আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা, অসুবিধা ও ভবিষ্যৎ
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা, অসুবিধা ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বর্তমান সময়ে জানার জন্য সকলের বেশ কৌতূহল। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে সাধারণত AI বলা হয়। বর্তমান সময়ে এই AI সম্পর্কে সবার মনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের আনাগোনা হচ্ছে। আজকে আমাদের ব্লগে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ AI এর বিস্তারিত তথ্য জানবো।
সাধারণত AI হচ্ছে কম্পিউটারের একটি উন্নত বিজ্ঞানের শাখা। সারা বিশ্বে সাধারণত এই AI অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদনের কথা বলা হচ্ছে এবং অনেক জায়গায় এর প্রভাব বিদ্যমান আছে। তাহলে চলুন আজকের আমাদের এই ব্লগে আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা, অসুবিধা ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানি।
পোস্ট সূচীপত্রঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা, অসুবিধা ও ভবিষ্যৎ
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা, অসুবিধা ও ভবিষ্যৎ
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) কি?
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সুবিধা
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এর অসুবিধা
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর ভবিষ্যৎ
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যৎ বাণী
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা, অসুবিধা ও ভবিষ্যৎ- FAQ প্রশ্ন
- মন্তব্যঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা, অসুবিধা ও ভবিষ্যৎ
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা, অসুবিধা ও ভবিষ্যৎ
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধার, অসুবিধা ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। কারণ আর্টিফিশিয়ালি ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন একটি টেকনোলজি যা মানুষের সব ধরনের চিন্তার মত তারা অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে এতটাই আকর্ষিত হয়েছে যে সবার কাছে প্রায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI হল এমন একটি আধুনিক প্রযুক্তি যা আমাদের কম্পিউটার বা মেশিন কে মানুষের মতো চিন্তা, বিশ্লেষণ এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করে। এটি সাধারণত বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রক্রিয়াকরণ, বিশ্লেষণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এক বিশাল ভূমিকা রাখছে। বর্তমান সময়ে এই AI আমাদের শিক্ষা খাতে যোগাযোগ ও ব্যবস্থা খাতে, কৃষি খাতে, বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা সেক্টরে এবং শিল্প খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে ভবিষ্যতে AI আরো উন্নত হয়ে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায়, মহাকাশ গবেষণায় এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনের জন্য অবদান রাখবে। বিজ্ঞানীদের মতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াললি ইন্টেলিজেন্স মানবজাতির উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য একটি বিশেষ ধাপ। এটি মানুষের মস্তিষ্কের মত চিন্তা ভাবনা করে এবং বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যা সমাধানের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।
স্টিফেন হকিং মনে করতেন AI মানবজাতির জন্য একদিকে যেমন সম্ভাবনার বিশাল ক্ষেত্রে তৈরি করবে ঠিক তেমনি অন্যদিকে এটি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে গেলেও বিপদজনক হতে পারে। তিনি বিশেষভাবে সতর্ক করেছিলেন যে AI কে যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে এটি মানব জাতির জন্য একটি হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে যার ভবিষ্যৎ অনেক খারাপ।
ইলন মাস্ক, স্পেস এক্স এবং টেসলার প্রতিষ্ঠাতা, এআই-কে মানবজাতির সবচেয়ে বড় হুমকি বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি মনে করেছেন যে স্বয়ংক্রিয় যুদ্ধ বা ভুল সিদ্ধান্তের মতো পরিস্থিতির সম্ভাবনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং এআই কে নিয়ে গবেষণা করার জন্য আন্তর্জাতিক নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে রে কুর্জওয়েল, যিনি গুগলের একজন একজন উদ্ভাবনী গবেষক এবং ভবিষ্যৎবিদ তিনি বলেছেন, এআইকে মানবজাতির অগ্রগতির পথে অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে দেখেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে এয়াই মানুষের জীবনযাত্রাকে আরো সহজতর ও উন্নত করে তুলবে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি বিজ্ঞানীদের মতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সভ্যতার ভবিষ্যতের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিউচার অফ হিউম্যানিটি ইনস্টিটিউট এবং মেশিন ইন্টেলিজেন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট এ আই এর সম্ভাবনা ও ঝুঁকি নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন। তাদের মতে, এ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের কর্ম ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে এবং অনেক সমস্যার সমাধান দিতে সক্ষম হবে যা আগে কল্পনাও করা যেত না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, মহামারি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়ালি ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিপ্লব আনতে পারে।
তবে তারা সতর্ক করেছেন যে, আমরা যদি এআইকে ভুল ভাবে ব্যবহার করি তাহলে এটি বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে এআই ভিত্তিক অস্ত্রশস্ত্র বা ভুলভাবে প্রোগ্রাম করা স্বায়ত্তশাসিত সিস্টেম সমাজের জন্য বিপদজনক হতে পারে। সেই কারণে অক্সফোর্ড বিজ্ঞানীরা জড়িয়েছেন এআই এর উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে তার নীতিমালা ও নৈতিকতার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে যা মানবজাতির কল্যাণে ব্যবহৃত হয় এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়ানো যায়। আসলে সব মিলিয়ে প্রমাণিত হয়, যে কোন জিনিসের যেমন সুবিধা আছে ঠিক তেমনি অসুবিধা আছে। আর এই সুবিধা ও অসুবিধা দিয়েই তৈরি হয় আমাদের ভবিষ্যৎ।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) কি?
