১০টি ভিন্ন উপায়ে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন

১০টি ভিন্ন উপায়ে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান? তাহলে আপনি অবশ্যই সঠিক জায়গাতে এসেছেন। কারণ আজকের আমাদের এই ব্লগে আমরা বিস্তারিত জানবো কিভাবে মোবাইল দিয়ে দশটি ভিন্ন উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায়। বর্তমান সময়ে আয় করা খুব সহজ যেমন না ঠিক তেমনি খুব কঠিনও না। তবে আমাদেরকে বিভিন্ন পদ্ধতির সম্পর্কে জানতে হবে।

১০টি-ভিন্ন-উপায়ে-মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-করে-আয়

ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে বিশাল বড় একটি প্ল্যাটফর্ম। বর্তমান সময়ে এই ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা হচ্ছে। তবে অবশ্যই এর বিভিন্ন মাধ্যম বা উপায় রয়েছে। এই উপায় সম্পর্কে আপনি যদি বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন তাহলে আপনিও পারবেন লক্ষাধিক টাকা মাসে ইনকাম করতে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে দেখা যাক কিভাবে ১০টি ভিন্ন উপায়ে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায় লক্ষাধিক টাকা।

পোস্ট সূচীপত্রঃ ১০টি ভিন্ন উপায়ে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন

 ১০টি ভিন্ন উপায়ে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন

১০টি ভিন্ন উপায়ে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন এই কথাটি বর্তমান সময়ের এই মুহূর্তে প্রায় প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে কথা। কিন্তু আসলেই কি ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা যায়, আমরা কি পারবো এই একটি মোবাইল সেট দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে? আমরা আমাদের নিজের যোগ্যতা দিয়ে কিভাবে একটি অ্যান্ড্রয়েড সেট দিয়ে ভিন্ন উপায় অবলম্বন করে ফ্রিল্যান্সিং শিখে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করব। 

বর্তমান সময়ের নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে এই ফ্রিল্যান্সিং এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। যেখানে আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারব। আমরা এ সময় ভাবতাম যে কেবলমাত্র কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সাহায্যে কাজ করা মানেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ তবে বর্তমানে স্মার্টফোন ও বিভিন্ন এপ্লিকেশন এই কাজকে আরো সহজে এবং সাশ্রয়ী করে তুলেছে।

পুরো বিশ্ব জুড়ে বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ মোবাইল ব্যবহার করে। বিশেষ করে আমাদের এই দেশে প্রায় ৯০% লোক মোবাইল ব্যবহার করে। সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ ল্যাপটপে বা কম্পিউটারে বেশ ভালো হয়। কিন্তু যারা সামর্থ্য রাখেন না ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কেনা তারা এই মোবাইল ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। যেমন ধরেন মোবাইলের মাধ্যমে আমরা গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, ডাটা এন্ট্রি, অনলাইন টিউশন, ট্রানসলেশন, ভয়েস ওভার, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারি।  

তাছাড়াও বিশ্বব্যাপী Fiverr, Upwork, Freelancer, PeoplePerHour- এর মত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর মত জায়গাতেও আমরা মোবাইল ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের কাজ গ্রহণ করতে পারি ও সম্পন্ন করতে পারি। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফ্রিল্যান্সিং করার সুযোগ রয়েছে। আমরা যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করি তাহলে আমাদের সময় ও খরচ সাশ্রয়ী হয় এবং এটি আমরা যে কেউ ঘরে বসেই করতে পারি। আমাদের সঠিক দক্ষতা অর্জন করে অনিয়মিত চর্চার মাধ্যমে মোবাইল ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা উপার্জন করা সহজ ও বাস্তবমতে একটি পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সঠিক প্রশিক্ষণ ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে আমরা মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারি।

 মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়

মোবাইল গ্রাফিক ডিজাইন করে আয় করা যায় কিনা এই সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত তথ্য জানবো। আমরা অনেকেই জানিনা যে মোবাইল দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। আমাদের প্রায় বেশিরভাগ মানুষেরই ধারা ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে অবশ্যই আমাদের একটি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার লাগবে। কিন্তু মোবাইলের মাধ্যম দিয়ে যে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে হাই করা যায় সেটা আমরা অনেকেই জানিনা।

গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমান সময়ের ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এবং এই জনপ্রিয় মাধ্যম কি মোবাইল দিয়ে করা খুব সহজ এবং সম্ভব। যদিও আগে গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য কম্পিউটার অপরিহার্য মনে করা হলেও এখন আধুনিক যুগের স্মার্ট অ্যান্ড্রয়েড ফোনের উন্নত এপ্স গুলোর মাধ্যমে চমৎকার ডিজাইন তৈরি করা যায়। এইজন্য প্রথমেই আমাদেরকে একটি ভালো স্মার্ট অ্যান্ড্রয়েড ফোন নির্বাচন করতে হবে। যেহেতু আমরা মোবাইল ফোন দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন করব সেই কারণে মোবাইলটি হতে হবে অনেক উন্নত।

প্রথমেই আমাদেরকে একটি ভালো অ্যাপ নির্বাচন করতে হবে, যেমন ধরেন Canva, Adobe Express, PicsArt, Desygner, PixelLab- এর মত অ্যাপ গুলো। এই অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই লোগো, ব্যানার, পোস্টার, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট, ইউটিউব থাম্বনেইল, বিজনেস কার্ড, ফ্লায়ার ইত্যাদি ডিজাইন করা যায়। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে অবশ্যই Fiverr, Upwork, Freelancer- এর মত প্ল্যাটফর্মে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। সেখানে আপনার নিজের সার্ভিস লিস্ট প্রচার করতে হবে। আপনি কি কি করতে পারেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। আবার আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ব্যবহার করেও ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে পারেন।

যদি আপনাদের ভালো আয় করার প্রয়োজন মনে করেন তাহলে অবশ্যই ট্রেন্ড অনুযায়ী ডিজাইন করতে হবে এবং নিয়মিত নতুন নতুন ডিজাইন স্কিল শিখতে হবে। এই স্কিল শেখার জন্য ইউটিউব বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল দেয়া থাকে। সেই টিউটোরিয়াল দেখে শিখতে পারবেন কিংবা আপনি অনলাইন কোর্স করে আপনার দক্ষতা বাড়াতে পারবেন। শুরুতে অবশ্যই আপনাকে কম মূল্যে কাজ নিয়ে রেটিং ও রিভিউ বাড়ালে পরে আপনি অবশ্যই বড় বাজেটের কাজ পাওয়া সহজ হবে। ধৈর্য ধরে কাজ করলে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করেও ভালো উপার্জন করা যায়।

 মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট রাইটিং করে আয়

মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট রাইটিং করে আয় করা যায় এই সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অভিজ্ঞতা বা জানা নেই। কিন্তু ভালো মানের মোবাইল দিয়েও যে কনটেন্ট রাইটিং করে মাসে ইনকাম করা যায় এই সম্পর্কে আমরা আজকে বিস্তারিত তথ্য জানবো। কনটেন্ট রাইটিং হল আপনার ব্যক্তিগত এমন একটি দক্ষতা, যার মাধ্যমে লেখালেখি করে আপনি অনলাইনে বেশ ভালো আয় করতে পারবেন। কনটেন্ট রাইটিং মোবাইল ব্যবহার করেও আয় করা সম্ভব হয়। বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কন্টেন্ট রাইটারের প্রয়োজন পড়ে।

আপনি যদি মোবাইলে কনটেন্ট রাইটিং করতে চান তাহলে অবশ্যই Goole Docs, Microsoft, Notion, JotterPad ইত্যাদি অ্যাপ ব্যবহার করে করতে পারবেন। এটিতে লিখতে আর টাইপ করতে সুবিধা হয় এমন একটি ভাল কিবোর্ড ইন্সটল করাও খুব জরুরী। কাজ শুরু করতে হলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেশে আপনাকে Fiverr, Upwork, Freelancer-এ একাউন্ট খুলতে হবে এবং অবশ্যই এখানে আপনার সার্ভিস লিস্ট তৈরি করবেন। এছাড়া ব্লগিং প্লাটফর্মে (যেমন Medium, Vocal Media) লেখা প্রকাশ করেও আয় করা সম্ভব হয়।

