ একাউন্টে লগইন করতে পারবেন

 আরও পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম  

যদি পিন নম্বর ভুলে যানঃ

  • "Forgot PIN" অপশনে ক্লিক করুন
  • নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে OTP পাঠানো হবে
  • OTP প্রবেশ করে নতুন পিন সেট করুন।
  • যদি একাউন্টে প্রবেশ করতে সমস্যা হয়|
  • বিকাশ কাস্টমার কেয়ার ১৬২৪৭ নম্বরে যোগাযোগ করুন
  • সঠিক তথ্য দিন এবং সমস্যার সমাধান করেন।

পরিশেষে বলা যায় যে বিকাশ একাউন্টে লগইন করার প্রক্রিয়া সহজ, নিরাপদ এবং গ্রাহক বান্ধব যা ডিজিটাল লেনদেন কে আরো সাশ্রয়ী ও দক্ষ করে তোলে। সঠিকভাবে লগইন করার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের আর্থিক লেনদেনসহ অন্যান্য সেবা উপভোগ করতে পারে। এটি শুধু আর্থিক ব্যবস্থাপনার সহজ করে না বরং ব্যক্তিগতভাবে তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

বিকাশ একাউন্ট খোলার কোড

বিকাশ একাউন্ট খোলার কোড নির্ধারিত কোড যা অ্যাকাউন্ট খোলা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত বিকাশ একাউন্ট খোলার কোড গুলো ২৪৭#। এটি ব্যবহার করে সহজেই একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা যায় নিচে এর বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হল-

বিকাশ একাউন্ট খোলার কোড এবং প্রক্রিয়াঃ

  • মোবাইল ফোন থেকে ডায়াল করুন *২৪৭#।
  • এর বিকাশের ইউএসএসডি সেবা যা যে কোন মোবাইল ফোন অর্থাৎ স্মার্টফোন বা বাটন ফোনে কাজ করে
  • ডায়াল করার পর বিকাশের মেনু খুলে যাবে
  • এখানে বিভিন্ন অপশন দেখতে পাবেন যেমন সাইন আপ/ অ্যাকাউন্ট খুলুন, ”টাকা পাঠা“ বিপরিশোধ করুন ইত্যাদি
  • মেনুতে থাকা সাইন আপ বা অ্যাকাউন্ট খুলুন অপশনটি সিলেক্ট করুন
  • এই অপশনটি নির্বাচন করার জন্য সংশ্লিষ্ট নম্বরটি চাপুন
  • বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন যেমন নাম, জন্মতারিখ, জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার
  • পিন কোড এর জন্য একটি ৫ সংখ্যার পিন কোড তৈরি করুন
  • এই পিন কোডটি আপনার একাউন্টের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন এবং এটি অবশ্যই গোপনীয় রাখুন
  • সব তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার পর আপনার মোবাইলে একটি নিশ্চিত করুন বার্তা পাঠানো হবে
  • এটি নিশ্চিত করবে যে আপনার বিকাশ একাউন্ট সফলভাবে খোলা হয়েছে

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

  • যদি সমস্যা হয় তবে নিকটস্থ বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে গিয়ে সহায়তা নিতে হবে
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের সঙ্গে মিলে যায় এমন তথ্য প্রদান করতে হবে
  • পিন নম্বর কারো সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না
  • বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করেও একাউন্ট খোলা যেতে পারে আরো সহজ এবং দ্রুত

পর বলা যায় যে, বিকাশে একাউন্ট খোলার কোড *২৪৭# ব্যবহার করে সহজে এবং দ্রুত মোবাইল ফোন থেকে একাউন্ট খোলা যায়। এটি এমন একটি কার্যকর প্রক্রিয়া যেকোনো জায়গা থেকে এই বিকাশ ব্যবহার সুযোগ পায়।

মন্তব্যঃ মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য সময় বের করে আমাদের লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্য। আশা রাখি উপরের বর্ণিত সকল তথ্যগুলো আপনার কাজে লেগেছে এবং বিকাশ সেবা ব্যবহার আপনার জীবনকে আরো সহজ করবে। আপনার যে কোন মতামত বা প্রশ্ন জানাতে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

বর্তমান সময়ের এই ডিজিটাল যুগে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফাইন্যান্সিয়াল ব্যাংকিং ব্যবস্থা বিকাশ সবার মন জয় করেছে। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত যেকোনো ধরনের সুবিধা যেমন টাকা পাঠানো, বিভিন্ন ধরনের বিল পরিশোধ করা। আজকের জন্য এখানে বিদায় নিচ্ছি আপনার সুস্বাস্থ্য সফলতা কামনা করছি। আবারও দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে বা পোস্টে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন ২৪ ব্লক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url