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) কি সবার আগে জানতে হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল এমন একটি কম্পিউটারের শাখা যেটি মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে, বুদ্ধি করতে পারে এবং যেকোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সাধারণত কম্পিউটারের হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যার এর সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। এতে মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং, নিউরাল নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।
মেশিন লার্নিং হল এমন একটি পদ্ধতি যেখানে মেশিন বিশাল পরিমাণ তথ্য থেকে প্রতিটি জিনিস নিজে নিজে শেখে। ডিক লার্নিং হল আরো গভীর এবং জটিল তথ্য বিশ্লেষণ করে। আর নিউরাল নেটওয়ার্ক মানুষের মস্তিষ্কের মত কাজ করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (সিরি বা গুগল অ্যাসিস্ট্যান্স), চালিত গাড়ি, স্বাস্থ্য সেবায় রোগ নির্ণয়, ই-কমার্সে গ্রাহকের পছন্দ অনুযায়ী পণ্য প্রস্তাবনা এবং শিল্প উৎপাদনে দক্ষতা বৃদ্ধি।
তবে এআই এর ব্যবহারে অবশ্যই কিছুটা সীমাবদ্ধ রয়েছে। এটি সাধারণত নির্ভর করে তার ভিতরে ডাটা দেওয়ার উপর। আমরা যদি ডাটা মেশিনে ফুল দেয় তাহলে এই মেশিন ও ভুল সিদ্ধান্ত নিবে। যার ফলে এআই যদি মানুষের জীবিকা হ্রাস করে বা নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করে তবে তা সমাজের জন্য অনেক ক্ষতিকর হবে। ভবিষ্যতে আবার এআইয়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের মহাকাশ গবেষণা, আমাদের পরিবেশ রক্ষা এবং বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যাগুলো আরো দ্রুততার সাথে খুব সহজেই সমাধান করতে পারি। তবে এটি ব্যবহার করার সময় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে এবং নৈতিকতা নিশ্চিত করতে হবে যাতে এ আই মানবজাতির জন্য উপকার হয়।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সুবিধা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো। বর্তমান আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিশ্ব দরবার দেখলেই বুঝতে পারি। নিউজ পেপারের প্রতিটি হেডলাইনে, টিভিতে, প্রতিটি সেক্টরে এআই সম্পর্কে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। তাহলে চলুন আজকে আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানি।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বর্তমানে প্রযুক্তি ও সমাজের উন্নতির ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। যেমন মানুষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা করার সময় কোনো না কোনো ভুল করেই থাকে। ভুলের ঊর্ধ্বে মানুষ নয়। কিন্তু এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কখনোই মানুষের মতো ভুল করে না যদি তাদের মধ্যে দেওয়া ডাটাগুলো নির্ভুল থাকে। তাদের ব্যবহারের ফলে কাজের গতি ও নির্ভুলতা অনেকখানি বেড়ে যায়। এগুলোর একমাত্র কারণ হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মধ্যে ডাটা প্রসেসিং, তথ্য বিশ্লেষণ এবং সঠিক পারফরমেন্সের কারণে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ব্যাংকিং খাতে এআই- এর মাধ্যমে দ্রুত লেনদেন এবং জালিয়াতি সনাক্ত করা যায়।
আমাদের জীবন বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যায় ভরপুর। বেশিরভাগ সময়ই আমরা যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে খুব ভয় পায়। অর্থাৎ বেশিরভাগ সময় আমরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। বুঝতে পারিনা আমরা কি করলে এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে পারবো বা বুঝতে পারলেও নিজের প্রতি কনফিডেন্ট থাকেনা যে কি করব। কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ক্ষেত্রে তা কিন্তু নয়। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মেশিন সেট করে রাখার কারণে তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারে এবং জটিল সমস্যার সঠিক সমাধান বের করতে পারে। যার ফলে কোন কাজ করতে সময় লাগে না দ্রুততার সাথে হয়।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের প্রয়োজনীয় সেবা সমূহ গুলো খুব সূক্ষ্মতার সাথে করে থাকে। যেমন ই-কমার্স ওয়েবসাইটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে আমরা ক্রেতাদের পূর্ণ সম্পর্কে আগ্রহ খুব সহজে বুঝতে পারি। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমতা আমাদের স্বাস্থ্যসেবাতেও ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে। বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ নির্ণয়, সেই রোগে কি ধরনের সমাধান হতে পারে তার পরিকল্পনা এবং ওষুধ আবিষ্কারেও অবদান রেখেছে। এমআরআই বা এক্স-রে রিপোর্ট বিশ্লেষণ করতে এ আই নির্ভরতা দেখাচ্ছে এবং তার সমাধানও দিচ্ছে।