আপনি যদি ভাল মানের কন্টেন্ট লিখে মার্কেট পিছে একটি জায়গা তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট লেখার জন্য বানান ও ব্যাকরণ সম্পর্কে জ্ঞান রাখা দরকার। Grammarly বা Hemingway Editor- এর মত বিভিন্ন ধরনের টুল ব্যবহার করলে আপনার লেখার মান উন্নত হবে। প্রতিদিন নিয়মিত অবশ্যই অনুশীলন, ভালো রিসার্চ এবং পাঠকদের চাহিদা অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি করতে পারলে আপনি মোবাইল ব্যবহার করেই কনটেন্ট রাইটিং ভালো করে আয় করতে পারেন। যেকোনো কাজে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে তারপর ধাপে ধাপে উপরে উঠতে হবে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে এবং ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে বড় প্রজেক্ট পাওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে।

 মোবাইল দিয়ে ভয়েসওভার/স্পোকেন কনটেন্ট করে আয়

মোবাইল দিয়ে ভয়েসওভার/স্পোকেন কনটেন্ট করে আয় আর করা যায় সেই সম্পর্কে আমরা অনেকেই অজানা। আসলেই ভয়েসওভার বা স্পোকেন কনটেন্ট তোমার সময়ে খুব জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ, যা মোবাইল দিয়েও খুব সহজেই করা যায়। ইউটিউব ভিডিও, অডিও বুক, বিজ্ঞাপন অ্যাপ এবং এনিমেশন ভিডিওর জন্য ভালোমানের ভয়েসওভার আর্টিস্টের দিন দিন চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

১০টি-ভিন্ন-উপায়ে-মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-করে-আয়-করুন

আপনি যদি এই কাজটি করার ইচ্ছে পোষণ করেন তবে প্রথমে আপনাকে অবশ্যই আপনার নিজের ভয়েস ক্লিয়ার করতে হবে এবং সবচেয়ে বড় যেটি সেটি হচ্ছে আপনার উচ্চারণ ভালো করতে হবে। মোবাইলের Dolby On, Smart Recorder, Voice Recorder & Editor- এর মত হাই-কোয়ালিটি অ্যাপ ব্যবহার করে অডিও রেকর্ড করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শব্দের স্পষ্টতা বজায় রাখতে লেভেলিয়ার মাইক্রোফোন ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

আপনি যদি এই ভয়েসওভার এর কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে স্বর নিয়ন্ত্রন, আবেগ এবং টোন ঠিক রাখতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত অনুশীলন ও শব্দ পরিষ্কার করার জন্য Audacity বা Lexis Audio Editor ব্যবহার করতে পারেন। আপনি এই প্লাটফর্মে নিজেকে স্থায়ী করতে চান তাহলে অবশ্যই শুরুতে আপনাকে কম রেটে কাজ নিতে হবে এবং রিভিউ ও অভিজ্ঞতা বাড়বে। এরপর আপনি ধীরে ধীরে বড় প্রজেক্ট হাতে নেবেন এবং পাওয়ার সহজ হবে। আপনার যদি ভাল দক্ষতা থাকে তাহলে মোবাইল দিয়েও ভয়েসওভার করে নিয়মিত ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়।

 মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে আয়

মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে আয় আয় করা যায় এবং খুব সহজ। ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং জগতের বেশ জনপ্রিয় একটি কাজ। ডাটা এন্ট্রি কাজ বলতে মূলত অনেকেই বোঝে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডাটা এন্ট্রি করাকে বোঝায়। যা সাধারনত ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ছাড়া হয় না। কিন্তু একেবারে এটি ভ্রান্ত ধারণা। মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে মাসে বেশ ভালো ইনকাম করা যায়।

তাই ডাটা এন্ট্রি আমাদের ফ্রিল্যান্সিং জগতে একটি বেশ জনপ্রিয় মাধ্যম। বিভিন্ন কোম্পানি, ই-কমার্স ব্যবসা এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এই কাজের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এক্সেল শীট পূরণ, ফরম ফিলাপ, ইমেল সংকলন, প্রোডাক্ট লিস্ট আপডেট বাট টাইপিং সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের কাজ। বর্তমান সময়ে এই কাজগুলোর বেশ চাহিদা রয়েছে।