রক্তে মাংসে গড়া মানুষ আমরা অনেক সময় অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে কষ্ট পায় বা আমাদের সমস্যা হয়। বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ যেমন অগ্নি নির্বাপন করা, খুনি উদ্ধার বা পারমাণবিক এলাকায় কাজ করার জন্য এ এআই চালিত রোবট ব্যবহার করা হয় যার ফলে মানুষের জীবন রক্ষা সম্ভব হয়। এআই চালিত যানবাহন এবং বুদ্ধিমান পরিবহন ব্যবস্থায় এ আই উল্লেখযোগ্য উন্নতি এনেছে এর ফলে আমাদের দুর্ঘটনা হ্রাস পাচ্ছে এবং যানজট নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও এআইয়ের সুবিধা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যক্তিগত কৃত পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করা, অনলাইন শিক্ষা সরবরাহ এবং অগ্রগতির বিশ্লেষণ সম্ভব হচ্ছে।
আমাদের কৃষক্ষেত্রের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে জমির উর্বরতা বিশ্লেষণ করা যায়, জমিতে কোন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা ভাবে সেটিও জানা যায় এবং ফসলের উন্নত উৎপাদন কিভাবে সম্ভব সেটিও বোঝা যায়। তাছাড়াও এ আই প্রযুক্তির বিকাশের ফলে নতুন পেশার উদ্ভব হয়েছে যেমন মেশিন লার্নিং, ইঞ্জিনিয়ার, ডাটা সাইন্টিস্ট এবং এআই গবেষক। এআইয়ের ব্যবহারের ফলে আমাদের পরিবেশ সংরক্ষণেও অনেক সাহায্য হয়েছে যেমন এআই ব্যবহারের মাধ্যমে কার্বন নির্গমনের হ্রাস নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রদান করা।
আমরা মানুষ সাধারণত কখনোই ২৪ ঘন্টা কাজ করতে পারি না। আমাদের রেস্ট এর প্রয়োজন হয়, মানসিক রিলাক্সের প্রয়োজন হয়, খাবারের প্রয়োজন হয়। আমাদের ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণ না হলে পরের দিন কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায় না। কিন্তু এআই- এর ক্ষেত্রে সেটি একদমই ভিন্ন। এআই একটি মেশিন, তাই এর কোন খাবারের প্রয়োজন হয় না বা ঘুমানোর প্রয়োজন হয় না। তারা টানা ২৪ ঘন্টা কাজ করতে পারে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এর অসুবিধা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এর অসুবিধা সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। কারণ প্রতিটি জিনিসের ইতিবাচক দিক থাকলে নেতিবাচক দিক বিদ্যমান। উল্লেখ্য যে এর নেতিবাচক প্রভাব সাধারণত আমাদের সমাজ, অর্থনীতি এবং মানুষের নৈতিকতার উপর গভীরভাবে প্রভাব পড়তে পারে তাই আমাদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অসুবিধা সম্পর্কে সবাইকে অবহিত থাকা প্রয়োজন। কারণ বর্তমান সময়ে এআই- এর ব্যবহার প্রতিটি সেক্টরে করার জন্য ও গবেষণা ও প্রচেষ্টা চলছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) উন্নতভাবে ব্যবহারের জন্য এটি তৈরি করতে এবং পরিচালনা করার জন্য অনেক সময়, অর্থ এবং দক্ষতার প্রয়োজন হয়। এছাড়াও এআই প্রযুক্তির রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয় কারণ এর হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যার প্রতিনিয়ত আপডেট করার জন্য অনেক সময় ব্যয় হয়, অর্থ ব্যয় হয় আবার দক্ষ কর্মীর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। সব সময় তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয় যা সাধারণত ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ব্যবহারের ফলে বর্তমান সময়ে আমাদের কর্মসংস্থানের উপর বেশ প্রভাব পড়ে। আমাদের সমাজে এমনিতেই বেকারত্বের সংখ্যা বেশি, এর ফলে সমাজে বেকারত্বের হার আরো বাড়িয়ে দিতে পারে এবং আয় বৈষম্য সৃষ্টি করে। কারণ এআই প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে অনেক ক্ষেত্রে মানুষের কাজ সাধারণত এই মেশিন বা রোবটের মাধ্যমে কাজ করানো হচ্ছে। বিশেষ করে কল কারখানা, গ্রাহক সেবা এবং লজিস্টিক খাতে। যার ফলে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাবে। আবার নৈতিকতা ও গোপনীয়তার সংকট প্রচুর পরিমাণ হয়ে ওঠে। এই প্রযুক্তি অনেক ক্ষেত্রে মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লংঘন করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় নজরদারি ক্যামেরার সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর হুমকি সৃষ্টি হতে পারে।