আপনি যদি মনে করেন আপনার হাতের আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট দিয়ে এ কাজ করবেন তাহলে Google Sheet, Microsoft Excel, Goole Docs, WPS Office এই অ্যাপসগুলো অবশ্যই ব্যবহার করবেন। দ্রুত টাইপিং করার জন্য আপনি একটি ভাল কিবোর্ড অ্যাপ ব্যবহার করবেন যাতে আপনার কাজের গতি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি কাজ করতে চান বা সুযোগ পেতে চান তাহলে অবশ্যই Fiverr, Upwork, Freelancer- এই ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে একটি অ্যাকাউন্ট খুলবেন। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনার কাজ খুঁজতে সহজ হবে। এছাড়াও এই কাজের জন্য আপনি সোশ্যাল মিডিয়া বা লোকাল ব্যবসা গুলোর জন্য ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।

এই কাজগুলো পাওয়ার জন্য ধৈর্য, মনোযোগ এবং নির্ভুলভাবে টাইপিং করার দক্ষতা থাকতে হবে। আপনার যাতে ভুল কম হয় বা না করার জন্য Grammarly বাSpell Checker অ্যাপগুলোকে ব্যবহার করে কাজে লাগাতে পারেন। এতে আপনার অনেক সুবিধা হবে যা আপনার কাজকে অনেক সহজ করবে। প্রথমে আপনি অবশ্যই আপনার জায়গা তৈরি করার জন্য ছোট ছোট প্রজেক্ট গুলো নিয়ে কাজ করবেন। এরপর সেখান থেকে ভালো কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বড় প্রজেক্ট পেতে খুবই সহজ হবে। আপনি যদি নিয়মিত কাজ করেন তাহলে অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি থেকে ভালো ইনকাম করা যায়।

 মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করে আয়

মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করে আয় করা যায় তা আমরা অনেকেই জানিনা। কারণ আমাদের ধারণা যে কোন ধরনের ভিডিও এডিটিং করার জন্য ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটারের প্রয়োজন পড়ে। কারণ সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফাংশন থাকে কিন্তু মোবাইলে সে সকল সুবিধা গুলো পাওয়া যায় না। কিন্তু বর্তমান সময়ের android সেট গুলো দিয়েও যে ভিডিও এডিটিং করা যায় তা আমরা অনেকেই জানি। ভিডিও কনটেন্টে চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে আর সেই সঙ্গে ভিডিও এডিটিং কাজের সুযোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপক হারে।

মোবাইল দিয়ে বর্তমান সময়ে খুব সহজে ভিডিও এডিট করা যায় এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভালো আয় করাও সম্ভব হয়। ইউটিউবার, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, অনলাইন ব্যবসায়ী এমনকি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসেও ভিডিও এডিটিং এর বেশ ভালো ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করতে চান তাহলে Kinemaster, CapCut, VN Video Editor, InShot, Alight Motion ইত্যাদি অ্যাপ গুলো ব্যবহার করবেন। কারন এইসব অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি ভিডিও কাটিং, ট্রানজেকশন, টেক্সট, মিউজিক, স্পেশাল ইফেক্ট এবং কালার গ্রেডিং করতে পারবেন।

আপনি যদি এটাকে আপনার কাজের মাধ্যমে হিসেবে নির্বাচন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে Fiverr, Upwork, Freelancer- এর মত প্লাটফর্মে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। সেখানে আপনি ভিডিও এডিটিং এর কি কি সার্ভিস দিতে পারবেন সেটি উল্লেখ করে সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এছাড়াও ইউটিউবারদের জন্য ইন্ট্রো, আউট্রো, শর্ট ভিডিও এডিট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বানিয়েও ভালো আয় করতে পারবেন।

আপনি যদি নিজেকে সেই লেভেলে পৌঁছে ভালো মানের ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই ভালো মানের ভিডিও তৈরি করতে হবে তার জন্য ধৈর্য ও ক্রিয়েটিভিটির প্রয়োজন। নিয়মিত নতুন নতুন শিখতে মার্কেটে চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে পারলে আয় বাড়ানো সম্ভব। তাই আপনি যদি সঠিক দক্ষতার সাথে কাজ করে তাহলে অবশ্যই মোবাইল দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং করে ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে ভালো আয় করা সম্ভব।