বর্তমান সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতি করছে এবং গেটাও চুরি করছে। আবার সামরিক খাতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারে অনিয়ন্ত্রিত হলে এআই বিপদজনক হতে পারে। আবার সমাজের দুষ্টু লোকেরা এই এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব সহজেই ”ডিপফেক” ভিডিও বা ভুয়া বিভিন্ন ধরনের তথ্য তৈরি করছে। এটি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে এবং ভুল সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করছে। এর ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক সমস্যা সহ সামাজিক সমস্যাও তৈরি করছে। যে কারো সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো বা কাউকে বদনাম করার মত কাজ খুবই সহজ হয়ে পড়েছে।
বর্তমান সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ব্যবহারের ফলে আমরা কম বেশি প্রায় সবাই তার ওপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। যেকোনো ধরনের সমস্যা হোক বা উদ্ভাবনী ধারণা হোক আমরা নিজেদের মস্তিষ্ক দিয়ে চিন্তা ভাবনা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দিন দিন হারিয়ে ফেলছি। কোন কিছু সমস্যায় পড়লে বা কোন কিছু উদ্ভাবন করতে হলে আমরা দ্রুত এআই এর সাহায্য নিচ্ছি। যার ফলে ধীরে ধীরে আমাদের মস্তিষ্ক বিকল হয়ে যাচ্ছে। এআই আমাদেরকে যাই বলছে আমরা সেটাকেই সঠিক ভেবে জীবন যাপন করছি। এভাবে এআই সিস্টেমের অ্যালগরিদম যদি সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত না হয় তাহলে তো আমরা ভীষণভাবে ঝামেলার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করব। চাকরির জন্য কোন প্রার্থী যদি বাছাই করা হয় তবে এআই যদি পূর্বে ডাটা থেকে ভুল শিক্ষা নেয় তবে সেটি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত হতে পারে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ধরনের সেবা যেমন চ্যাটবট বা রোবোটিক কাস্টমারদের সাথে বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট বা সাহায্য পাওয়ার সাথে সাথে মানবিক সম্পর্কগুলো হারিয়ে ফেলে, যার ফলে সম্পর্কের মধ্যে শাহমর্মিতার অভাব তৈরি হয়। এটি আমাদের পরিবেশগতভাবেও বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়ে। কারণ এআই প্রযুক্তি চালাতে প্রচুর পরিমাণে শক্তির প্রয়োজন হয়। যা সাধারণত বড় বড় ডাটা সেন্টার বা মডেল ট্রেনিং করার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় যা পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে কারণ এতে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এআই যদি শক্তিশালী হয় তবে এটি মানুষের উপরে নিয়ন্ত্রণ করবে। যদিও এটি একটি তাত্ত্বিক বিষয় তারপরেও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যতে আইয়ের স্বাধীন ও আত্মনিয়ন্ত্রিত হয়ে ওঠার বিষয়ে সতর্ক করছেন।
এ আই প্রযুক্তি সব সময় নির্ভুল নয়। যেহেতু এই প্রযুক্তি মানুষের তৈরি তাই এআই প্রযুক্তির মধ্যে যদি কোন ভুল ডেটা ইনক্লুড করে বাথরুটিপূর্ণ অ্যালগরিদম এর কারণে স্বাভাবিক কাজটি অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। ভালোর জন্য এ আই ব্যবহারের পাশাপাশি সেটি আমাদের জন্য অনেক মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের অসুবিধা গুলো আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমরা যদি এই প্রযুক্তি ব্যবহার করি তাহলে অবশ্যই আমাদের সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে। এ আই এর নীতিমালা কঠোর ও কঠিন এবং নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এআইয়ের অপব্যবহার রোধ করতে হবে। তাহলে আমাদের মানব জীবনের জন্য উপকার হয়ে আসবে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর ভবিষ্যৎ
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন। উপরের বিস্তারিত আলোচনায় আমরা এ আই-এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এখন আমরা জানবো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভবিষ্যৎ কি হবে। তাহলে চলুন আমরা দেখে নেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভবিষ্যৎ।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ভবিষ্যতে আমাদের প্রযুক্তি, সমাজ অর্থনীতিতে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা রাখে। এটি বিভিন্ন উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং মানুষের পরিশ্রম কমাবে। অর্থাৎ মানুষের পরিবর্তে মানুষের কাজগুলো এই এআই করবে। তবে মানুষের অন্যান্য কাজগুলো কম হলেও নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। যেমন ধরেন ডাটা এনালিস্ট, এআই মডেল প্রশিক্ষক, এবং প্রযুক্তি ব্যবস্থাপক। আমাদের স্বাস্থ্যসেবা খাতেও এ আই এর ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল। আমাদের বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ যেমন ক্যান্সার বা জিনগত বিভিন্ন ধরনের অসুখ সনাক্ত করতে এআই ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভার্চুয়াল ডাক্তার, রোবটিক সার্জারি এবং স্বাস্থ্যগত পূর্বাভাস প্রযুক্তির রোগীদের জন্য সাশ্রয়ী হবে এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা হবে। তবে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসেবা আরো সহজ হবে।