মোবাইল দিয়ে অনলাইন টিউশন করে আয়

মোবাইল দিয়ে অনলাইন টিউশন করে আয় করা যায় সেই সম্পর্কে আমাদের পূর্ণ অভিজ্ঞতা খুব একটা নেই। আজকে আমরা জানবো যে আপনার হাতে থাকা মোবাইলটির মাধ্যমেও অনলাইন টিউশন করে আপনি মাসে ভালো এ ইনকাম করতে পারেন। বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন টিউশন একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। 

বিশেষ করে করোনা মহামারী আসার পর থেকে এই মোবাইলের মাধ্যমে টিউশন খুব সহজ হয়ে উঠেছে। অনেক শিক্ষার্থী এখন অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় পড়াশোনা করছে। এর ফলে ঘরে বসেই প্রতিদিন তার চাহিদা মোতাবেক ভালো টিউটরের মাধ্যমে নিজেকে অনলাইন শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

আপনি মনে করেন অনলাইন টিউশন করাবেন তাহলে অবশ্যই আপনার মোবাইলে Zoom, Google Meet, Microsoft Teams, Skype ইত্যাদি ভিডিও কলিং অ্যাপসগুলো ব্যবহার করবেন। এছাড়াও রয়েছে WhatsApp, Telegram বা Facebook Live ব্যবহার করেও আপনি শিক্ষার্থীদের সাথে যুক্ত হয়ে শিক্ষা দিতে পারবেন। এর জন্য শুধুমাত্র আপনার একটি এন্ড্রয়েড সেট এবং ইন্টারনেট সংযোগ লাগবে। এই মাধ্যমটি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে প্রতিটা স্টুডেন্ট গ্রাম থেকে সে শহরের টিচার গুলোর সংস্পর্শে এসে ভালো রেজাল্ট করতে পারছে।

আপনি যদি কাজের সুযোগ পেতে চান তাহলে অবশ্যই Fiverr, Upwork, Preply, Chegg Tutors, Vedantu ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং এবং টিউশন প্লাটফর্মে প্রোফাইল খুলবেন। এছাড়াও ফেসবুকে একটি পেজ খুলে নিজের সাবজেক্ট অনুযায়ী শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া খুবই সহজ। অনলাইনে ভালো শিক্ষক হতে হলে অবশ্যই আপনাকে সবকিছু সাবলীল ভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে। মোবাইলের স্ক্রিন শেয়ার ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের খুব সহজেই শিক্ষা দান করতে পারবেন এবং বোঝাতে পারবেন। 

বর্তমান সময়ে অনলাইনে শুরুতে যদি আপনি কনফি নিয়ে কাজ শুরু করেন তাহলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বাড়বে। তবে অবশ্যই আপনাকে সঠিক শিক্ষা দান করতে হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞতা বাড়লে আপনার বেশ পরিমাণ শিক্ষার্থী সংগ্রহ হবে। তাই আপনার দক্ষতা যদি সঠিক থাকে তাহলে মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে টিউশন করে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ভবিষ্যৎ নির্দেশনা (Consulting) করে আয়

মোবাইল দিয়ে ভবিষ্যৎ নির্দেশনা (Consulting) করে আয় করা যায়। এই মাধ্যমটি খুব সহজ এবং খুব আধুনিক। যদি আপনি কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার মোবাইল ব্যবহার করে অনলাইনে পরামর্শ দিয়ে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক সময় অনেক মানুষ বিভিন্ন ধরনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা চিন্তা করতে পারেনা বা বুঝতে পারে না। সঠিক সিদ্ধান্ত দেবার জন্য আশেপাশে তেমন কোন মানুষও থাকে না অনেকেরই। তাই আপনি যদি মানুষের ক্যারিয়ার, ব্যবসা, স্বাস্থ্য, সম্পর্ক বা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত গাইডলাইন পেতে অনলাইন কনসাল্টিং সার্ভিস দিতে পারেন।

১০টি-ভিন্ন-উপায়ে-মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-করে-আয়-করুন