এআই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হবে যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী শিখন পদ্ধতি, গতি এবং চাহিদার উপর ভিত্তি করে কন্টেন্ট তৈরি করে। ভার্চুয়াল টিউটর এবং ইন্টারেক্টিভ লার্নিং প্ল্যাটফর্ম শিক্ষার মান উন্নত করবে যা আগের গ্লোবাল এক্সেঞ্জ খুব সহজ হবে। শুধু যে শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে তা কিন্তু নয় আমাদের যানবাহন বা স্মার্ট শহর তৈরি করতে এ আয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সড়ক ঘটনা কমানো হবে, যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এবং জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একটি স্মার্ট শহর নির্মাণের জন্য যা যা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লাগে এ আই সেটি করবে।
আমাদের কৃষি খাতেও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবিষ্যতে আরো প্রসারতা লাভ করবে। এআই-এর মাধ্যমে অতি দ্রুততার সাথে ফসলের রোগ শনাক্তকরণ, জমির উবারতা বিশ্লেষণ এবং কোন সময়ে সেচ দিতে হবে সার ব্যবহার করতে হবে সে কাজগুলো নির্ভুলভাবে করা সম্ভব হবে। ড্রোন এবং রোবোটিক প্রযুক্তি আমাদের কৃষকদের জন্য অনেক কার্যকরী সমাধান নিয়ে আসবে। এআই আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন বা পরিবেশগত সংকট মোকাবেলায় ভবিষ্যতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে । বিভিন্ন ধরনের শক্তি ব্যবস্থাপনায় এ আই কার্যকরী হবে, যেমন সৌরশক্তি, বায়ু শক্তির ব্যবহার বাড়াবে। আমাদের যে পরিবেশগত কিছু ঝুঁকি থাকে যেমন বন্যা , খরা এবং প্রবল ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েও আমাদের ক্ষতিগুলো কমানোর চেষ্টা করবে।
আমাদের সাংস্কৃতিক জগতে ও এআই-এর ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল সংগীত পরিচালনা, চিত্রকলা এবং চলচ্চিত্র বা বিভিন্ন ধরনের নাট্যনির্মাণে এআই ব্যবহার করে আরো বেশি গর্জিয়াস করার জন্য ভবিষ্যতে কাজ করবে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং অগমেন্টেড ের সাহায্যে বিনোদনের চরম অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ নতুন স্তরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। এআই আবার সাইবার সিকিউরিটি খাতে ও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি দ্রুত তার সাথে সাইবার আক্রমণ শনাক্ত করতে পারবে এবং ডাটা গুলো সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে। ভবিষ্যতে আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থার স্বার্থে বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সিস্টেম তৈরি হবে যা আমাদের ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ডাটা গুলোকে সুরক্ষিত রাখবে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের মহাকাশ গবেষণায় ব্যাপক অগ্রগতি সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে। রোবোটিক রোভার এবং বুদ্ধিমান সিস্টেম মহাকাশে জটিল মিশন সম্পন্ন করতে পারে। আবার ভবিষ্যতে অন্যান্য গ্রহে যেন বসবাস করা যায় সেই সম্ভাবনা পরীক্ষা করতেই এআই তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান পালন করতে পারবে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনা হল মানুষের সঙ্গে মেশিনের একটি সম্পর্ক তৈরি হবে। বায়োনিক বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, ব্রেইন মেশিন ইন্টারফেস অর্থাৎ এ আই সহায়তা প্রাপ্ত বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইস অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে প্রতিবন্ধীদের জন্য এই উদ্যোগটি অনেক উপকৃত অর্থাৎ তাদের ভবিষ্যৎ বদলে দিবে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভবিষ্যতে মানব জীবনকে আরো সুন্দর, সহজতার, উন্নততর এবং স্মার্ট করে তোলার জন্য বেশ উপযোগী। তবে এর সুবিধার মন আছে নেতিবাচক ডিকো কিন্তু আছে। এর নেতিবাচক সবচাইতে বড় সমস্যা হল বেকার সৃষ্টি করবে, নৈতিক প্রশ্ন এবং প্রযুক্তিগত বৈষম্য মোকাবেলায় সচেতন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যদি আমরা এআইকে সঠিক নীতিমালা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে এই শক্তিশালী হয়ে উঠবে এক ধরনের হাতিয়ার। তাই আমরা প্রযুক্তিগতভাবে এগোতে চাইলেও আমাদেরকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা অবশ্যই নীতিগত বৈশিষ্ট্য ঠিক রাখি।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যৎ বাণী
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যৎবাণী নানা দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামতের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। তাদের অনেকেই এআই- এর সম্ভাবনাকে মানবজাতির জন্য আশীর্বাদ হিসেবে গ্রহণ করেছেন আবার অনেকেই মানবজাতির জন্য অনেক ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলেছেন। আমরা বিভিন্ন বিজ্ঞানের মতামত গুলো সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন তাদের মতামত সম্পর্কে জানি
স্টিফেন হকিংঃ বিশ্বের বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এআইকে নিয়ে খুব বেশি সতর্ক ছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, ”সম্পূর্ণ কার্যকর এআই মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি হতে পারে। একবার যদি মেশিনগুলো নিজেরাই চিন্তা করার ক্ষমতা অর্জন করে তারা নিজেদের লক্ষ্য পূরণে সখ্য হয়ে উঠবে, যা মানুষের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সব সময় একমত নাও হতে পারে”। তিনি অনেক ভীত সন্ত্রস্ত ছিলেন, তার মতে এআই কে যদি সময়ের সাথে সাথে নিয়ে যেতে হয় তাহলে অবশ্যই তাকে একটি সঠিক নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। তা না হলে আমাদের বর্তমান সময় একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে।
এলন মাস্কঃ স্পেসএক্স এবং টেসলার সিইও এলন মাস্ক এ আই কে মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হুমকি বলে আখ্যায়িত করেছেন। মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হলো এই এআই প্রযুক্তি। তিনি বলেছেন, “এ আই এমন একটি শক্তি, যা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা হলে মানব সভ্যতার অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে পারে” তিনি আবার এটাও বলেছেন যে, এআই প্রযুক্তির উন্নয়ন চাইলেও এর ওপর ভালো নজরদারি থাকা উচিত এবং মানুষের ওপর এ আই এর ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করা উচিত।
বিল গেটসঃ মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এআই- এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী থাকলেও এর ঝুঁকি সম্পর্কে বেশ সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন যে, “এআই মানবজাতির জন্য বড় সুযোগ নিয়ে এসেছে. তবে এটি পরিচালনা করার জন্য আমাদেরকে সতর্ক হতে হবে। সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলে একটি বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর সমাধানে অবদান রাখবে।” তবে তিনি এটিও মনে করেন যে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদেরকে অবশ্যই এই আইন এর সুবিধাগুলো মানব জীবনের উন্নয়নে ব্যবহার করতে হবে। তবে অবশ্যই সঠিক পরিকল্পনা ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে।
নিক বোস্ট্রমঃ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং "Superintelligence: Paths, Dangers, Strategies" বইয়ের লেখক নিক বোস্ট্রম এআই- এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে গভীর গবেষণা করেছেন। তার মতে, “এ আই মানবজাতির জন্য অপ্রতিরোধ্য সুযোগ তৈরি করতে পারে, কিন্তু এটি ভুল পথে পরিচালিত হলে আমাদের সভ্যতাকে ধ্বংস করার ক্ষমতাও রাখে।” তিনি এআই- এর উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নৈতিকতার এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থার বিধানগুলোকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং অবশ্যই নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণ নির্ধারণ করতে বলেছেন।
রে কার্জওয়েলঃ গুগলের প্রধান উদ্ভাবনবিদ এবং ভবিষ্যৎবিদ রে কার্জওয়েল তিনি আবার এআই নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। তিনি বিশ্বাস করেন, ”২০৪৫ সালের মধ্যে আমরা সিঙ্গুলারিটির যুগে প্রবেশ করব, যেখানে এআই এবং মানুষের মস্তিষ্ক কার্যকর ভাবে একিভূত হবে।” তার মতে, এআই মানুষের জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং অবশ্যই আমাদের সৃজনশীলতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