এই কাজ দিয়ে আপনি শুধু আপনার জীবন শুরু করতে চান তাহলে প্রথমে নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বুঝতে হবে। এরপর Facebook, Linkedin, YouTube বা Instagram- এ আপনার কনটেন্ট শেয়ার করে প্রথমে পরিচিতি বাড়াতে হবে। এছাড়াও Clarity,fm, Upwork, Fiverr, Coach,me- এর মত প্ল্যাটফর্মে প্রোফাইল খুলে সরাসরি ক্লাইন্ট পেতে পারেন। এ পরামর্শ গুলো দেওয়ার জন্য আপনি Zoom, Google Meet, WhatsApp Call প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করতে পারবেন । consarting এর সময় নোট তৈরি করে রাখবেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করবেন ।

 আপনি যদি ভালো আয় করতে চান অথবা আপনি আপনার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চান তাহলে প্রথমে কিছু ফ্রি সেবা বা কাম খরচে সেশন দিয়ে রিভিউ বা ক্লায়েন্টের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। যদি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা পছন্দ হয় তাহলে অবশ্যই আপনার একটি জায়গা তৈরি হবে এবং আপনি আপনার প্রিমিয়াম সেবা দিতে পারবেন। যারা ভালোভাবে গাইডলাইন দিতে পারে তাদের জন্য একটি সম্পূর্ণ আলাদা দারুণ সুযোগ থাকে। আর এই জন্য প্রয়োজন আপনার ধৈর্য, দক্ষতা ও সঠিক কৌশল অবলম্বন করা। যা আপনি এই মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই এই প্রক্রিয়ায় আয় করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ফটোশপ/ছবি এডিটিং করে আয়

মোবাইল দিয়ে ফটোশপ/ছবি এডিটিং করে আয় করা বর্তমান সময়ে বেশ ভালো একটি মাধ্যম। ফটো এডিটিং ফ্রিল্যান্সিং জগতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যা এই কাটি মোবাইল দিয়েও করা সম্ভবপর হয়। বর্তমান সময়ের সোশ্যাল মিডিয়া, ই-কমার্স এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর। জন্য পেশাদার মানের ইমেজ এডিটিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে যারা ফটোশপ বা ছবি এডিটিং এর দক্ষ তারা খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে আয় করতে পারবেন।

মোবাইলে ছবি এডিটিং করার জন্য এই অ্যাপসগুলো যেমন Adobe Lightroom, Snapseed, PicsArt, Photoshop Express, Canva ব্যবহার করতে পারে। এই অ্যাপসগুলোর মাধ্যমে আপনি ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ, রং সংশোধন, রিটাচিং, লোগো ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিজাইন এবং প্রোডাক্ট ইমেজ এডিট করতে পারবেন। আপনার কাজের সুযোগের জন্য Fiverr, Upwork, Freelancer- এ প্লাটফর্ম গুলোতে অবশ্যই আপনার একটি প্রোফাইল খুলতে হবে। এছাড়াও facebook ও instagram এ নিজের কাজের নমুনা পোস্ট করে ক্লাইন্টদেরকে আকর্ষণ করতে পারবেন।

ভালো আনের ছবি তৈরি করতে হলে ক্রিয়েটিভিটি ও নিখুঁতভাবে এডিট করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি নতুন বিভিন্ন ধরনের ট্রেন্ড অনুসরণ করলে দ্রুত কাজের সুযোগ পাবেন। তবে অবশ্যই প্রথমে আপনি ছোট ছোট কাজ দেখে এগোবেন। তাই মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই ফটোশপ বা ছবি এডিটিং করে আয় করা যায়।

মোবাইল দিয়ে ট্রান্সলেশন বা অনুবাদ করে আয়

মোবাইল দিয়ে ট্রান্সলেশন বা অনুবাদ করে আয় ইন্দিন বেড়ে চলেছে আর মোবাইল ব্যবহার করেও এ কাজ করা খুবই সম্ভব। বিভিন্ন কোম্পানি, ওয়েবসাইট, ব্লগ, বই প্রকাশক এবং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেশে নিয়মিত এই অনুবাদকের অনেক প্রয়োজন হয়। যারা সাধারনত একাধিক ভাষায় দক্ষ তারা সহজেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে অনুবাদের জন্য Goole Docs, Microsoft Word, Notepad, Grammarly Keyboard ইত্যাদি ব্যবহার করে কাজ করতে পারবেন। আপনি যদি দ্রুত অনুবাদ করতে চান তাহলে Google Translate, Deepl, SayHi Translate- এর মত অ্যাপ গুলো আপনাকে অনেক সাহায্য করতে পারে যেমন নিখুঁত অনুবাদের জন্য নিজেই যাচাই করে নিতে পারবেন।