ইয়োশুয়া বেংজিওঃ মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ এবং ডিপ লার্নিং গবেষণার অগ্রদূত ইয়োশুয়া বেংজিও এআই- এর ইতিবাচক ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, “আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত এমন একটি এআই তৈরি করা, যা সমাজের উন্নয়নে কাজ করবে এবং যা নৈতিকভাবে দায়িত্বশীল হবে।” তিনি এআই গবেষণায় গোপনীয়তা ওটার নৈতিক ব্যবহারের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
অ্যান্ড্রু এনজিঃ এ আই গবেষণার আরেক অগ্রগামী অ্যান্ড্রু এনজি বলেছেন, “এআই হল নতুন বৈদ্যুতিক শক্তি। এটি প্রতিটি শিল্প খাতে বিপ্লব ঘটাবে এবং মানুষের জীবন মানের উন্নত করবে।” তার মতে এআই -কে একটি শক্তিশালী টুল হিসেবে ব্যবহার করতে হবে যা মানবজাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
পরিশেষে বলা যায় যে, আমাদের এই বিজ্ঞানীদের মন্তব্যে এটাই স্পষ্ট হয় যে , আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভবিষ্যতে মানব জীবনের একটি অবিচার্য অংশ হিসেবে আসবে। তবে এর সম্ভাবনার পাশাপাশি ঝুঁকিগুলো মোকাবেলা করার জন্য আমাদেরকে দায়িত্বশীল হতে হবে। তাদের গবেষণায় দেখা যায় যে দায়িত্বশীল, সঠিক নীতিমালা এবং প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য করতে হবে। তাহলেই এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনকে আরো উন্নত করতে পারবে ।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে। কারণ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপ্লব ঘটিয়েছে। এর ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের প্রায় প্রতিটি সেক্টরে বা প্রতিটি শিল্প খাতে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করে যাচ্ছে। নিচে আমাদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি চালিত সিস্টেম আমাদের এক্সরে, এমআরআই এবং অন্যান্য চিকিৎসা ক্ষেত্র বিশ্লেষণ করে দ্রুত ও নির্ভুল রোগ নির্ণয় করতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
- চিকিৎসা পরিকল্পনায় অর্থাৎ রোগীর ডেটা বিশ্লেষণ করে ব্যক্তিগত কৃত চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করা যায়। বিভিন্ন নতুন নতুন ওষুধ তৈরির জন্য ডেটা মডেল ব্যবহার করে গবেষণার গতি বাড়ানো সম্ভব।
- ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে রোগীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য এ আই- চালিত চ্যাট বট ব্যবহৃত হয়।
- শিক্ষা খাতে এআই ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা এবং দুর্বলতা ভিত্তিতে পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করা যায়। এমনকি এ আই ভার্চুয়াল শিক্ষক হিসেবে কাজ করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে অতি দ্রুত এবং খুব সহজেই।
- ব্যবসা ও বিপণনে এ আই সাধারণত গ্রাহকসেবার, বাজারদর বিশ্লেষণ, বিজ্ঞাপন, ই-কমার্সে ব্যাপকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চ্যাটবট এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্পন্ন সহকারি গ্রাহকদের তাৎক্ষণিক সেবা দিয়ে থাকে এবং গ্রাহকদের চাহিয়া ও বাজারের প্রবণতা বুঝতে সাহায্য করে।
- কৃষি খাতে এ আই ব্যাপক আকারে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ফসলের রোগ সনাক্তকরণ, জমির উর্বরতা বিশ্লেষণ, কৃষি ড্রোন এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য এআই ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। জমিতে কখন সার, কীটনাশক এবং সেচের পানি দিতে হবে এআই তা নির্ধারণ করে দেয় আবহাওয়া কেমন হবে তা পূর্বেই বলা যায়।
- পরিবহন খাতে এআইয়ের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ আই প্রযুক্তি সচালিত গাড়ি তৈরি করতে ব্যবহার করা হচ্ছে, যার ফলে স্মার্ট ট্রাফিক সিগনাল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে। এই জন্য শহরে ট্রাফিক জ্যাম না থেকে খুব সহজেই যাত্রী এবং মাল পরিবহন হচ্ছে।
- বিনোদন এবং সৃজনশীল শিল্পে এআই ব্যবহার করে চলচ্চিত্র জগতে ব্যাপক উন্নত হয়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিজুয়াল ইফেক্ট ও এনিমেশন তৈরি করা হচ্ছে। সংগীতে বিভিন্ন ধরনের মিউজিক কম্পোজিশন এবং সাউন্ড মিক্সিং এ সাহায্য করছে। বিভিন্ন ধরনের গেম ডেভেলপমেন্ট কন্টেন্ট তৈরি সবকিছুই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে হচ্ছে।
- সাইবার সিকিউরিটি খাতে এআই ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। সাইবার আক্রমণ ভাইরাস শনাক্ত করতে, বিভিন্ন ধরনের ডেটা সুরক্ষার জন্য নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে এআই অ্যালগরিদম সাহায্য করে। ইমেইল বা মেসেজের মাধ্যমে প্রতারণার খুব সহজেই সনাক্ত করা যায় এবং সিস্টেমে প্রবেশের সময় সন্দেহজনক কার্যক্রম রোধ করা যায়।
- স্মার্ট হোম এবং ইন্টারনেট অফ থিংস এ ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট, হোম অটোমেশন, স্মার্ট সিকিউরিটি ও বিদ্যুতের ব্যবহার বিশ্লেষণ করে শক্তিশালী করা হয়। গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, আলেক্স বা সিরি স্মার্ট নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের লাইট, ফ্যান এসি এবং অন্যান্য ডিভাইসে নিয়ন্ত্রণে এআই ব্যবহৃত হয়।
- অর্থনীতি ও ফ্রেন্ডের খাতে এআই ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে। ঋণ অনুমোদন এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনায় ঝুঁকি বিশ্লেষণে আই সহায়তা করে। বিভিন্ন ধরনের আর্থিক লেনদেন জালিয়াতি সনাক্তকরণে এআই সাহায্য করে।
- পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এআই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। যেকোনো দুর্যোগের পূর্বাভাস (যেমন ঝড়, বন্যা এবং খড়া) দিতে পারে। পরিবেশ বিশ্লেষণে এআই চালিত ড্রন বা সেন্সর ডেটা সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে। বজ্র পুন ব্যবহার করে এবং ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকরী সমাধান দিতে পারে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা, অসুবিধা ও ভবিষ্যৎ- FAQ প্রশ্ন
প্রশ্নঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি?
উত্তরঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) হল কম্পিউটারের একটি শাখার যা কম্পিউটার সিস্টেমের বুদ্ধিমত্তা, যেখানে মানুষের মতো চিন্তা করে, শিখে, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়। যা সাধারণত অ্যালগরিদম ও ডেটার মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
প্রশ্নঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি?
উত্তরঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল কম্পিউটারের এমন একটি প্রযুক্তিগত শাখা যেখানে মানুষের মত চিন্তা করে শিখে বিশ্লেষণ করে এবং বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়।
প্রশ্নঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কত প্রকার?
উত্তরঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রধানত তিন প্রকার। যথা
- ন্যারো এআই (Narrow AI)
- জেনারেল এআই (General AI)
- সুপার এআই (Super AI)
প্রশ্নঃ ইন্টালিজেন্স বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ ইন্টেলিজেন্স বলতে বোঝায় শেখার ক্ষমতা, জ্ঞান প্রয়োগ করা, সমস্যার সমাধান করা, যুক্তি বিশ্লেষণ করা এবং নতুন পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার দক্ষ তাকে বোঝায়, যা মানুষ এবং কিছু ক্ষেত্রে মেশিনে বিদ্যমান।
মন্তব্যঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা, অসুবিধা ও ভবিষ্যৎ
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা, অসুবিধা ও ভবিষৎ সম্পর্কে আমরা উপরে বিস্তারিতভাবে জেনেছি। আশা করি উপরের বর্ণিত তথ্যগুলো আপনাদের অনেক কাজে আসবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমতা বর্তমান সময়ে কতটা এগিয়েছে বা ভবিষ্যতে কিভাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। প্রতিটি জিনিসেরই ভালো-মন্দ দিক আছে। ঠিক তেমনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর যেমন সুবিধা আছে তেমনি অসুবিধা আছে এবং এর ভবিষ্যৎ অবদান কি সেটাও আছে।
বর্তমান সময়ের এই ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে আমরা এতটাই প্রযুক্তি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে যে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আমাদের জীবনযাত্রায় ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, পরিবহন বিভিন্ন ব্যবস্থায় ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। অনেক জটিল রোগের সমাধান দিচ্ছে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি। আমরা যদি সঠিক নীতিমালা ও সঠিকভাবে ব্যবহার করি তাহলে এই এআই প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে অনেক উন্নত করবে। ভালো থাকবেন আশা করি আমার এই তথ্য আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আবারও দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অথবা পোস্টে।
প্রশ্ন ২৪ ব্লক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url