কাজের সুবিধার্থে জন্য অবশ্যই আপনাকে Fiverr, Upwork, Freelancer-এই প্লাটফর্মে সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ব্লক বা বই অনুবাদের কাজ পাওয়া যায় আপনি সেখান থেকেও সাহায্য নিতে পারেন। সঠিক অনুবাদের জন্য ব্যাকরণ, ব্যাকরণ গঠনের নিয়ম এবং সংশ্লিষ্ট ভাষা সাংস্কৃতিক পার্থক্য সম্পর্কে সচেতন থাকাটা খুবই জরুরী। তাই আপনি যদি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই মোবাইলের মাধ্যমে ট্রানসলেশন বা অনুবাদন করে আয় করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করে আয়

মোবাইল দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করে আয় বর্তমান সময়ের ফ্রিল্যান্সিং জগতের একটি সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম বা কাজ। যা আপনি মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই করতে পারবেন। বিভিন্ন ব্যবসা, ব্র্যান্ড এবং ইনফ্লুয়েন্সাররা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট পরিচালনার জন্য দক্ষ ম্যানেজারের খোঁজ করে। যদি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের বেশ ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি এটিকে আপনার পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

এই সমস্ত কাজের জন্য, ফেসবুক, instagram, twitter, Linkedin, Pinterest, TikTok এর মত প্ল্যাটফর্ম গুলোকে ভালোভাবে জানতে হবেG পোস্ট ডিজাইন করতে ক্যানভা, এডোবি এক্সপ্রেস এবং কনটেন্ট পরিকল্পনার জন্য Trello, Notion, Buffer এর মত অ্যাপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এ কাজগুলো শুরু করার জন্য আপনি Fiverr, Upwork, Freelancer- এই প্লাটফর্মে একটি সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করবেন যেখানে আপনি আপনার সার্ভিসগুলোকে খুব সুন্দর করে সাজাবেন। এছাড়াও ছোট ব্যবসা ও ব্যক্তিগত ব্যান্ডের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে ক্লাইন্ট খুঁজতে পারেন।

ভালো সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হতে হলে আপনাকে ট্রেন্ড বুঝতে হবে, নিয়মিত পোস্ট করতে হবে, এনগেজমেন্ট বাড়াতে হবে এবং বিজ্ঞাপন পরিচালনা করতে হবে ঠিক এইরকম ব্যাপক দক্ষতা থাকা লাগবে। এইসব দক্ষতার যদি অধিকারী হয়ে থাকেন তাহলে আমি অবশ্যই একটি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে এই সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট থেকে মাসে ইনকাম করতে পারবেন।

মন্তব্যঃ ১০টি ভিন্ন উপায়ে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন

১০টি ভিন্ন উপায়ে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন এর বিস্তারিত বর্ণনা উপরে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি উপরে তথ্যগুলো আপনাদের ব্যক্তিগত জীবনে অনেক কাজে লাগবে এবং সঠিক যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী নিজের কর্মক্ষেত্র বেছে নিতে পারবেন। তবে আমাদের যে ভ্রান্ত ধারণা ছিল কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা সম্ভব নয় সে ধারণাটি ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

মোবাইল দিয়ে ভিন্ন উপায় ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায় যদি আপনি আপনার মনোযোগ ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন, সেই সাথে প্রয়োজন আপনার ধৈর্যশীলতা। কোন কাজ এক দিনে করা সম্ভব নয় ঠিক তেমনি নিজের জায়গা একদিনে তৈরি করা সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ ধৈর্য, দক্ষতা এবং নিজের যোগ্যতা। আশা করি এই মাধ্যমগুলো ব্যবহারকে আপনি আপনার নিজেকে একটি সঠিক জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন। আশা করি ভালো থাকবেন পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে বা পোস্টে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন ২৪ ব্লক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url